মহাদুর্ভোগ
নাঈম হোসেন
সিলেটবাসী মহাদুর্ভোগে পাশে নেই কেউ
ভূতুড়ে পুরো শহর শুধু স্রোতের ঢেউ।
আকাশের ধারা আর উজানের ঢল
সিলেট, সুনামগঞ্জ, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, জামালপুর পানির তল।
গজলডোবা বাঁধের গেট খুলে দিচ্ছে ভারত।
বিপদসীমার উপরে তাই তিস্তা নদীর স্রোত।
হু হু করে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি।
দুর্ভোগে পানিবন্দী মানুষ, মরছে কত প্রাণী?
তিস্তার বাড়ন্ত পানিতে তলিয়েছে বসত বাড়ী।
জলে ডুবে মরছে শিশু, মরছে বৃদ্ধ, মরছে নারী।
তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত।
তবুও থেমে নেই তিস্তা, নেই বৃষ্টির ছেদ।
দিশেহারা বানভাসী মানুষ।
কি করবে কোথায় দাঁড়াবে নেই কোন হুঁশ।
সিলেটেসহ পাঁচ জেলার আশি শতাংশ এলাকা প্লাবিত।
ভারতের দাদাদের নেই অনুশোচনা, দুর্ভোগ দেখে করছে উল্লসিত।
ভারতের দাদারা আমার ভাইদের ডুবিয়ে মারছে জলে।
আমরা তাদের ইলিশ আর আম দিচ্ছি তবু বন্ধু বলে।
পানি বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে
মানুষ মরছে অর্ধাহারে-অনাহারে।
সিলেটসহ পাঁচ জেলা পানিতে থই থই
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন পুরো অন্ধকার এলাকা, মানুষ যাবে কই?
কিশোরগঞ্জে ঢেউয়ে ভাঙছে বাড়িঘর।
ছাতকে কয়েক লাখ মানুষ বাঁচার আকুতি আল্লাহ রহম কর!
তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে।
দুর্ভোগে মানুষ নয় শুধু পশু-পাখিরাও মরে।
পাঁচ জেলা তিস্তার পানিতে লন্ডভন্ড।
মধ্যবিত্ত ও কৃষকের সকল স্বপ্ন হচ্ছে পণ্ড।
প্রশ্ন একটাই বেঁচে গেলেও তারা খাবে কী?
হারানো আপনজন কভু ফিরে পাবে কী?
মানুষের দুয়ারে দুয়ারে তারা করছে বাঁচবার আকুতি।
সাহায্যের হাতটা দাও বাড়িয়ে আর যেন তাদের না হয় ক্ষতি।
সিলেটে পোয়াতি নারী পেলনা আট শত টাকার নৌকা ভাড়া পঞ্চাশ হাজার টাকায়।
পাঁচ টাকার মোমবাতি তাও বিক্রি হচ্ছে এক শত টাকায়।
ওরে পাষণ্ড মানুষ হয়ে কেমনে করলি এমন নিষ্ঠুর কাজ?
বিপদে পাশে না দাঁড়িয়ে টাকার কাছে বিক্রি করলি বিবেক বুদ্ধি আজ।
এসো বিত্তশালী বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াই।
শুধু অর্থ দিয়ে নয়, পানিবন্দী মানুষগুলোকে উদ্ধার কাজেও এগিয়ে যাই।
এ শুধু সিলেট নয় পুরো জাতির জন্য এ বিপদ।
যে যেমনভাবে পারো বাড়িয়ে দাও সাহায্যের হাত।
সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ১৮ জুন ২০২২ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কপিরাইট সংরক্ষিত৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন