কবিতা পোস্ট নং - চার
অবদান
নাঈম হোসেনও বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির পিতা!
ও বীর সাহসী ও উদরমনা!
তুমি অগণিত মানুষের মিতা।
তুমি সত্যান্বেষী!
তুমি বিপ্লবী বীর!
তুমি সত্যের সৈনিক!
তুমি রণসৈনিক!
তুমি বঙ্গবীর।
৭-ই মার্চের রেসকোর্স ময়দানের সেই স্বাধীনতার ভাষণ
যেন সহস্র বছরের শিষ্টের শাসন।
যা আজও কোটি তরুণ - তরুণীর হৃদয়
স্বদেশ সংগ্রামে প্রর্বতনা জাগায়।
১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ এই তেইশটি বছর ধরে
অন্যায়ের প্রতিবাদে তুমি গেছ সংগ্রাম করে।
কখনও তুমি করেছো,
মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।
কখনও করেছো,
ছাত্রদের জন্য বিজ্ঞান ভিত্তিক সার্বজনীন শিক্ষার সংগ্রাম।
কখনও করেছো,
বাঙ্গালী জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণ
তথা স্বায়ত্তশাসন
আদায়ের জন্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।
কখনও করেছো,
সমারিক শাসন বিরোধী সংগ্রাম।
কখনও করেছো,
অর্থনৈতিক দাবি দাওয়া আদায়ের সংগ্রাম।
বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ
বাঙ্গালী বর্ণবাদ
ধর্মীয় কূপমণ্ডুকতার বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িকতা
লুণ্ঠিত মানবতা
ফিরে পাওয়ার জন্য সংগ্রাম।
গণতন্ত্র ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার উপযোগী সুস্থ - সবল সংস্কৃতিক সংগ্রাম।
পদ্মা - মেঘনা বিধৌত এত'দ অঞ্চলের মানুষ একটি ভাষণ শুনছিল,
বাঙ্গালী জাতি সেই ভাষণে সাড়া দিয়েছিল
সেই স্বাধীনতার বিপ্লবী ভাষণ ছিল
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।
৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ ১৮ দিনের এই ভাষণ ছিল,
যেন এক একটি অগ্নি শলাকা।
যা ছিনিয়ে এনেছিল
চির বিজয় বাঙালির এই লাল সবুজের স্বাধীনতার পতাকা।
সত্যিই তুমি অদম্য তুমি সাহসী তুমি বঙ্গবীর।
১৫ আগষ্ট তোমার অপ্রত্যাশিত নির্মমমৃত্যুতে
কাঁদালো বিশ্বের মানুষকে।
ওরা আলবদর।
ওরা হানাদার।
ওরা খুনি ওরা রাজাকার।
তাই ওরা চিনলনা তোমাকে।
আরও কত শত রয়েছে তোমার স্মরণীয় অবদান।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী তুমি
এই বাংলার নওল রূপকার তুমি
তুমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এই বাংলার মাটি ও মানুষের জন্য তুমি জীবনটা করেছো বিলীন।
কী করে শোধ করবে বাংলার মানুষ তোমার এই ঋণ?
সকল পাপ হতে প্রভু তোমায় দেন পরিত্রান,
আল্লাহ তোমায় নসিব করুন বেহেশত দান।
আমীন
ছুম্মা আমীন।।
সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ১৫ আগষ্ট ২০১৬ ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য :কপিরাইট সংরক্ষিত৷
অসাধারণ চয়ন
উত্তরমুছুন