লেখক নাঈম হোসেন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
লেখক নাঈম হোসেন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

কবিতা ঐক্য লেখক নাঈম হোসেন

 ঐক্য 

নাঈম হোসেন 

আজ সময় এসেছে 
মুসলিম জাতির হতে ঐক্য৷ 
এসো ভেঙে ফেলি সকল বাঁধা 
সকল অনৈক্য ৷ 

এসো ভেঙে ফেলি সকল বাঁধা ! 
মোরা মুসলিম , কীসের  কৃষ্ণ , কীসের রাধা ? 

এসো মোরা চলব মিলেমিশে , সতত , সদা ৷ 
মোরা মানবোনা কোনো অন্যায় আইন, কোনো বাঁধা ৷ 
মোরা চলব মেনে এক আল্লাহর আইন খোদা৷ 

কীসের এতো হিংসা ? 
কীসের এতো লিপ্সা ? 
কী মোহে করি এতো সহিংসা ? 
এসো হে মুসলিম মোরা হই একশা ! 

এসো হে মুসলিম ! 
মোরা হই ঐকতান ৷ 

এসো হে বীর ! 
এসো হে চিরউন্নত শির ! 
এসো হে ভাই মোর মুসলিম ! 
কীসের এতো অভিক্রম ?  
মোরা সবাই তো ভাই মুসলিম ! 

এসো মোরা গাই সাম্যের জয়গান ! 
কীসের হরে , কীসের ভগবান ? 
মোরা মুসলিম , 
মোরা বলিবো , এক আল্লাহ সুমহান !  

          সমাপ্ত ৷৷
রচনাকালঃ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা ধর্মকথা লেখক নাঈম হোসেন

 ধর্মকথা 

নাঈম হোসেন 

ভূতের মুখে রামের গল্প অহর্নিশি অধুনাতন।
মূর্খরা ধর্মকথা বলে কোরআন, হাদীসের করে বিশ্লেষণ।
নন্দিত জাতিরা তাই নিন্দিত হচ্ছে কদাচন।
যে পারেনা কলেমার সঠিক উচ্চারণ।
তার মুখে সদা শুনি কোরআনের কথন।

যার নাই নীতিজ্ঞান।
যে বেশী নীতিজ্ঞানহীন।
কথায় কথায় সে দেয় নীতি বচন।
এসব অধুনা সমাজের রেওয়াজ এখন।
কূটকথা বলে ওরা আলেমদের তাজ করে অপনোদন।

ধর্মকথা, ধর্মোপদেশ দিতে হলে চাই ধর্মগ্রন্থের জ্ঞান।
আরও থাকা চাই নাহুমীর, ছরফের শাস্ত্রচর্চা ও শাস্ত্রজ্ঞান।
নতুবা ধর্মশাস্ত্রকার বিষয়ে যার আছে এক্সট্রা অডিশন।
যার নেই এসকল গুণ, গণ্ডমূর্খ বলি তারে,  করি বর্জন। 
সতত করি আলেমদের সম্মান।

যে ইলম করছে অর্জন  
সে পূর্ণ অংশ করছে গ্রহণ ।
তালিবুল ইলমের জন্য  ডানা বিছিয়ে দেয় ফেরেশতাগণ।
আলেমদের জন্য আসমান-যমীনের বসবাসকারীগণ,
আল্লাহর নিকট ক্ষমা ও দোয়া চান।
নবীদের ওয়ারিস হচ্ছেন আলেমগণ।

            সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ৮ জুলাই ২০২২ রোজ শুক্রবার।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা পরকীয়ার বলি নাপা লেখক নাঈম হোসেন

 পরকীয়ার বলি নাপা

নাঈম হোসেন।

সব দোষ লিমা আপার।
দোষ দেয় বেক্সিমকো নাপার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জে,
প্রেমিকার মনোরঞ্জে;
মিষ্টির সাথে বিষ মিশিয়ে,
পেটের দুই শিশুকে খাইয়ে,
সন্তান করে হত্যা।
অবশেষে পাষন্ডমা গুজব রটায়,
নাপা সিরাপে নেই নিরাপত্তা।

ইটভাটার শ্রমিক সুজন খান,
অসহায় দুই শিশুর বাবা।
থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান;
নাপা নয় এটা পরকীয়ার থাবা।
পরিকল্পিত হত্যা বলে পুলিশ আমলে নেন।
সন্দেহের বেড়াজালে ইনভেস্টিগেশন করেন।
অবশেষে চল্লিশ উর্ধ পাষণ্ড মা স্বীকারোক্তি দেন। 

জঘন্যপাপ অন্তরাল করতে চতুর আপা;
পরকীয়ার বলি দেয় নাপা।

সাত বছরের ইয়াসিন,
চার বছরের মুরসালিন,
মাসুম বাচ্চাদের ছিলনা কোন দোষ।
পরকীয়ায় তবু তারা মায়ের চোখের রোষ।

পরকীয়ার সয়লাবে সন্তান পথের বাঁধা 
হরহামেশা ঘটছে এমন হৃদয় কাঁপানো ধাঁধা।

আশুগঞ্জ উপজেলার,
দুর্গাপুর ইউনিয়নের,
দুর্গাপুর গ্রামে,
অবৈধ পরকীয়া প্রেমে,
১০ মার্চ ২০২২ নেমে আসে,
শোকের কালো ছায়া!
ছিঃ ছিঃ ধিক্কারে পল্লিবাসী ভাসে, 
পরকীয়া কেড়ে নেয় সন্তানের মায়া।

রহস্য উন্মোচনে প্রশাসনকে জানাই সাধুবাদ।
ওয়াক থু ছ‍্যাপ ফেলে পরকীয়ার জানাই নিন্দাবাদ।

পরকীয়ায় মাতাল হয়ে খেলছে কত খেলা? 
ভুলটা বুঝে হারিয়ে সব জীবনের শেষবেলা।

কত সন্তান পরকীয়ায় হচ্ছে এখন বলি!
বৈধ স্বামী রেখে স্ত্রী কেন অন‍্যায় পথে চলি?
হালাল পথটা ছেড়ে কেন হারামের পথ ধরো?
ধর্মকর্ম ছেড়ে কেন জঘণ্য পাপ করো?

পরকীয়ামুক্ত সমাজ গঠনে, চাই কঠোর আইন।
স্বামী- স্ত্রী বেমিল হলে, দাও তালাকে বাঈন।
পরকীয়ার হত্যার চেয়ে, মানো ধর্ম আইন।

অহরহ ঘটছে এখন, পরকীয়া প্রেম
মিষ্টি হাসি, দুষ্ট কথায়, করছে সবে ভ্রম
পর্দা ছেড়ে নারীরা এখন, ঘুরছে শহর-গ্রাম
নষ্ট পুরুষ লোভে মত্ত, প্রেমের করে আঞ্জাম।
বোকা নারী ভাবে তখন;
স্বামীর থেকে ওর কাছে যখন,
আমার অনেক দাম। 

হাত ইশারায় দেয় যখন
নারী দুষ্ট হাসি!
প্রতারক পুরুষ বলে তখন 
প্রিয়া তোমায় খুব ভালোবাসি। 

এভাবেই প্রেমে পড়ে, ছলনায় পটে বেশ।
স্বামী সন্তান সব হারিয়ে, নিজেই হারায় শেষ।

পরকীয়া ধর্মে মানা, মান‍্য করি সবাই!
পরকীয়ামুক্ত সমাজ গঠনে, নিজেকে বাঁচাই।
পাপীকে নয়, পাপকে নিন্দা জানাই।
এই সমাজ সুখী হতে পরকীয়ামুক্ত চাই।
               সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ২৫ মার্চ ২০২২ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত৷ 

কবিতা নেশামুক্ত সমাজ চাই লেখক নাঈম হোসেন

 নেশামুক্ত সমাজ চাই 

নাঈম হোসেন 

প্রতিদিন নিউজ পড়ে;
অনাকাঙ্ক্ষিত দেখি কতলোক মরে।
শিশু থেকে বৃদ্ধ কত নারী ধর্ষণ করে।
ক্ষতবিক্ষত লাশ ফেলে দেয় ঝোপঝড়ে।
খাল-বিল, রাস্তাঘাট কিংবা নদীর তীরে।
সবকিছু করছে শুধু নেশার ঘোরে।

মাদকের টাকার জন্য
কত হতভাগা সন্তান হয়ে হন্যে 
মা-বাবাকে অত‍্যাচার করে।
টাকা না পেয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর করে।
চুরি, ডাকাতি ও লুটতরাজ করে।
কতজন আবার বাবা-মাকে জবাই করে।
ভাই, বোনকে ধর্ষণ করে।

নেশাগ্রস্ত মানুষ কি থেকে কি করে?
বলতে পারেনা কিছুই চেতনা ফিরে।
যা কিছু করে তারা নেশার ঘোরে।
তার জন্য পরে আফসোস করে।
কী লাভ হবে, পরে আফসোস করে?
যার জীবন বলি হয়েছে বাইরে কিংবা নীড়ে 
তাকে কী আর পাবে কভু ফিরে?

তবে এমন ভুলটা কেন করি?
এসো সবে নেশামুক্ত সমাজ গঠন করি।
জীবনকে সবে ভালোবাসুন,
মাদক থেকে দূরে থাকুন।
মানবদেহে মাদক করছে নানা ক্ষতিকর প্রভাব।
সুস্থ জীবন গঠনে সেগুলো জানতে হবে সব।
মাদকমুক্ত সমাজ গঠন তবেই সম্ভব।

এসো স্লোগান ধরি সবাই 
মাদকমুক্ত সমাজ চাই
মাদকের ক্ষতিকর দিক তাই 
এসো জানি ও মানি সবাই!

এসো জানি জনে জনে!
কি ক্ষতি হয় মদ‍্য পানেঃ
গ‍্যাস্ট্রিক ও আলসার হয়।
লিভার সিরোসিস ও ক‍্যান্সার হয়।

ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণেঃ
পড়বে তুমি এইডস আক্রমণে।
আরও হেপাটাইটিস বি ও সি হয়।
সকল মাদক গ্রহণেঃ
স্বাস্থ্যের দ্রুত ক্ষতি হয়।
মাদকাসক্তির পরিণতি অকাল মৃত্যু ঘটায়।

আরও রাখবে জেনে,
ফেন্সিডিল ও হেরোইন সেবনেঃ 
পুরষত্বহীনতা ও বন্ধ‍্যাত্ব দেখা দেয়।
তাছাড়া ফুসফুস ও হার্টে প্রদাহ হয়।

গাঁজা সেবনেঃ 
ভালো-মন্দ বিচার করার ক্ষমতা হ্রাস পায়।
দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
স্মৃতিশক্তি লোভ পায়।
মতিভ্রম হয়।

ইয়াবা সেবনেঃ 
স্মরণশক্তি কমে যায়।
মনোযোগ ক্ষমতা নষ্ট হয়।
আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
যৌনশক্তি নষ্ট হয়।
বন্ধ‍্যাত্ব দেখা দেয়।

ইয়াবা সেবনে আরও যা হয়ঃ 
মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ হয়।
লিভার ও কিডনি নষ্ট হয়।
উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়।
হার্ট এ‍্যাটাক হয়।
কলহ প্রবণতা বেড়ে যায়।
আগ্রাসী ও আক্রমণাত্মক মনোভাব হয়।

আরও শিহরিত হবে জেনে 
যা ক্ষতি করে ধূমপানেঃ 
মুখে ঘা ও ক‍্যান্সার হয়।
ফুসফুসে ক‍্যান্সার হয়।
হঠাৎ হার্ট এ‍্যাটাক হয়;
এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়।

এছাড়াও নেশাগ্রস্তের কারণেঃ
পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি হয়।
পরকীয়া ও বহুবিবাহ বৃদ্ধি পায়।
স্বামী- স্ত্রী কলহ ও তালাক প্রথার প্রসার হয়।
সামাজিক আত্মমর্যদার অবমূল্যায়ন হয়।

তাই সকল নেশা করতে হবে পরিত্যাগ।
সুস্থ ও সুন্দর জীবন পাবে ফিডব‍্যাগ।
সুস্থ ও সুন্দর জীবন গড়তে তাই---
সকল প্রকার নেশামুক্ত জীবন চাই।

মাদকমুক্ত সমাজ গঠনেঃ
প্রচার প্রচারণা করতে হবে জনে জনে।
জানতে হবে
মানতে হবে
মাদকের ক্ষতিকর নানান দিক।
সমাজটা তবেই হবে 
সুস্থ, সুন্দর ও নৈরাজ্যমুক্ত ঠিক।
               সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ৩০ মার্চ ২০২২ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা জবরদখল কবি নাঈম হোসেন

জবরদখল

নাঈম হোসেন 

সহস্র শতক সরকারি জমি হচ্ছে জবরদখল।
প্রশাসনের নিরব সম্মতিতেই হচ্ছে সব দখল।
দেখেও না দেখার করে ভান, নেই কোন টহল।
দক্ষিণার জোরেই ভূমিদস্যু করছে বেআইনি দখল। 

সরকারি ভূমি থেকে মালিকানাধীন ;
জবরদখল করে বড়লোক হচ্ছে দিনদিন।
ভূমি দস্যুদের ক্ষমতা রয়েছে চারদিক।
ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলছে নির্ভীক। 

ক্ষমতার দাপটে,
সবকিছু নেয় লুটে।
মুখোশের আড়ালে তারা আসল রুপে ফুটে।
উপরটা শুভ্র তাদের ভিতরটা হিংসুটে।

সমাজে তারা সমাজ সেবক 
দশে দেয় করতালি।
ভূমিলোভে বাতুল হয়ে, ছদ্মবেশী শোষক।
একখণ্ড জমির জন্য অসহায়কে দেয় বলি।

বেচারা অসহায়।
চাপাকষ্টে করে হায় হায়।
গ্রাম আদালত থেকে উচ্চ আদালতে যায়।
সঠিক বিচার কোথাও না পায়।

সবকিছু হারিয়ে শেষে হয় ভবঘুরে।
উপরে তবু হাসি থাকে ভিতর শোকে পুড়ে।
সব থাকতেও নিঃস্ব তারা ভূমি দস্যুদের জোরে।
ডান-বামের জোরে তারা সবকিছু নেয় কেড়ে।

সরকারি কত জমি ভূমি দস্যুরা নেয় কেড়ে।
ভূমিহীনরা আবাসন পায় নদীর তীরে। 
অথবা বালুচরে। 
ঘর পেয়েও নিরাপদ নয় কাঁপছে শুধু ডরে ।
কখন যেন হারিয়ে যায় অজানা ঘূর্ণিঝড়ে।

সরকারি যত জমি ভূমিদস্যুরা ভোগ করে।
প্রশাসন সেগুলো যদি উদ্ধার করে।
ভূমিহীনদের ঠাঁই সেথায় দেয় যদি করে।
ভূমিহীনরা নিরাপদ থাকবেনা আর ডরে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  আপনাকে জানাই।
ভূমি দস্যুদের হাত থেকে দেশটা মুক্তি চাই।
                সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ১ এপ্রিল ২০২২ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা অর্থ লেখক নাঈম হোসেন

 অর্থ 

নাঈম হোসেন।


রংমেলার এই পৃথিবীতে আপন কেহ নাই।
অর্থের কাছে বিক্রি সবাই,
অসহায়, গরীব জ্ঞানীদের মূল্যায়ন নাই।
পকেট ভর্তি টাকা যার, যশঃকীর্তন তার পাই।

অর্থের পিছু সবাই ছুটে।
গরীবের ধন সবাই লুটে।
ধনকুবের না হলে বউয়ের কাছেও ভালোবাসা নাই।
ধনকষ্টে আছে যে তার দুঃখের শেষ নাই।

ঐশ্বর্য দেখে আশিত্তোর বৃদ্ধকেও ষোলো বছরের কিশোরী বিয়ে করে।
টাকা না থাকলে পকেটে ভালোবাসার বউও যায় ছেড়ে।
মানুষ সবাই টাকা ছাড়া বুঝেনাতো কিছু।
ন‍্যায় - অন‍্যায় ভুলে তাই ছুটছে অর্থের পিছু।


অর্থশূন‍্য মানুষগুলোর আপন হয়না কেউ।
মুখে তাদের হাসি থাকে হৃদয় কষ্টের ঢেউ।
অপরাধ না করলেও সবাই দেয় তার দোষ।
অর্থ না থাকায় সবার চোখের সে রোষ।

অর্থ মোহে বিবেকহীন হয়ে করে কত কলুষ।
কত দর্প করে চলে থাকেনা কোন হুঁশ।
ধনহীনরা খেতে পায়না বিত্তবানরা করে ধনক্ষয়।
ফূর্তিতে ডগমগ করে, থাকে নারী ও মদের নেশায়।

অর্থের জন্য মানুষ কত কাজ করে নানা পেশায়।
ধনী-গরীব, উঁচু-নিচু অর্থই পরিচয়।
অর্থ থাকলে গণ্ডমূর্খরাও পায় কত সম্মান।
অর্থহীন হলে সমাজের পদেপদে পায় অপমান।

এমন অঢেল অর্থ আমি চাইনা যার জন্য মানুষে মানুষে হয় ব‍্যবধান।
শুধু দুমুঠো ভাত চাই, সমাজে চাই সবার সম্মান।
গুণীজনদের সমাজে চাই কদর।
আমীর - ফকির মিলেমিশে থাকব অভেদ বন্ধনে করব ন‍্যায়ের সমর।
                            
 সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ১০ জুলাই ২০২২ ইং রবিবার।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 


কবিতা তেল লেখক নাঈম হোসেন

 তেল 

নাঈম হোসেন 

ফেসবুকে এখন তেল নিয়ে হইচই!
বাজার, পল্লী, মহল্লায়ও হয় রইরই!
বেড়েছে তেলের দর,
তাই এতো কদর।

বাজারে গিয়ে দেখি;
বৃদ্ধ এক কাকার চোখে পানি!
শুধানো তারে কী কষ্টে এমন ভিজেছে আঁখি?
বলেন আমায় মনোযোগ দিয়ে শুনি।

বলছে কাকা 
মন্দ আমার ভাগ্যের চাকা
মধ্যবিত্ত সংসার আমার 
নেই তেমন আয় রোজগার।

টাকা-পয়সা নেই কিছু 
পকেট তাই খালি।
কষ্টের কথা কাকে বলি
মুখে আসে গালি।

সবজির বাজার যেমন—তেমন
তেলের গায়ে আগুন।
তেল ছাড়া খেতে হবে ভর্তা আলু আর বেগুন। 
চাউলের দামটাও বেড়ে কয়েকগুণ।

আটা, ময়দা, চিনি ও লবন 
আদা, পেয়াজ ও রসুন 
মাছ, মাংসের বাজারও বেড়ে লাগামহীন।
দ্রব‍্যমূল‍্যের উর্ধ্বগতি বুকে কষ্টের বীণ।

কী থেকে কী করি এখন 
ভেবে পাইনা কিছু!
বাজার ব‍্যাগ নিয়ে ঘুরছি সেই কখন 
কেনা হয়নি কিছু।

কীভাবে এখন চলবে জীবন 
ভাবছি পরিশেষ 
ডিজিটাল দেশ হয়ে এখন 
কষ্টের নাই শেষ।

তেলের বাজার বাড়তি নয়
করছে সিন্ডিকেট।
যদি প্রশাসনের কঠোর অভিযান হয় 
তবেই বাঁচবে দেশ।
বাঁচবে মানুষ 
থাকবেনা কোন সিন্ডিকেট।
           সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ১৩ মার্চ ২০২২ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা চামচা লেখক নাঈম হোসেন

 চামচা 

নাঈম হোসেন 

চামচারা সব কথায় পটু সবার প্রিয় বেশ।
চোখে পরে হলুদ চশমা, মিষ্টি কথায় ধরে ছদ্মবেশ।
দুষ্ট কথার আড়ালে তার থাকে মিষ্টি হাসি।
কথার জালে পড়লে তবে, যাবে তুমি ফাসি।

এমনভাবে মিথ্যা কথা গুছিয়ে তারা বলে 
সত্যিটা তখন চাপা পড়ে মিথ্যার আড়ালে।
কথায় কথায় তেল দেয় নেতার সামনে এলে।
পদ পদবী সব মিলে নেতা খুশি হলে।
আরও মিলে বকশিশ, ঢের টাকার থলে।

চামচারা তাই সেলফি তোলে,
নেতার কাছে এলে।
ফেসবুকে ভাইরাল করে, চামচামিটা বলে। 
দেশের মানুষ জিম্মি এখন চামচাদের দখলে।

রচনাকালঃ ২৪ এপ্রিল ২০২২ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷

কবিতা নিষ্ঠুর পৃথিবী লেখক নাঈম হোসেন

নিষ্ঠুর পৃথিবী 

নাঈম হোসেন 

নিষ্ঠুর প‍‍ৃথিবীতে কেউ আপন নয়,
অর্থমোহে মত্ত সবাই পিতা-পুত্রে সংঘর্ষ হয়।
বাবার কাছে কন্যাদেরও নিরাপদ নয়,
জাহেলিয়‍্যাত সমাজ ফের পেয়েছি বোধহয়।

ভাই-বোনকে করছে ধর্ষণ,
আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা এখন, কেউ নিরাপদ নয়।
পরকীয়ায় মেতে পুরুষ-নারী,
আপনকে করে পর শত্রুর সঙ্গে দিচ্ছে পাড়ি।

পরকীয়া এখন, মহামারি রুপে করছে ধারণ।
ধর্ম শাস্ত্রে আছে বারণ,
তবু পেটের সন্তান দিয়ে বলি,
প্রেমলীলায় মেতে খেলছে ওরা রক্তের হোলি।

মানুষ সবাই এতো নিষ্ঠুর বলার ভাষা নাই,
অর্থ লোভে ছুটছে সবাই উপকারে নাই।
মুখে আছে কথার যাদু অন্তরেতে বিষ,
প্রতিবেশির ভালো দেখলে মনে শুধু রিষ।

ভালোবাসা নেই এখন আছে শুধু যন্ত্রণা,
প্রেমের নামে যৌনতা হয় অবশেষে বঞ্চনা।
বর্বরতা ছড়িয়ে পড়ছে গোটা সমাজ,
ঘরে- বাইরে যৌনতা হয় নেই কারো লাজ।

বিপদে ডাকলেও কভু দেয়না কেউ সাড়া,
ধনভান্ডার বেশি যার সেই সবার সেরা।
তেলবাজিটা যতবেশি, ততবেশি লাভ,
চামচামিতে নিপুণ যে সবার সাথেই থাকে তার ভাব।

সহজ সরল চলে যেজন,
সত্য বচন বলে সেজন।
কেউ তার হয়না আপন,
মানুষগুলো নিষ্ঠুর বলে একলা হয় তার জীবনযাপন।

পৃথিবীটা নির্দয় নয়,
মানুষেরাই নির্মম হয়।
অর্থের ভেলকিতে এমন হয়।
লিপ্সু এই পৃথিবীতে আপন কেহ নয়।
          সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ১ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 






কবিতা তেলের কারসাজি তেলেসমাতি লেখক নাঈম হোসেন

 তেলের কারসাজি তেলেসমাতি

নাঈম হোসেন 

ডিলার থেকে খুচরা বিক্রেতা,
হঠাৎ কারো কাছে নেই তেল!
দোকানের পর দোকান খুঁজে দিশেহারা ক্রেতা, 
কোথাও মিলছে না এক লিটার সয়াবিন তেল।

হঠাৎ তেলের এমন কী কারসাজি তেলেসমাতি?
যার জন্য ঘরে ঘরে দুর্ভিক্ষ‍্যের মত দুর্গতি!
তেল ছাড়া চলেনা যে রান্না কোন তরকারি।
তেল শূন্যতায় বুঝেছে সবে, তেল কতটা দরকারি।

সিন্ডিকেট দল তেল নিয়ে করছে কারসাজি।
তেল যেন আলাদিনের চেরাগ, কোথাও পায়না খুঁজি।
বিক্রেতারা দাম বাড়াতে তেল নিয়ে করছে তেলেসমতি!
ক্রেতাদের ঘরে ঘরে তাই এমন চরম দুর্গতি।

তেলের দর নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে হচ্ছে বাকবিতণ্ডতা 
কী করবে কিংকর্তব্য-বিমূঢ় ক্রেতা।
ভোক্তাদিকারে দিলেও ফোন;
হয়না এ‍্যাকশন তেমন।

সরকার নাকি ভোজ্যতেলের মূল্য করছে ১৯৮ টাকা?
খুচরো বিক্রেতারা তাই করছে বিক্রি দুই শত দশ টাকা।
ক্রেতা বিক্রেতা দর নিয়ে বাড়াবাড়ি।
বিক্রেতা তেল বিক্রি না করার ধরছে আড়ি।

হঠাৎ ভোজ্যতেল যেন হীরার চেয়েও দামি।
বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে হতভম্ব আমি।
সয়াবিন ছাড়া চলেনা যখন রান্নার কাজ।
তেলের জন্য লড়াই করব প্রয়োজনে আজ।

তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ চাই।
স্বল্পমূল্যে ভোজ্যতেল চাই।

              সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ১৩ মে ২০২২ইং 

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷

কবিতা তেল নিয়ে সিন্ডিকেট লেখক নাঈম হোসেন

 তেল নিয়ে সিন্ডিকেট 

নাঈম হোসেন 

আমরা লজ্জায় মুখ ঢাকি আঁচলে।
তেল নিয়ে বারবার সিন্ডিকেট চলে।
তেলের বাজারে লেগেছে আগুন।
গরিবের কষ্ট তাই বেড়েছে কয়েকগুণ।

সিন্ডিকেট চক্রের দখলে 
তেলের বাজার চলে।
ব‍্যবসায়ীরা সরবে।
প্রশাসন নিরবে।

গরিবদের কষ্টের নিঃশেষ 
আর মধ্যবিত্তদের ক্লেশ ।
মানবতার দেওয়ালে পড়েনি সাড়া 
জোঁকের মত রক্ত চুষে খাচ্ছে ওরা।

নুন আনতে পানতা নাই 
দু'শত দশ টাকায় তেল খাই
তেলের বাজার হাতের নাগাল চাই 
নইলে গরিবদের জন্য বিষ চাই 

              সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ১২ মে ২০২২ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷

কবিতা লুটপাট লেখক নাঈম হোসেন

 লুটপাট 

নাঈম হোসেন 

রাজনৈতিক নেতারা,
আর সরকারি আমলারা;
দেশটাকে লুটপাট করছে।
জনগণের টাকা লুটে খাচ্ছে।

উত্তর থেকে দক্ষিণ ও নৈর্ধতকোণ;
প্রাচি থেকে প্রতীচী ও ইশান কোণ;
মধ্যে থেকেও ঠোকরে ঠোকরে খাচ্ছে।
মাথা গোঁজার জায়গাটাও সর্বগ্রাস করছে।

তেলের বাজার লুটছে ওরা,
পেয়াজের বাজার লুটছে।
চাল, ডাল লুটছে ওরা ;
গরীব ধুঁকে মরছে।

ইন্টারনেট কোম্পানিগুলো বড্ড চালাকি করছে;
আনলিমিটেড মেয়াদের নামে অর্থ লুট করছে।
বিদ‍্যুতের দিন মন্দ যাচ্ছে লোডশেডিং দিচ্ছে।
রাস্তাঘাট মেরামতের নামেও অর্থ লুট হচ্ছে।

উঁইঢিবিতে বাঁধছে বাসা!
দেশ করবে সর্বনাশা।
মানচিত্রটা ঠোকরে খাচ্ছে তাই।
স্বাধীনতা পেয়েছি বটে, কেউ স্বাধীন নাই।

সত্য কথা বললে;
প্রতিবাদ করলে,
জেল জরিমানা হবে।
বাড়াবাড়ি বেশি করলে,
জীবনটাই যাবে।

সবকিছুই অটো চলে,
ভোটের দরকার নাই।
মুখে সবাই সাধু বলে,
ভিতরটা খাইখাই।

প্রতিরোধের ভাষা নিয়ে,
রাজপথে এসো বেড়িয়ে ;
নইলে রক্ষা নাই।
সময় থাকতে এসো সবাই,
প্রতিবাদ জানাই।।

     সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ১৪ মে ২০২২ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷

কবিতা একজন চালকের পূর্ব করণীয় লেখক নাঈম হোসেন

 


একজন চালকের পূর্ব করণীয়

নাঈম হোসেন

ড্রাইভারদের নিয়ে আলোচনা করছি আজ
গাড়ি চালনার আগে একজন চালকের কী? কী? করণীয় কাজ?
গাড়ি চালনার পূর্বে যা যা চেক করে নিবে 
গাড়ির হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র সঙ্গে নিবে ৷ 

নিম্নে যেসকল সনদের কথা করব বর্ণন; 
গাড়ির সঙ্গে আছে কিনা দেখে লও 
অতঃপর নিরাপদে ঝুঁকিমুক্ত গাড়ি চালাও।
সেসবের কথা করছি বর্ণনা চালকেরা শুনুন।

 মেয়াদসহ সবকিছু ঠিক আছে কিনা?
 রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট।
মেয়াদসহ সবকিছু ঠিক আছে কিনা?
 ফিটনেস সার্টিফিকেট, 


মেয়াদসহ সবকিছু ঠিক আছে কিনা?
ট্যাক্সটোকেন সার্টিফিকেট।
মেয়াদসহ সবকিছু ঠিক আছে কিনা
 ড্রাইভিং লাইসেন্স সার্টিফিকেট।

মেয়াদসহ সবকিছু ঠিক আছে কিনা
 ইনসিওরেন্স (বিমা) সার্টিফিকেট,
মেয়াদসহ সবকিছু ঠিক আছে কিনা
 রুট পারমিট সার্টিফিকেট ।

আরও কতিপয় নিয়মকানুন অনুসরণ কর
অতঃপর গন্তব্যস্থলের দিকে স্টিয়ারিং ধর।
নিম্নে সেগুলো করছি বর্ণন।
পড়াশুনা করে মাথায় রেখে কর অনুসরণ।


সবকিছু নিয়মকানুন জেনে
যদি অনুসরণ কর
সবকিছু নীতিমালা মেনে 
যদি গাড়ি চালনা কর


ড্রাইভিংএ সেরা তুমি তবেই হবে , 
সরক দুর্ঘটনা নয় নিরাপদে বাড়ি যাবে।
চালকদের জন্য রয়েছে হরেক নিয়মকানুন 
গাড়ি চালনার পূর্বের নিয়মটা আগে জানুন।


গাড়িতে জ্বালানি আছে কি না পরীক্ষা কর , 
না থাকলে পরিমাণ মতো ভর।
রেডিয়েটর ও ব্যাটারিতে পানি আছে কি না পরীক্ষা কর
 না থাকলে পরিমাণ মতো পূর্ণ কর।


 ব্যাটারির কানেকশন ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা কর।
কানেকশন লুজ থাকলে ঠিক কর।
লুব/ইঞ্জিন অয়েলের লেবেল ও ঘনত্ব পরীক্ষা কর,
কম থাকলে পরিমাণ মতো আরও ভর।


মাস্টার সিলিন্ডারের ব্রেকফ্লুইড, ব্রেকঅয়েল পরীক্ষা করে , 
কম থাকলে আরও নাও ভরে।
ব্রেক ও ক্লাচের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে
সমস্যা কোথাও থাকলে নাও সেটা সেড়ে।


গাড়ির ইঞ্জিন, লাইটিং সিস্টেম, ব্যাটারি ও স্টিয়ারিং
ও সকল বিয়ারিং 
ইত্যাদি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না? 
নাট-বোল্ট টাইট আছে কি না ?
সার্বিকভাবে মোটরযানটি ত্রুটিমুক্ত আছে কি না

সবকিছু নাও পরীক্ষা করে।
কোথাও সমস্যা দেখলে নাও ঠিক করে।
গাড়ির বাইরের 
এবং ভিতরের 
বাতির অবস্থা চেক কর , 
সমস্যা দেখলে তা ঠিক কর।


চাকা (টায়ার কন্ডিশন
হাওয়া/নাট/এলাইমেন্ট/রোটেশন
স্পেয়ার চাকা পরীক্ষা করে ।
সমস্যা থাকলে সেগুলো নাও ঠিক করে।


অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র এবং ফাস্টএইড বক্স গাড়িতে রাখ।
প্রয়োজনীয় খাবার, বিশুদ্ধ পানি গাড়িতে রাখ।
হাত-মুখ মোছার গামছাটাও রাখ।
টয়লেট টিস্যু ও অন‍্যান‍্য প্রয়োজনীয় যা সবকিছু গাড়িতে রাখ।


সবশেষে গাড়িটাকে ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে 
গন্তব্যের দিকে বের হও স্টিয়ারিং ধরে।
প্রতিদিন একইভাবে এই কাজগুলো করবে।
পরিপাটি পোশাক পরে গাড়ি চালনা করবে।

ড্রাইভিং পেশা ছোট নয়, দেখবে 
অচিরেই তোমাদের আত্মমর্যাদা বাড়বে।

       সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ১৪ মার্চ ২০২২ ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কপিরাইট সংরক্ষিত৷ 

কবিতা জলপ্লাবন লেখক নাঈম হোসেন

 জলপ্লাবন

নাঈম হোসেন 

বানের জল দিচ্ছে হানা।
পাঁচ জেলা ফানা ফানা।
দাদাকে দিয়েছি ইলিশ, আম।
জলপ্লাবন দিয়ে দিচ্ছে দাম।

ডুবজলে বৃদ্ধ, শিশুর আর্তনাদে।
পৃথিবী ভারাকান্ত, পশুপাখিরাও কাঁদে।
বসতবাটী লন্ডভন্ড, সবাই সর্বহারা।
নিষ্ঠুর দাদাদের নেই তবু সাড়া।

জলপ্লাবনে ভেস্তে গেছে সবকিছু।
নিভন্ত নিশ্বাস, শেষতম নেই কিছু।
তবু কিছু চাইনা তাদের বাঁচার আকুতি ছাড়া।
নিষ্ঠুর পৃথিবীতে কেউ যদি দয়াকরে দেয় সাড়া।

অর্ধ-ক্রোর মানুষ হঠাৎ পানিবন্দী।
মোদী তুই দায়ী, সবকিছু তোর ফন্দি।
কথা ছিল জল দিবি তৃষ্ণার্তকালে।
সেই জল দিলি তুই বানের জলে।

আম খেলি, ইলিশের মজা নিলি তবু লাজ নেই।
নিরীহ মানুষদের জলে ডুবে মারলি তুই, তোর ক্ষমা নেই।
ওরে পামর কিসের মোহে অশ্রু ঝরালি, সবকিছু নিলি কেড়ে?
কুকুরের থেকেও হীন তুই প্রমাণ করলি বেইমানি করে।

তুই নিন্দিত! তুই ধিকৃত! থুঃ তোর মুখে।
নির্মম পামর তুই! দয়ার্দ্র নেই তোর বুকে।
গোটা বাঙালির হৃদয়ে বিঁধিয়েছ বিষাক্ত তীক্ষ্ণ তির।
কেড়ে নিয়েছো মুখের আহার, কেড়ে নিয়েছো নীড়।

এবার ক্ষান্ত দে।
গজলডোবা বাঁধের গেট বন্ধ করে দে।
কোন শত্রুতা নেই তোর সাথে।
জলপ্লাবনে ডুবে মরছি মোরা, মরব না ভাতে।

আমরা রক্তচক্ষু চাইনা, শান্তি চাই।
আরও যদি কিছু চাও, তাও দিতে চাই।
বিনিময় কিছু চাইনা, শুধু বাঁচতে চাই।
এই বর্ষায় সকল বাঁধের মুখ বন্ধ চাই।

সাহায্যের হাতটা দাও বাড়িয়ে।
আর খেলোনা আমাদের জীবন নিয়ে।
সকল বাঁধ দাও বন্ধ করে।
আমার ভাইয়েরা জলে ডুবে মরে।

সবকিছু যাবো ভুলে, করে দেব ক্ষমা।
কষ্ট যদি পেয়ে থাক তুমি, জীবন মরণের প্রশ্নে রেখোনা জমা।
আমাদের বাঁচতে দাও! বন্ধ করো তোমার আস্ফালন!
কী চাই তোমার? বন্ধ করো শত্রুতা ও হিংস্রতা, বন্ধ করো জলপ্লাবন।

           সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ২০ জুন ২০২২ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা নাকাল লেখক নাঈম হোসেন

নাকাল

নাঈম হোসেন 

মজুদকারীদের ঢের অর্থের লোভ।
গরীবদের বাড়ছে ক্ষোভ।
সবকিছুতে দাম বৃদ্ধি প্রশাসন নিরব।
নিয়ন্ত্রণে টেনে আনতে জনতার বিক্ষোভ।

পুঁজিবাজারে বসে,
মনের হরষে;
সিন্ডিকেট চক্র পণ্য মজুদ করে ;
বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে,
দফায় দফায় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে।

আমরা নাকাল!
মন্দ কপাল!
ভাবছি বসে ;
দাম বেড়েছে কষে,
খাবো কী আগামীকাল?

সময় থাকতে হই সচেতন নীরব থাকব না।
অন‍্যায় যা সয়েছি আর সইব না।
পেটের খিদে লড়ব মোরা পিছু হটব না।
সিন্ডিকেট চক্র না করে পতন ঘরে উঠব না।

যায় যাবে মোর টুটি।
বেঁচে থাকলে পাই যেন ভাত আর রুটি।
খিদের জ্বালা বড় কষ্ট সইতে পারছি না।
গরীব মোরা ভাত চাই, জালিম শাসক না।
             সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ২৫ মে ২০২২ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷

কবিতা বোবাকান্না লেখক নাঈম হোসেন

 বোবাকান্না

নাঈম হোসেন 

আমি কষ্টের কথা লিখতে গিয়ে কলম থেমে যায়, 
আর লিখতে পারিনা। 
আমি দুঃখের কথা বলতে গিয়ে অশ্রুতে বুক ভিজে যায়,
আর বলতে পারিনা।

ইচ্ছে করে আয়ুধ হাতে
আবার লড়াই করি।
এই দেশটাকে লুটেদের হতে
ফের উদ্ধার করি।

যন্ত্রণায় একা বসে বোবাকান্না করি।
প্রতিবাদের ভাষা নাই কালকূটে ছটফট করি।
দুই হাজার বিশ সাল থেকে চলছে মহামারি।

দিনমজুরি নাই ।
চাকরি নাই।
ঘরে খাবার নাই।

বেকারত্বের সংখ্যা তাই বেজায় গেছে বেড়ে।
সবকিছু বাজার মূল্য দ্বিগুন আসছে তেড়ে।
অসহায় মানুষগুলোর জীবন চরম পরিণতি।
কে দাঁড়াবে পাশে তাদের, হবে কী পরমগতি?

কত মানুষ বোবাকান্নায় অশ্রুঅখিতে ভাসি।
কত অসহায় কিস্তি নিয়ে গলায় দিচ্ছে ফাঁসি।
ঋণের বোঝা, নয় সোজা, এনজিওর পীড়াপীড়ি।
একটা কিস্তি বাদ পড়লে অফিসার আসে বাড়ি।

জোঁক থেকেও ভয়ংকর ওরা রক্ত চুষে খায়।
চরা কুসীদ দিয়ে ওরা জীবন কেড়ে নেয়।
আমলাতন্ত্রের সবাই লুটে গরীব হায়হায়।
রাজনৈতিক নেতারাও দুর্নীতির নেয় আশ্রয়।

কোথায় পাবে নিরাপত্তা ন‍্যায় শাসক নাই।
কে করবে দান? শোষক আছে সেবক কেহ নাই।

যাকাতের যতো টাকা যদি করে সঠিকভাবে দান?
রাজদরবারে যদি কেউ নেয় এর ভারার্পণ!
গরীবদের মাঝে যদি সঠিকভাবে করে বন্টন।
তবে কী আমার দেশে গরীব খুঁজে পান?

ন‍্যায় পরায়ণ শাসক চাই!
সেবক নয় সেবা চাই!
গরীব মোরা ভাত চাই!
গণতন্ত্রের অধিকার চাই!

অনেক সয়েছি বোবাকান্না আর না। 
দুর্নীতি যেই করুক অপরাধীকে ছাড় না।
স্বাধীন দেশের বীরেশ্বর মোরা আবার অসি ধরব!
এই দেশকে মুক্ত করতে ফের মোরা লড়ব!
           সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ২২ মে ২০২২ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা মহাদুর্ভোগ লেখক নাঈম হোসেন

 মহাদুর্ভোগ 

নাঈম হোসেন 

সিলেটবাসী মহাদুর্ভোগে পাশে নেই কেউ 
ভূতুড়ে পুরো শহর শুধু স্রোতের ঢেউ।

আকাশের ধারা আর উজানের ঢল
সিলেট, সুনামগঞ্জ, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, জামালপুর পানির তল।

গজলডোবা বাঁধের গেট খুলে দিচ্ছে ভারত।
বিপদসীমার উপরে তাই তিস্তা নদীর স্রোত।

হু হু করে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি।
দুর্ভোগে পানিবন্দী মানুষ, মরছে কত প্রাণী?

তিস্তার বাড়ন্ত পানিতে তলিয়েছে বসত বাড়ী।
জলে ডুবে মরছে শিশু, মরছে বৃদ্ধ, মরছে নারী।

তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত।
তবুও থেমে নেই  তিস্তা, নেই বৃষ্টির ছেদ।

দিশেহারা বানভাসী মানুষ।
কি করবে কোথায় দাঁড়াবে নেই কোন হুঁশ।

সিলেটেসহ পাঁচ জেলার আশি শতাংশ এলাকা প্লাবিত।
ভারতের দাদাদের নেই অনুশোচনা, দুর্ভোগ দেখে করছে উল্লসিত।

ভারতের দাদারা আমার ভাইদের ডুবিয়ে মারছে জলে।
আমরা তাদের ইলিশ আর আম দিচ্ছি তবু বন্ধু বলে।

পানি বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে
মানুষ মরছে অর্ধাহারে-অনাহারে।

সিলেটসহ পাঁচ জেলা পানিতে থই থই
বিদ‍্যুৎ বিচ্ছিন্ন পুরো অন্ধকার এলাকা, মানুষ যাবে কই?

কিশোরগঞ্জে ঢেউয়ে ভাঙছে বাড়িঘর।
ছাতকে কয়েক লাখ মানুষ বাঁচার আকুতি আল্লাহ রহম কর!

তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে।
দুর্ভোগে মানুষ নয় শুধু পশু-পাখিরাও মরে।

পাঁচ জেলা তিস্তার পানিতে লন্ডভন্ড।
মধ‍্যবিত্ত ও কৃষকের সকল স্বপ্ন হচ্ছে পণ্ড।

প্রশ্ন একটাই বেঁচে গেলেও তারা খাবে কী?
হারানো আপনজন কভু ফিরে পাবে কী?

মানুষের দুয়ারে দুয়ারে তারা করছে বাঁচবার আকুতি।
সাহায্যের হাতটা দাও বাড়িয়ে আর যেন তাদের না হয় ক্ষতি।

সিলেটে পোয়াতি নারী পেলনা আট শত টাকার নৌকা ভাড়া পঞ্চাশ হাজার টাকায়।
পাঁচ টাকার মোমবাতি তাও বিক্রি হচ্ছে এক শত টাকায়।

ওরে পাষণ্ড মানুষ হয়ে কেমনে করলি এমন নিষ্ঠুর কাজ?
বিপদে পাশে না দাঁড়িয়ে টাকার কাছে বিক্রি করলি বিবেক বুদ্ধি আজ। 

এসো বিত্তশালী বন‍্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াই।
শুধু অর্থ দিয়ে নয়, পানিবন্দী মানুষগুলোকে উদ্ধার কাজেও এগিয়ে যাই।

এ শুধু সিলেট নয় পুরো জাতির জন্য এ বিপদ।
যে যেমনভাবে পারো বাড়িয়ে দাও সাহায্যের হাত।
        সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ১৮ জুন ২০২২ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য: কপিরাইট সংরক্ষিত৷ 

কবিতা হোক প্রতিবাদ লেখক নাঈম হোসেন

 হোক প্রতিবাদ  

নাঈম হোসেন  

প্রতিটি অন‍্যায়ের হোক নিরোধ।
গ্রাম থেকে শহর ।
ছোট থেকে বড়।
সকল অন‍্যায়ের চাই প্রতিরোধ । 

কলমের খোঁচায় যারা করে পুকুর চুরি।
যারা মা-বোনদের ধর্ষণ করে, করছে সেনচুরি। 
যারা ভুয়া সনদে মুক্তিযোদ্ধার দর্প করে ঘুরি।
এসো তাদের সবাই প্রতিবাদ করি।

যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা দেশের জন্য গেছে লড়ি।
এসো সবে তাদের সম্মান ও শ্রদ্ধা করি।
যে স্বাধীনতার জন্য একাত্তরে হয়েছে রক্তবৃষ্টি।
সে স্বাধীনতা চাই! 
প্রয়োজনে ফের করে লড়াই;
করব নতুন ইতিহাস সৃষ্টি। 

অণু থেকে পরমাণু,
সবকিছু করে মেনু;
প্রতিটি অন‍্যায়ের হোক প্রতিবাদ!
প্রতিটি দুর্নীতির হোক নিন্দাবাদ!

দেশে আজ বাকস্বাধীনতা নাই!
অন্যায়ের প্রতিবাদ নাই!
লেখকদের কলম হোক অন‍্যায়ের বিরুদ্ধে।
সাংবাদিকদের শিরোনাম হোক ন‍্যায়-অন‍্যায়ের যুদ্ধে।

শিক্ষকদের উপদেশ হোক স্বদেশ প্রেম!
ন‍্যায় সমরে করব লড়াই, রক্ষার জন্য হেরেম।
অন‍্যায় দেখব যেথায়,
প্রতিবাদ করব সেথায়;
আর থাকব না কেউ নিশ্চুপ।
ধরণী হতে চিরতরে অন‍্যায় হোক লোপ।
             সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ  ১৯মে ২০২২ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা চাপাকষ্ট লেখক নাঈম হোসেন

 কবিতা পোস্ট নং - তেরো 

চাপাকষ্ট

নাঈম হোসেন 

মনে অনেক চাপাকষ্ট।
ঘৃণায় তাই অতি রুষ্ট।
কাকে বলে হব তুষ্ট?
সবাই তো লোভে নষ্ট।

কে শুনবে কষ্টের কথা?
মনে অনেক জমানো ব‍্যথা!
হারিয়েছি বাকস্বাধীনতা!
স্বাধীন দেশেও কেন পরাধীনতা?

গণতন্ত্র মনে মনে, বাস্তবে তা নাই।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেতা সবাই ;
ভোটের অধিকার নাই।
ভোটকেন্দ্রে নেতা ছাড়া ভোটার কেহ নাই।

লুটেরা সেবক হইছে তাই;
কোথাও জনসেবা নাই।
রক্ত চুষে খাচ্ছে ওরা, কেহ সুখে নাই। 
জালেম সরকার করছে শোষণ, প্রতিবাদী নাই।

চপলতায় কাটে রাত-দিন;
ঘুম নেই চোখে দুঃস্বপ্ন দেখি সারাক্ষণ।
আমজনতা করছে আই-ঢাই।
রাষ্ট্রের দুর্দশা জনতা আই-আই!

আহা মরি-মরি এ কী লজ্জা?
লুটেরা লুটে দেশটাকে করছে মৃত্যুসজ্জা!
ভয়ে থরথর কাঁপছে সবাই!
প্রতিবাদ করার সাহস কারো নাই।

অন‍্যায়ের বিরুদ্ধে বলে কথা;
দেশের আলেম হইছে উস্কানিদাতা।
ত্রাসে ত্রাহি-ত্রাহি করছে নিরীহ জনতা।
কেউ আসছে না ভয়ে এগিয়ে, হতে পারে বানোয়াট মামলা ও গুমখুন হত্যা।

কতজনের হয়েছে সাজা হয়নি জামিন।
মনোবেদনা নিয়ে করছে দোয়া, মুক্তিকামীরা বলছে আমীন।
চাপাকষ্ট আর যায়না চাপা জেগে ওঠার এক্ষুনি সময়।
শোষণ সরকারের পতন চাই, স্লোগানে সবে মাঠে আয়।

চারদিকে শুনি শুধু হায়-হায় নিনাদ।
এক্ষুনি খুঁজতে হবে নিজেকে বাঁচার পথ।
এসো স্বদেশপ্রেমী, হই ঐকতান!
মুক্তির স্লোগানে উড়াব নিশান।
             সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ২১ মে ২০২২ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা লোডশেডিং লেখক নাঈম হোসেন

 কবিতা পোস্ট নং - বারো

লোডশেডিং 

নাঈম হোসেন 

নিদাঘ জ্বলদার্চি গরমে গা দগদগ করছে।
চারদিক দিয়ে চপলতা চেপে ধরছে।
কখনো অলিন্দে, কখনো শয্যায় ভূলুণ্ঠন করছি।
কোথাও জ্বলদগ্নি নেই তবু তপ্তে ছটফট করছি।

আহা মরিমরি বিদ‍্যুৎ নেই ঘন্টার পর ঘন্টা শুধু লোডশেডিং দিচ্ছে।
তারে কারেন্ট খায় এসেই চলে যায়, মাস পেরুলেই তবু বিল ঠিকঠাক নিচ্ছে।
প্রতিবাদ কে করবে ? 
সেই সাহসী বাপের বেটা এখনো রয়েছে মাতৃগর্ভে।

ডিজিটাল দেশের নাগরিক আমরা দর্প করে চলি।
ঘন্টায় দেয় কতবার লোডশেডিং এই ক্লেশ কারে বলি?
নিজ জমিতে পিলার দিয়েছি, মিটার কিনেও প্রতিমাসে দিচ্ছি তার বাড়া।
বিল দিতে হলে দেড়ী লাইন কেটে দিবে বলে  দেয়  তাড়া।

তাদের দেওয়া সব শর্ত মেনে নিলাম।
ঠিক সময়ে ব‍্যাটসহ কারেন্টের বিল দিলাম।
সবকিছু করেও লোডশেডিং দেয় অহর্নিশ বারবার।
ফ্রিজের সবকিছু যায় যখন পচে, গরমে  করি আইঢাই তখন কষ্টে মুখ হয় ভার।
                    সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ৪ জুলাই ২০২২ইং রোজ সোমবার।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত৷ 

কবিতা আত্মশুদ্ধির রমজান লেখক নাঈম হোসেন

  আত্মশুদ্ধির রমজান নাঈম হোসেন  রমজান ওগো আত্মশুদ্ধির রমজান! তোমার মধ্যে রয়েছে অফুরন্ত কল‍্যাণ। তারাবীহ, সেহেরি আরও ইফতার। হাজার বছরের র...

most popular post