কবিতা জলপ্লাবন লেখক নাঈম হোসেন

 জলপ্লাবন

নাঈম হোসেন 

বানের জল দিচ্ছে হানা।
পাঁচ জেলা ফানা ফানা।
দাদাকে দিয়েছি ইলিশ, আম।
জলপ্লাবন দিয়ে দিচ্ছে দাম।

ডুবজলে বৃদ্ধ, শিশুর আর্তনাদে।
পৃথিবী ভারাকান্ত, পশুপাখিরাও কাঁদে।
বসতবাটী লন্ডভন্ড, সবাই সর্বহারা।
নিষ্ঠুর দাদাদের নেই তবু সাড়া।

জলপ্লাবনে ভেস্তে গেছে সবকিছু।
নিভন্ত নিশ্বাস, শেষতম নেই কিছু।
তবু কিছু চাইনা তাদের বাঁচার আকুতি ছাড়া।
নিষ্ঠুর পৃথিবীতে কেউ যদি দয়াকরে দেয় সাড়া।

অর্ধ-ক্রোর মানুষ হঠাৎ পানিবন্দী।
মোদী তুই দায়ী, সবকিছু তোর ফন্দি।
কথা ছিল জল দিবি তৃষ্ণার্তকালে।
সেই জল দিলি তুই বানের জলে।

আম খেলি, ইলিশের মজা নিলি তবু লাজ নেই।
নিরীহ মানুষদের জলে ডুবে মারলি তুই, তোর ক্ষমা নেই।
ওরে পামর কিসের মোহে অশ্রু ঝরালি, সবকিছু নিলি কেড়ে?
কুকুরের থেকেও হীন তুই প্রমাণ করলি বেইমানি করে।

তুই নিন্দিত! তুই ধিকৃত! থুঃ তোর মুখে।
নির্মম পামর তুই! দয়ার্দ্র নেই তোর বুকে।
গোটা বাঙালির হৃদয়ে বিঁধিয়েছ বিষাক্ত তীক্ষ্ণ তির।
কেড়ে নিয়েছো মুখের আহার, কেড়ে নিয়েছো নীড়।

এবার ক্ষান্ত দে।
গজলডোবা বাঁধের গেট বন্ধ করে দে।
কোন শত্রুতা নেই তোর সাথে।
জলপ্লাবনে ডুবে মরছি মোরা, মরব না ভাতে।

আমরা রক্তচক্ষু চাইনা, শান্তি চাই।
আরও যদি কিছু চাও, তাও দিতে চাই।
বিনিময় কিছু চাইনা, শুধু বাঁচতে চাই।
এই বর্ষায় সকল বাঁধের মুখ বন্ধ চাই।

সাহায্যের হাতটা দাও বাড়িয়ে।
আর খেলোনা আমাদের জীবন নিয়ে।
সকল বাঁধ দাও বন্ধ করে।
আমার ভাইয়েরা জলে ডুবে মরে।

সবকিছু যাবো ভুলে, করে দেব ক্ষমা।
কষ্ট যদি পেয়ে থাক তুমি, জীবন মরণের প্রশ্নে রেখোনা জমা।
আমাদের বাঁচতে দাও! বন্ধ করো তোমার আস্ফালন!
কী চাই তোমার? বন্ধ করো শত্রুতা ও হিংস্রতা, বন্ধ করো জলপ্লাবন।

           সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ২০ জুন ২০২২ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কবিতা আত্মশুদ্ধির রমজান লেখক নাঈম হোসেন

  আত্মশুদ্ধির রমজান নাঈম হোসেন  রমজান ওগো আত্মশুদ্ধির রমজান! তোমার মধ্যে রয়েছে অফুরন্ত কল‍্যাণ। তারাবীহ, সেহেরি আরও ইফতার। হাজার বছরের র...

most popular post