কবিতা পোস্ট নং -নয়
তিরিশে বুড়ো
নাঈম হোসেন
বাংলাদেশি যুবক সবে তিরিশে হয় বুড়ো।
শিক্ষা সনদ সব থাকতেও তিরিশোত্তরে হয় জড়ো।
চাকরির কোঠা শূন্য থাকে হাজারো হাজারো।
তিরিশ বছর পার করায় চাকুরী হয়না কারো।
বেকারত্ব ভৎসিত জীবন নিয়ে যুবক করে আত্মহনন।
চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ত্রিশ হয় নির্ধারণ।
ত্রিশ বছর পার হলেই চাকরির জন্য ঘুরে ঘুরে জুতোর তলা শেষ।
ডিজিটাল দেশের নাগরিক মোরা শাবাশ বাংলাদেশ।
আশিত্তোরে রাজনীতিতে নেই কোন বাঁধা।
ত্রিশ বছর চাকরির জন্য এ কেমন ধাঁধা?
শিক্ষাযোগ্যতা সব থাকতেও যুবক হয় বুরো।
তিরিশোত্তর বয়স হলে সরকারি-বেসরকারি কোথাও চাকুরী হয়না কারো।
অসহায় যুবকরা তখন হয়ে নিরুপায়।
কেউ করে আত্মহত্যা, কেউ করে অন্যায়।
চাকরির জন্য বয়সের সীমা চাইনা, করি প্রতিবাদ।
বেকারদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাই চাকরির পদ।
বেকার যুবক বৃদ্ধ হয়ে ঘুরে পথেঘাটে।
সঙ্গী হয়না কেউ তার কষ্টে জীবন কাটে।
ধিক্কৃত জীবন নিয়ে হেথায় ঘুরে হোথায় ঘুরে চোখেও আসেনা নিদ।
আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশির অহর্নিশি টিপ্পনীতে হৃদয়ে কষ্টের বিঁধ।
বেকারত্ব অভিশপ্ত জীবন হতে প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে চাই সকলে মুক্তি।
যুবকদের চাকুরীতে সুযোগ দেন, উঠিয়ে নেন তিরিশ বছর বয়স সীমার চুক্তি।
আমরা মধ্যবিত্ত শিক্ষিত গরীব আমরা নিরুপায় যোগ্যতার মূল্যায়ন চাই ।
চাকরির কোটা আছে বয়সের সীমায় চাকুরী নাই।
আমরা দু'মুঠো ভাতের জন্য চাকুরী চাই!
চাকুরী না দিলে বিষ চাই!
সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ৮ জুলাই ২০২২ ইং রোজ শুক্রবার।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কপিরাইট সংরক্ষিত৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন