বোবাকান্না
নাঈম হোসেন
আমি কষ্টের কথা লিখতে গিয়ে কলম থেমে যায়,
আর লিখতে পারিনা।
আমি দুঃখের কথা বলতে গিয়ে অশ্রুতে বুক ভিজে যায়,
আর বলতে পারিনা।
ইচ্ছে করে আয়ুধ হাতে
আবার লড়াই করি।
এই দেশটাকে লুটেদের হতে
ফের উদ্ধার করি।
যন্ত্রণায় একা বসে বোবাকান্না করি।
প্রতিবাদের ভাষা নাই কালকূটে ছটফট করি।
দুই হাজার বিশ সাল থেকে চলছে মহামারি।
দিনমজুরি নাই ।
চাকরি নাই।
ঘরে খাবার নাই।
বেকারত্বের সংখ্যা তাই বেজায় গেছে বেড়ে।
সবকিছু বাজার মূল্য দ্বিগুন আসছে তেড়ে।
অসহায় মানুষগুলোর জীবন চরম পরিণতি।
কে দাঁড়াবে পাশে তাদের, হবে কী পরমগতি?
কত মানুষ বোবাকান্নায় অশ্রুঅখিতে ভাসি।
কত অসহায় কিস্তি নিয়ে গলায় দিচ্ছে ফাঁসি।
ঋণের বোঝা, নয় সোজা, এনজিওর পীড়াপীড়ি।
একটা কিস্তি বাদ পড়লে অফিসার আসে বাড়ি।
জোঁক থেকেও ভয়ংকর ওরা রক্ত চুষে খায়।
চরা কুসীদ দিয়ে ওরা জীবন কেড়ে নেয়।
আমলাতন্ত্রের সবাই লুটে গরীব হায়হায়।
রাজনৈতিক নেতারাও দুর্নীতির নেয় আশ্রয়।
কোথায় পাবে নিরাপত্তা ন্যায় শাসক নাই।
কে করবে দান? শোষক আছে সেবক কেহ নাই।
যাকাতের যতো টাকা যদি করে সঠিকভাবে দান?
রাজদরবারে যদি কেউ নেয় এর ভারার্পণ!
গরীবদের মাঝে যদি সঠিকভাবে করে বন্টন।
তবে কী আমার দেশে গরীব খুঁজে পান?
ন্যায় পরায়ণ শাসক চাই!
সেবক নয় সেবা চাই!
গরীব মোরা ভাত চাই!
গণতন্ত্রের অধিকার চাই!
অনেক সয়েছি বোবাকান্না আর না।
দুর্নীতি যেই করুক অপরাধীকে ছাড় না।
স্বাধীন দেশের বীরেশ্বর মোরা আবার অসি ধরব!
এই দেশকে মুক্ত করতে ফের মোরা লড়ব!
সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ২২ মে ২০২২ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন