কবিতা খুশির ঈদ কলমে নাঈম হোসেন

 খুশির ঈদ 

নাঈম হোসেন

নীল গগনে চেয়ে দেখ সবাই
ঐযে উঠেছে খুশির ইদের চাঁদ!
রেষারেষি ভুলে গিয়ে এসো মিলাই কাঁধে কাঁধ। 

আনন্দে মেতেছে সবাই 
এসেছে খুশির ঈদ।
লাব্বাইক ধ্বনিতে গাইছে মুসলিম 
কী এক মধুর সংগীত ?

ঈদ বয়ে আনুক সবার জীবনে 
অনন্ত সুখের ছোঁয়া । 
করোনার মড়ক থেকে গোটা পৃথিবী হোক মুক্তি
সদা করি সেই দোয়া। 

শুধু পশু কোরবানি নয় 
নিজেকেও হতে হবে কোরবান।
এসো করি সে পণ 
তবেই খুশি হবে আল্লাহ মহান। 

ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ো মোরে 
চাইনা আর কিছু সকলের তরে। 

এসো মোরা হিংসা ও শত্রুতা ভুলে যাই।
এসো মোরা আমির ফকির অভেদ হয়ে যাই।

এসেছে কোরবানি 
ঐযে হেসেছে খুশির ঈদের চাঁদ।
এসো চলি মসজিদে
নামাজ শেষে কাঁধে মিলাবো কাঁধ। 

দুহাত তুলে প্রভুর কাছে করব মোনাজাত।
গোটা মানবজাতিকে দাও আবেহায়াত।

দূর করে দাও মনের কালিমা
সৎপথে চলার করেছি চুক্তি।
করোনা মহামারি থেকে 
বিশবাসীকে দাও প্রভু চির মুক্তি। 

কি নব আনন্দে পল্লিবাসী উঠেছে মাতিয়া
পেয়ে খুশির ঈদ।
লাব্বাইক ধ্বনিতে মুগ্ধ বিশ্ববাসী 
কি এক মনোহর সংগীত।

            সমাপ্ত।।
রচনকালঃ ২১ জুলাই ২০২১

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা রমজান , লেখক নাঈম

 রমজান

নাঈম হোসেন 

রমজান তুমি এসেছো অফুরন্ত রহমত নিয়ে 
মোরা মুসলিম ভাগ্যবতী তোমাকে পেয়ে 
যা কিছু প্রয়োজন নিবো জাচিয়ে
তুমি আরও এসেছো মাগফিরাত -নাজাত নিয়ে 

মোরা গুনাগার মোরা পাপী 
নিজেকে দিলাম আল্লাহর কাছে সঁপী।
মার্জনা করে দাও মোদের গুনাহ আর থেকোনা খেপি ।
ওগো রমজান মোরা তোমায় পেয়ে হেপি।

তারাবীহ, সেহেরি ও ইফতার রয়েছে অগনিত নেয়ামত।
রোজাদারের কত ভালো নিয়তি হবে রোজ কেয়ামত।
আল্লাহ নিজ হাতে তাদের দিবে প্রতিদান পান করবে তহুরা শরবত।
তাদের জন্য আরও রয়েছে স্পেশাল জান্নাত।

রমজান তুমি কোরআন অবতীর্ণের মাস 
রমজান তুমি ভাগ্য পরিবর্তনের মাস।
রমজান তুমি সবর করার মাস

ধীরে ধীরে শেষ হচ্ছে রমজানের রোজা 
কতটুকু শেষ হচ্ছে মোদের গুনাহের বোঝা 
রহমত মাগফিরাত শেষ হয়ে গেলো
এবার শুধু নাযাত সামনে এলো
নাযাত ফুরিয়ে ইদের চাঁদ দেখা গেল 
রমজান মুমিনদের কাঁদিয়ে বিদায় নিল।
ফের এসো মোদের মাঝে থাকব অপেক্ষায় 
আরেকটি বছর যদি  আল্লাহ বাঁচায় 

            সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ২৫ মার্চ ২০২১ ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷

কবিতা আমার ভালোবাসা লেখক নাঈম হোসেন

❤ আমার ভালোবাসা 

নাঈম হোসেন 

প্রিয়া লাজুক চোখে তাকিয়ে কী ভাবছ?
আমার ভালোবাসা পরিমাপ করছ?
আমার ভালোবাসা নিঃস্বাৰ্থ,কষিত।
সেরা গুলাবটি তোমায় করছি অর্পিত।

ঐ নীল গগন যেদিন বিলীন হবে;
কথা দিচ্ছি সেদিনও আমার প্রেম রবে।
প্রিয়া তোমাকে পাগলের মতো ভালবাসি।
কী অপরূপ তুমি? সুইট তোমার হাসি!

ঐ আসমান-জমিন,যেদিন একাকার হবে;
কথা দিচ্ছি সেদিনও তুমি আমার রবে।
আমার ডানা নেই তাই উড়তে পারিনা;
ইচ্ছে করে, তোমাকে ঐ চাঁদটা এনে দেই; কিন্তু ছুঁতে পারিনা।

ইচ্ছে করে, দামি রত্ন দিয়ে একটা তাজমহল বানিয়ে দেই।
প্রিয়া এতো অর্থ আমার নেই, তাই পারিনা।
ইচ্ছে করে,পরির শাড়ি এনে তোমাকে পরিয়ে  দেই।
সেই ক্ষমতাও আমার নেই, তাই পারছিনা।

রূপকথার পরিদের থেকেও তুমি বিশ্বসুন্দরী।
আমি তোমার  রূপে নয়, গুণে মোহিত।
স্বর্গেও তোমাকে পেতে চাই, চাইনা হুরি।
তোমার হরিণনয়না চাহনিতে আমি বশী-ভূত।

আমার চাল নেই, চুলো নেই;
কিন্তু সুন্দর একটা মন আছে।
সে মনে তুমি ছাড়া আর কেউ নেই;
তোমার জন্য শুধু ভালোবাসা আছে।

আমার ভালোবাসা কিছুর সঙ্গে তুলনা করনা।
প্রিয়া আমি শুধু তোমার,তুমি আমার আয়না।
ঐ চাঁদ-সূর্য একদিন বিলীন হয়ে যাবে।
আমার ভালোবাসা অমর হয়ে রবে।

আকাশে যতগুলো তারকা দেখ;
আমার প্রেম তার থেকেও বেশি।
জলে স্থলে যতগুলো বালুকণা দেখ;
আমার ভালোবাসা তার থেকেও বেশি ।

সুন্দরীদের মধ্যে তুমিই সেরা।
হুর-পরী নয়, তোমাকে ভালবাসি অসীম।
চাইনা কোনকিছু তোমাকে ছাড়া।
আমার ভালোবাসা,তোমাতেই সসীম।

তুমি ছাড়া পৃথিবীর সকল নারী;
আমার মা-খালা, নয়তো হবে বোন ।
প্রিয়া তোমার থেকে চাইনা,কোন সুন্দরী;
তুমি আমার ভালোবাসা, হৃৎস্পন্দন।

তুমি শ্রেষ্ঠদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ,তুমি মহীয়সী;
তুমি আমার স্বপ্ন,সাধনা তুমি প্রেয়সী;
রূপসিদের মধ্যে তুমি রূপীয়সী;
আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি।

প্রিয়া এসো,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরে প্রার্থনা করি;
স্বর্গেও যেন দুজন সঙ্গী হয়ে থাকতে পারি।
প্রিয়া এসো, প্রভুর দরবারে করি মোনাজাত।
এমন কাজ করি যেন,দুজনে পাই একই জান্নাত।
                সমাপ্ত।
রচনাকাল: ২ জানুয়ারি ২০২২ ইং
 
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কপিরাইট সংরক্ষিত৷ 


হেপি রোমান্স ডে লেখক নাঈম হোসেন

 হেপি রোমান্স ডে 

নাঈম হোসেন 

সামনে আসছে হেপি রোমান্স-ডে!
কি জানি হবে কত বেহায়াপানা?
প্রেমের নেশায় মেতে প্রেমিক যুগল যাবে রোমান্স-ডে!
কার উপদেশ শুনে তারা, কে করবে  তাদের মানা? 

পার্কে যাবে,হোটেলে যাবে,প্রেমিকার পিছু পিছু 
চুমাচুমি, ঢলাঢলি,নির্লজ্জ কাজ করবে কত কিছু।
ফেব্রুয়ারি মাসে নাকি কত রোমান্স-ডে আছে?
সেসব দিনের কথা আমি বলছি সবার কাছে। 

৭ ফেব্রুয়ারি হেপি রোজ-ডে
আজকে শুধু ফুল বিনিময়ের দিন।
প্রেমিক যুগল পরস্পর লাল গোলাপ দেন
বন্ধুরা পরস্পর হলুদ গোলাপ দেন।

৮ ফেব্রুয়ারি হেপি প্রপোজ-ডে
আজকের এই বিশেষ দিন,
প্রেমিক যুগল পরস্পরকে ভালোবাসার প্রস্তাব দিন 
ভেবে চিন্তে ভালোবাসায় সায় দিন।

৯ ফেব্রুয়ারি হেপি চকলেট-ডে
ভালোবাসার এই বিশেষ দিন।
প্রেমিক যুগল পরস্পরকে চকলেট দিন
দোকানদারের ব‍্যবসায় আজ খুশির দিন 
আপু ভাইয়ারা শুধু চকলেট কিনে নিন।

১০ ফেব্রুয়ারি হেপি টেডি-ডে
আজকের এই শুভ দিন।
প্রেমিক যুগল পরস্পর টেডি উপহার দিন 
নিজেদের ভালোবাসা আজ প্রকাশের দিন।

১১ ফেব্রুয়ারি হেপি প্রমিস-ডে
প্রেমিক যুগল আজ ভালোবাসার কথা দিন।
নিজেদের ভালোবাসা করবে প্রকাশ ওপেনে
বলবে সুখে দুঃখে থাকব সারাজীবন দুজনে।

১২ ফেব্রুয়ারি হেপি হাগ-ডে
আজকের এই বিশেষ দিন।
প্রেমিক যুগল পরস্পরকে করবে আলিঙ্গন
ভালোবাসার অচেনা এক অনূভুতিতে  হবে শিহরণ।

১৩ ফেব্রুয়ারি হেপি কিস-ডে
আজকের এই শুভক্ষণে।
করবে চুম্বন দুজন দুজনে 
হারিয়ে যাবে কোন অচিন ভুবনে।

১৪ ফেব্রুয়ারি হেপি ভ‍্যালেন্টাইনস-ডে
প্রেমিক যুগল আজকের এই দিন।
ছবি দেখতে এবং ঘুরতে যান
বেহায়ার চরম মুহুর্তে কেউ কেউ সম্মান হারান।

১৫ ফেব্রুয়ারি হেপি স্ল‍্যাপ -ডে
আজকের এই দিন।
ভালোবাসায় কারো কারো বাজে বিষের বীণ
রেগে গিয়ে কেউ আবার চড় থাপ্পর দেন।

১৬ ফেব্রুয়ারি হেপি কিক-ডে
ভালোবাসায় কখনও হয় মান অভিমান।
তাই বলে কি সত্যিকার ভালোবাসা হবে ম্লান
কিক-ডে তে লাথি নয় প্রিয়তমাকে বেশি ভালোবাসা দেন।

১৭ ফেব্রুয়ারি হেপি পারফিউম-ডে
পৃথিবীর সেরা পারফিউ মেখে গায়
প্রেমিকের কাছে প্রেমী যায় 
দুজনে বসে ভালোবাসার আড্ডায় 

১৮ ফেব্রুয়ারি হেপি ফ্লার্টিং-ডে
সম্পর্কটা যেন এমন একটি মিষ্টি সূচনা করে 
যা হৃদয়কে আরও ক্ষত করে 
পৃথিবীর সর্বসুখ তখন হয় যখন প্রেমিক আলিঙ্গন করে।

১৯ ফেব্রুয়ারি হেপি কনফেসন-ডে
২০ ফেব্রুয়ারি হেপি মিসিং-ডে
২১ ফেব্রুয়ারি হেপি ব্রেক-ডে
আরও কত রয়েছে নাকি হেপি রোমান্স-ডে?

অবৈধ প্রেম করা সকল ধর্মে মানা
তরুণ তরুণীর একথাটি সবার আছে জানা 
বয়সের দোষে তবু অবৈধ প্রেম করে 
লেখা পড়া সব হারিয়ে জীবন নষ্ট করে 

কত মেয়ে প্রেমে জড়িয়ে 
হেপি রোমান্স ডে পার্কে গিয়ে
নিজ দেহকে স্ব- ইচ্ছায় করে অর্পণ
ধর্মকর্ম ভুলে গিয়ে নরকের হয় ইন্ধন

অবৈধ প্রেমে জড়িয়ে 
হেপি রোমান্স-ডে গিয়ে
করোনা কেহ প্রেমের মাখামাখি 
সমাজের নিন্দায় পরে লুকিয়ে চলবে আঁখি 

পার্কে গিয়ে করে চুমাচুমি,করে জঘণ্য পাপ কাজ
এত নীচ হয় যে,তার কি আছে লাজ?
ভালোবাসার প্রতারণায় ভরা এ সমাজ 
নারী হয়ে বুঝনা কেন তোমার কি তাজ?

একুল যাবে ওকুল যাবে 
হারাবে তুমি সব
অবৈধ প্রেম মহা পাপ
করবেনা ক্ষমা রব

স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসায় নেই কোন দিনক্ষণ 
সত্যিকারের ভালোবাসা থাকে সারাক্ষণ 
স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসায় সন্তুষ্ট হয় রব
স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসায় মিলে বহু সওয়াব

স্বামী-স্ত্রী পরস্পর ভালোবাসো স্পেশাল সকল দিনে
রাগ অভিমান খুনসুটি রোজ হয় সংসারজীবনে 
সবকিছু ভুলে যাও রাখতে নেই মনে
প্রাণ উজাড় করে ভালোবাসো দুজন-দুজনে 

                       সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ১৯/০২/২০২২ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা দেশ দ্রোহী লেখক নাঈম হোসেন

 দেশ দ্রোহী 

নাঈম হোসেন 

মসনদে বসে যারা দেশের মানুষকে করছে শোষণ;
গরীব ও দুর্বলের সম্পদ যারা করছে লুণ্ঠন ;
যারা গরীবের ত্রাণ করে আত্মসাৎ ,
যারা আঙুল ফুলে বড়োলোক হয়েছে হঠাৎ; 

দেশ দ্রোহী নয় কী তারা ?

যারা বিচারের নামে করে প্রহসন; 
যারা খোলা আকাশের নীচে নারীদের করে ধর্ষণ, 
যারা বিজ্ঞাপনের নামে ছড়ায় যৌনতা ,
যাদের দেশ ধ্বংসে থাকে মৌনতা;

দেশ দ্রোহী নয় কী তারা ?

যারা দেশে কৃতিম সংকট তৈরি করে ,
নিত্যপন্যে দাম বৃদ্ধি করে ,
যারা বরাদ্দের নামে জনতার টাকা লুটপাট করে;
যারা শিক্ষার নামে অশিক্ষা বিস্তার করে,

দেশ দ্রোহী নয় কী তারা ?

যারা গণতন্ত্রের অধিকার নেয় কেড়ে ,
যারা স্বার্থের লোভে গুমখুন করে ,
যারা সত্যকে লুকিয়ে মিথ্যা রটনা করে,
যারা মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মানুষ হত্যা করে৷ 

দেশ দ্রোহী নয় কী তারা ?

যারা খেলার নামে বিদেশী পতাকা স্বদেশে উড়ায় 
যারা দেশের টাকা পাচার করে বিদেশে পাঠায়৷ 
যারা সরকারি অফিসে বসে জনগনের টাকা নেয় কলমের খোঁচায় , 
যারা দেশের অর্থ লুট করে বিদেশে স্বপ্ন বিলাশ বাড়ি বানায়,  

দেশ দ্রোহী নয় কী তারা ?
সমাপ্ত ৷৷

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 




কবিতা ঐক্য লেখক নাঈম হোসেন

 ঐক্য 

নাঈম হোসেন 

আজ সময় এসেছে 
মুসলিম জাতির হতে ঐক্য৷ 
এসো ভেঙে ফেলি সকল বাঁধা 
সকল অনৈক্য ৷ 

এসো ভেঙে ফেলি সকল বাঁধা ! 
মোরা মুসলিম , কীসের  কৃষ্ণ , কীসের রাধা ? 

এসো মোরা চলব মিলেমিশে , সতত , সদা ৷ 
মোরা মানবোনা কোনো অন্যায় আইন, কোনো বাঁধা ৷ 
মোরা চলব মেনে এক আল্লাহর আইন খোদা৷ 

কীসের এতো হিংসা ? 
কীসের এতো লিপ্সা ? 
কী মোহে করি এতো সহিংসা ? 
এসো হে মুসলিম মোরা হই একশা ! 

এসো হে মুসলিম ! 
মোরা হই ঐকতান ৷ 

এসো হে বীর ! 
এসো হে চিরউন্নত শির ! 
এসো হে ভাই মোর মুসলিম ! 
কীসের এতো অভিক্রম ?  
মোরা সবাই তো ভাই মুসলিম ! 

এসো মোরা গাই সাম্যের জয়গান ! 
কীসের হরে , কীসের ভগবান ? 
মোরা মুসলিম , 
মোরা বলিবো , এক আল্লাহ সুমহান !  

          সমাপ্ত ৷৷
রচনাকালঃ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা ধর্মকথা লেখক নাঈম হোসেন

 ধর্মকথা 

নাঈম হোসেন 

ভূতের মুখে রামের গল্প অহর্নিশি অধুনাতন।
মূর্খরা ধর্মকথা বলে কোরআন, হাদীসের করে বিশ্লেষণ।
নন্দিত জাতিরা তাই নিন্দিত হচ্ছে কদাচন।
যে পারেনা কলেমার সঠিক উচ্চারণ।
তার মুখে সদা শুনি কোরআনের কথন।

যার নাই নীতিজ্ঞান।
যে বেশী নীতিজ্ঞানহীন।
কথায় কথায় সে দেয় নীতি বচন।
এসব অধুনা সমাজের রেওয়াজ এখন।
কূটকথা বলে ওরা আলেমদের তাজ করে অপনোদন।

ধর্মকথা, ধর্মোপদেশ দিতে হলে চাই ধর্মগ্রন্থের জ্ঞান।
আরও থাকা চাই নাহুমীর, ছরফের শাস্ত্রচর্চা ও শাস্ত্রজ্ঞান।
নতুবা ধর্মশাস্ত্রকার বিষয়ে যার আছে এক্সট্রা অডিশন।
যার নেই এসকল গুণ, গণ্ডমূর্খ বলি তারে,  করি বর্জন। 
সতত করি আলেমদের সম্মান।

যে ইলম করছে অর্জন  
সে পূর্ণ অংশ করছে গ্রহণ ।
তালিবুল ইলমের জন্য  ডানা বিছিয়ে দেয় ফেরেশতাগণ।
আলেমদের জন্য আসমান-যমীনের বসবাসকারীগণ,
আল্লাহর নিকট ক্ষমা ও দোয়া চান।
নবীদের ওয়ারিস হচ্ছেন আলেমগণ।

            সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ৮ জুলাই ২০২২ রোজ শুক্রবার।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা পরকীয়ার বলি নাপা লেখক নাঈম হোসেন

 পরকীয়ার বলি নাপা

নাঈম হোসেন।

সব দোষ লিমা আপার।
দোষ দেয় বেক্সিমকো নাপার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জে,
প্রেমিকার মনোরঞ্জে;
মিষ্টির সাথে বিষ মিশিয়ে,
পেটের দুই শিশুকে খাইয়ে,
সন্তান করে হত্যা।
অবশেষে পাষন্ডমা গুজব রটায়,
নাপা সিরাপে নেই নিরাপত্তা।

ইটভাটার শ্রমিক সুজন খান,
অসহায় দুই শিশুর বাবা।
থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান;
নাপা নয় এটা পরকীয়ার থাবা।
পরিকল্পিত হত্যা বলে পুলিশ আমলে নেন।
সন্দেহের বেড়াজালে ইনভেস্টিগেশন করেন।
অবশেষে চল্লিশ উর্ধ পাষণ্ড মা স্বীকারোক্তি দেন। 

জঘন্যপাপ অন্তরাল করতে চতুর আপা;
পরকীয়ার বলি দেয় নাপা।

সাত বছরের ইয়াসিন,
চার বছরের মুরসালিন,
মাসুম বাচ্চাদের ছিলনা কোন দোষ।
পরকীয়ায় তবু তারা মায়ের চোখের রোষ।

পরকীয়ার সয়লাবে সন্তান পথের বাঁধা 
হরহামেশা ঘটছে এমন হৃদয় কাঁপানো ধাঁধা।

আশুগঞ্জ উপজেলার,
দুর্গাপুর ইউনিয়নের,
দুর্গাপুর গ্রামে,
অবৈধ পরকীয়া প্রেমে,
১০ মার্চ ২০২২ নেমে আসে,
শোকের কালো ছায়া!
ছিঃ ছিঃ ধিক্কারে পল্লিবাসী ভাসে, 
পরকীয়া কেড়ে নেয় সন্তানের মায়া।

রহস্য উন্মোচনে প্রশাসনকে জানাই সাধুবাদ।
ওয়াক থু ছ‍্যাপ ফেলে পরকীয়ার জানাই নিন্দাবাদ।

পরকীয়ায় মাতাল হয়ে খেলছে কত খেলা? 
ভুলটা বুঝে হারিয়ে সব জীবনের শেষবেলা।

কত সন্তান পরকীয়ায় হচ্ছে এখন বলি!
বৈধ স্বামী রেখে স্ত্রী কেন অন‍্যায় পথে চলি?
হালাল পথটা ছেড়ে কেন হারামের পথ ধরো?
ধর্মকর্ম ছেড়ে কেন জঘণ্য পাপ করো?

পরকীয়ামুক্ত সমাজ গঠনে, চাই কঠোর আইন।
স্বামী- স্ত্রী বেমিল হলে, দাও তালাকে বাঈন।
পরকীয়ার হত্যার চেয়ে, মানো ধর্ম আইন।

অহরহ ঘটছে এখন, পরকীয়া প্রেম
মিষ্টি হাসি, দুষ্ট কথায়, করছে সবে ভ্রম
পর্দা ছেড়ে নারীরা এখন, ঘুরছে শহর-গ্রাম
নষ্ট পুরুষ লোভে মত্ত, প্রেমের করে আঞ্জাম।
বোকা নারী ভাবে তখন;
স্বামীর থেকে ওর কাছে যখন,
আমার অনেক দাম। 

হাত ইশারায় দেয় যখন
নারী দুষ্ট হাসি!
প্রতারক পুরুষ বলে তখন 
প্রিয়া তোমায় খুব ভালোবাসি। 

এভাবেই প্রেমে পড়ে, ছলনায় পটে বেশ।
স্বামী সন্তান সব হারিয়ে, নিজেই হারায় শেষ।

পরকীয়া ধর্মে মানা, মান‍্য করি সবাই!
পরকীয়ামুক্ত সমাজ গঠনে, নিজেকে বাঁচাই।
পাপীকে নয়, পাপকে নিন্দা জানাই।
এই সমাজ সুখী হতে পরকীয়ামুক্ত চাই।
               সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ২৫ মার্চ ২০২২ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত৷ 

কবিতা নেশামুক্ত সমাজ চাই লেখক নাঈম হোসেন

 নেশামুক্ত সমাজ চাই 

নাঈম হোসেন 

প্রতিদিন নিউজ পড়ে;
অনাকাঙ্ক্ষিত দেখি কতলোক মরে।
শিশু থেকে বৃদ্ধ কত নারী ধর্ষণ করে।
ক্ষতবিক্ষত লাশ ফেলে দেয় ঝোপঝড়ে।
খাল-বিল, রাস্তাঘাট কিংবা নদীর তীরে।
সবকিছু করছে শুধু নেশার ঘোরে।

মাদকের টাকার জন্য
কত হতভাগা সন্তান হয়ে হন্যে 
মা-বাবাকে অত‍্যাচার করে।
টাকা না পেয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর করে।
চুরি, ডাকাতি ও লুটতরাজ করে।
কতজন আবার বাবা-মাকে জবাই করে।
ভাই, বোনকে ধর্ষণ করে।

নেশাগ্রস্ত মানুষ কি থেকে কি করে?
বলতে পারেনা কিছুই চেতনা ফিরে।
যা কিছু করে তারা নেশার ঘোরে।
তার জন্য পরে আফসোস করে।
কী লাভ হবে, পরে আফসোস করে?
যার জীবন বলি হয়েছে বাইরে কিংবা নীড়ে 
তাকে কী আর পাবে কভু ফিরে?

তবে এমন ভুলটা কেন করি?
এসো সবে নেশামুক্ত সমাজ গঠন করি।
জীবনকে সবে ভালোবাসুন,
মাদক থেকে দূরে থাকুন।
মানবদেহে মাদক করছে নানা ক্ষতিকর প্রভাব।
সুস্থ জীবন গঠনে সেগুলো জানতে হবে সব।
মাদকমুক্ত সমাজ গঠন তবেই সম্ভব।

এসো স্লোগান ধরি সবাই 
মাদকমুক্ত সমাজ চাই
মাদকের ক্ষতিকর দিক তাই 
এসো জানি ও মানি সবাই!

এসো জানি জনে জনে!
কি ক্ষতি হয় মদ‍্য পানেঃ
গ‍্যাস্ট্রিক ও আলসার হয়।
লিভার সিরোসিস ও ক‍্যান্সার হয়।

ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণেঃ
পড়বে তুমি এইডস আক্রমণে।
আরও হেপাটাইটিস বি ও সি হয়।
সকল মাদক গ্রহণেঃ
স্বাস্থ্যের দ্রুত ক্ষতি হয়।
মাদকাসক্তির পরিণতি অকাল মৃত্যু ঘটায়।

আরও রাখবে জেনে,
ফেন্সিডিল ও হেরোইন সেবনেঃ 
পুরষত্বহীনতা ও বন্ধ‍্যাত্ব দেখা দেয়।
তাছাড়া ফুসফুস ও হার্টে প্রদাহ হয়।

গাঁজা সেবনেঃ 
ভালো-মন্দ বিচার করার ক্ষমতা হ্রাস পায়।
দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
স্মৃতিশক্তি লোভ পায়।
মতিভ্রম হয়।

ইয়াবা সেবনেঃ 
স্মরণশক্তি কমে যায়।
মনোযোগ ক্ষমতা নষ্ট হয়।
আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
যৌনশক্তি নষ্ট হয়।
বন্ধ‍্যাত্ব দেখা দেয়।

ইয়াবা সেবনে আরও যা হয়ঃ 
মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ হয়।
লিভার ও কিডনি নষ্ট হয়।
উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়।
হার্ট এ‍্যাটাক হয়।
কলহ প্রবণতা বেড়ে যায়।
আগ্রাসী ও আক্রমণাত্মক মনোভাব হয়।

আরও শিহরিত হবে জেনে 
যা ক্ষতি করে ধূমপানেঃ 
মুখে ঘা ও ক‍্যান্সার হয়।
ফুসফুসে ক‍্যান্সার হয়।
হঠাৎ হার্ট এ‍্যাটাক হয়;
এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়।

এছাড়াও নেশাগ্রস্তের কারণেঃ
পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি হয়।
পরকীয়া ও বহুবিবাহ বৃদ্ধি পায়।
স্বামী- স্ত্রী কলহ ও তালাক প্রথার প্রসার হয়।
সামাজিক আত্মমর্যদার অবমূল্যায়ন হয়।

তাই সকল নেশা করতে হবে পরিত্যাগ।
সুস্থ ও সুন্দর জীবন পাবে ফিডব‍্যাগ।
সুস্থ ও সুন্দর জীবন গড়তে তাই---
সকল প্রকার নেশামুক্ত জীবন চাই।

মাদকমুক্ত সমাজ গঠনেঃ
প্রচার প্রচারণা করতে হবে জনে জনে।
জানতে হবে
মানতে হবে
মাদকের ক্ষতিকর নানান দিক।
সমাজটা তবেই হবে 
সুস্থ, সুন্দর ও নৈরাজ্যমুক্ত ঠিক।
               সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ৩০ মার্চ ২০২২ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা জবরদখল কবি নাঈম হোসেন

জবরদখল

নাঈম হোসেন 

সহস্র শতক সরকারি জমি হচ্ছে জবরদখল।
প্রশাসনের নিরব সম্মতিতেই হচ্ছে সব দখল।
দেখেও না দেখার করে ভান, নেই কোন টহল।
দক্ষিণার জোরেই ভূমিদস্যু করছে বেআইনি দখল। 

সরকারি ভূমি থেকে মালিকানাধীন ;
জবরদখল করে বড়লোক হচ্ছে দিনদিন।
ভূমি দস্যুদের ক্ষমতা রয়েছে চারদিক।
ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলছে নির্ভীক। 

ক্ষমতার দাপটে,
সবকিছু নেয় লুটে।
মুখোশের আড়ালে তারা আসল রুপে ফুটে।
উপরটা শুভ্র তাদের ভিতরটা হিংসুটে।

সমাজে তারা সমাজ সেবক 
দশে দেয় করতালি।
ভূমিলোভে বাতুল হয়ে, ছদ্মবেশী শোষক।
একখণ্ড জমির জন্য অসহায়কে দেয় বলি।

বেচারা অসহায়।
চাপাকষ্টে করে হায় হায়।
গ্রাম আদালত থেকে উচ্চ আদালতে যায়।
সঠিক বিচার কোথাও না পায়।

সবকিছু হারিয়ে শেষে হয় ভবঘুরে।
উপরে তবু হাসি থাকে ভিতর শোকে পুড়ে।
সব থাকতেও নিঃস্ব তারা ভূমি দস্যুদের জোরে।
ডান-বামের জোরে তারা সবকিছু নেয় কেড়ে।

সরকারি কত জমি ভূমি দস্যুরা নেয় কেড়ে।
ভূমিহীনরা আবাসন পায় নদীর তীরে। 
অথবা বালুচরে। 
ঘর পেয়েও নিরাপদ নয় কাঁপছে শুধু ডরে ।
কখন যেন হারিয়ে যায় অজানা ঘূর্ণিঝড়ে।

সরকারি যত জমি ভূমিদস্যুরা ভোগ করে।
প্রশাসন সেগুলো যদি উদ্ধার করে।
ভূমিহীনদের ঠাঁই সেথায় দেয় যদি করে।
ভূমিহীনরা নিরাপদ থাকবেনা আর ডরে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  আপনাকে জানাই।
ভূমি দস্যুদের হাত থেকে দেশটা মুক্তি চাই।
                সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ১ এপ্রিল ২০২২ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা অর্থ লেখক নাঈম হোসেন

 অর্থ 

নাঈম হোসেন।


রংমেলার এই পৃথিবীতে আপন কেহ নাই।
অর্থের কাছে বিক্রি সবাই,
অসহায়, গরীব জ্ঞানীদের মূল্যায়ন নাই।
পকেট ভর্তি টাকা যার, যশঃকীর্তন তার পাই।

অর্থের পিছু সবাই ছুটে।
গরীবের ধন সবাই লুটে।
ধনকুবের না হলে বউয়ের কাছেও ভালোবাসা নাই।
ধনকষ্টে আছে যে তার দুঃখের শেষ নাই।

ঐশ্বর্য দেখে আশিত্তোর বৃদ্ধকেও ষোলো বছরের কিশোরী বিয়ে করে।
টাকা না থাকলে পকেটে ভালোবাসার বউও যায় ছেড়ে।
মানুষ সবাই টাকা ছাড়া বুঝেনাতো কিছু।
ন‍্যায় - অন‍্যায় ভুলে তাই ছুটছে অর্থের পিছু।


অর্থশূন‍্য মানুষগুলোর আপন হয়না কেউ।
মুখে তাদের হাসি থাকে হৃদয় কষ্টের ঢেউ।
অপরাধ না করলেও সবাই দেয় তার দোষ।
অর্থ না থাকায় সবার চোখের সে রোষ।

অর্থ মোহে বিবেকহীন হয়ে করে কত কলুষ।
কত দর্প করে চলে থাকেনা কোন হুঁশ।
ধনহীনরা খেতে পায়না বিত্তবানরা করে ধনক্ষয়।
ফূর্তিতে ডগমগ করে, থাকে নারী ও মদের নেশায়।

অর্থের জন্য মানুষ কত কাজ করে নানা পেশায়।
ধনী-গরীব, উঁচু-নিচু অর্থই পরিচয়।
অর্থ থাকলে গণ্ডমূর্খরাও পায় কত সম্মান।
অর্থহীন হলে সমাজের পদেপদে পায় অপমান।

এমন অঢেল অর্থ আমি চাইনা যার জন্য মানুষে মানুষে হয় ব‍্যবধান।
শুধু দুমুঠো ভাত চাই, সমাজে চাই সবার সম্মান।
গুণীজনদের সমাজে চাই কদর।
আমীর - ফকির মিলেমিশে থাকব অভেদ বন্ধনে করব ন‍্যায়ের সমর।
                            
 সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ১০ জুলাই ২০২২ ইং রবিবার।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 


কবিতা তেল লেখক নাঈম হোসেন

 তেল 

নাঈম হোসেন 

ফেসবুকে এখন তেল নিয়ে হইচই!
বাজার, পল্লী, মহল্লায়ও হয় রইরই!
বেড়েছে তেলের দর,
তাই এতো কদর।

বাজারে গিয়ে দেখি;
বৃদ্ধ এক কাকার চোখে পানি!
শুধানো তারে কী কষ্টে এমন ভিজেছে আঁখি?
বলেন আমায় মনোযোগ দিয়ে শুনি।

বলছে কাকা 
মন্দ আমার ভাগ্যের চাকা
মধ্যবিত্ত সংসার আমার 
নেই তেমন আয় রোজগার।

টাকা-পয়সা নেই কিছু 
পকেট তাই খালি।
কষ্টের কথা কাকে বলি
মুখে আসে গালি।

সবজির বাজার যেমন—তেমন
তেলের গায়ে আগুন।
তেল ছাড়া খেতে হবে ভর্তা আলু আর বেগুন। 
চাউলের দামটাও বেড়ে কয়েকগুণ।

আটা, ময়দা, চিনি ও লবন 
আদা, পেয়াজ ও রসুন 
মাছ, মাংসের বাজারও বেড়ে লাগামহীন।
দ্রব‍্যমূল‍্যের উর্ধ্বগতি বুকে কষ্টের বীণ।

কী থেকে কী করি এখন 
ভেবে পাইনা কিছু!
বাজার ব‍্যাগ নিয়ে ঘুরছি সেই কখন 
কেনা হয়নি কিছু।

কীভাবে এখন চলবে জীবন 
ভাবছি পরিশেষ 
ডিজিটাল দেশ হয়ে এখন 
কষ্টের নাই শেষ।

তেলের বাজার বাড়তি নয়
করছে সিন্ডিকেট।
যদি প্রশাসনের কঠোর অভিযান হয় 
তবেই বাঁচবে দেশ।
বাঁচবে মানুষ 
থাকবেনা কোন সিন্ডিকেট।
           সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ১৩ মার্চ ২০২২ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা চামচা লেখক নাঈম হোসেন

 চামচা 

নাঈম হোসেন 

চামচারা সব কথায় পটু সবার প্রিয় বেশ।
চোখে পরে হলুদ চশমা, মিষ্টি কথায় ধরে ছদ্মবেশ।
দুষ্ট কথার আড়ালে তার থাকে মিষ্টি হাসি।
কথার জালে পড়লে তবে, যাবে তুমি ফাসি।

এমনভাবে মিথ্যা কথা গুছিয়ে তারা বলে 
সত্যিটা তখন চাপা পড়ে মিথ্যার আড়ালে।
কথায় কথায় তেল দেয় নেতার সামনে এলে।
পদ পদবী সব মিলে নেতা খুশি হলে।
আরও মিলে বকশিশ, ঢের টাকার থলে।

চামচারা তাই সেলফি তোলে,
নেতার কাছে এলে।
ফেসবুকে ভাইরাল করে, চামচামিটা বলে। 
দেশের মানুষ জিম্মি এখন চামচাদের দখলে।

রচনাকালঃ ২৪ এপ্রিল ২০২২ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷

কবিতা নিষ্ঠুর পৃথিবী লেখক নাঈম হোসেন

নিষ্ঠুর পৃথিবী 

নাঈম হোসেন 

নিষ্ঠুর প‍‍ৃথিবীতে কেউ আপন নয়,
অর্থমোহে মত্ত সবাই পিতা-পুত্রে সংঘর্ষ হয়।
বাবার কাছে কন্যাদেরও নিরাপদ নয়,
জাহেলিয়‍্যাত সমাজ ফের পেয়েছি বোধহয়।

ভাই-বোনকে করছে ধর্ষণ,
আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা এখন, কেউ নিরাপদ নয়।
পরকীয়ায় মেতে পুরুষ-নারী,
আপনকে করে পর শত্রুর সঙ্গে দিচ্ছে পাড়ি।

পরকীয়া এখন, মহামারি রুপে করছে ধারণ।
ধর্ম শাস্ত্রে আছে বারণ,
তবু পেটের সন্তান দিয়ে বলি,
প্রেমলীলায় মেতে খেলছে ওরা রক্তের হোলি।

মানুষ সবাই এতো নিষ্ঠুর বলার ভাষা নাই,
অর্থ লোভে ছুটছে সবাই উপকারে নাই।
মুখে আছে কথার যাদু অন্তরেতে বিষ,
প্রতিবেশির ভালো দেখলে মনে শুধু রিষ।

ভালোবাসা নেই এখন আছে শুধু যন্ত্রণা,
প্রেমের নামে যৌনতা হয় অবশেষে বঞ্চনা।
বর্বরতা ছড়িয়ে পড়ছে গোটা সমাজ,
ঘরে- বাইরে যৌনতা হয় নেই কারো লাজ।

বিপদে ডাকলেও কভু দেয়না কেউ সাড়া,
ধনভান্ডার বেশি যার সেই সবার সেরা।
তেলবাজিটা যতবেশি, ততবেশি লাভ,
চামচামিতে নিপুণ যে সবার সাথেই থাকে তার ভাব।

সহজ সরল চলে যেজন,
সত্য বচন বলে সেজন।
কেউ তার হয়না আপন,
মানুষগুলো নিষ্ঠুর বলে একলা হয় তার জীবনযাপন।

পৃথিবীটা নির্দয় নয়,
মানুষেরাই নির্মম হয়।
অর্থের ভেলকিতে এমন হয়।
লিপ্সু এই পৃথিবীতে আপন কেহ নয়।
          সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ১ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 






কবিতা স্বপ্নসেতু কবি নাঈম হোসেন

 স্বপ্নসেতু

নাঈম হোসেন 

আমাদের টাকায় পদ্মাসেতু আমরা করেছি।
স্বাধীনতার পতাকা পেয়ে আমরা নওল স্বপ্ন বুনেছি।
খেটে খাওয়া আমার ভাইয়ের টাকায়।
স্বপ্নসেতু পেয়েছি মাওয়ায়।

এ যেন স্বাধীনতার পর আরেক নতুন স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
যেমনটা বঙ্গবন্ধু চেয়েছে তেমন স্বপ্নের বাংলা আমরা পেয়েছি।
সরাসরি সড়ক যোগাযোগ হবে এখন একুশ জেলায়।
তিন কোটি মানুষের কষ্ট হবে দূর, সকালে এসে ঢাকায়, বিকেলে ফিরবে বাসায়।

বঙ্গবন্ধুর কল্পনা স্বপ্ন তুমি করলে বাস্তবায়ন।
পঁচিশে জুন স্বপ্নসেতুর করলে উদ্বোধন।
স্বপ্নসেতু এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তবে তা হলো উম্মোচন।
বঙ্গকন‍্যা তুমি দেশের জন্য স্বপ্নসেতু করে দেখিয়েছো উন্নতির সোপান।

বাঙ্গালীরা কখনও হারতে শিখেনি উড়িয়েছে বিজয়নিশান।
স্বাধীনতা আর স্বপ্নসেতু তার চাক্ষুষ প্রমাণ।
পৃথিবীর সেরা দেশের সঙ্গে যা শোভমান।
তুমি বাঙ্গালীদের দিলে স্বপ্নসেতু, দিলে আশ্রয়ণ।

কী নেই বাংলাদেশে আজ? কী পাইনি আমরা? 
শতভাগ বিদ‍্যুৎ পেয়েছি। নারীর সমতা পেয়েছি। 
আরও যা কখনও কামনা করিনি এমন কিছু পেয়েছি আমরা।
তবে আজও বাকস্বাধীনতা পাইনি  ! সুশিক্ষা হারিয়েছি। গণতন্ত্র হারিয়েছি।

আমরা নিজেদের টাকায় স্বপ্নসেতু করেছি তবে টোল চাইনি।
টোল কেনইবা দেব যখন আমরাই টাকা দিয়েছি?
যদি টোল দিতেই হয় তাহলে আমাদের এই স্বপ্নসেতুর কি দরকার ছিল?
উত্তর দাও নিশ্চুপ থেকোনা তুমি বল?
যেখানে আমরা স্বাধীনভাবে ঘুরতেও পারবনা, এমন স্বপ্নসেতু আমরা চাইনি।

প্রয়োজনের তাগিদে আপনার ডাকে আমরা সাড়া দিয়ে স্বপ্নসেতু করেছি।
কারণ আমরা পাখির মত স্বাধীনভাবে উড়তে চেয়েছি।
আমরা টোল চাইনা! আমরা স্বপ্নসেতুর কোন ক্ষতি চাইনা।
কেউ সামান্য ক্ষতি করলেও আমরা তাকে ছাড়বনা।

আপনি যখন যা বলেছেন আমরা আপনার কথায় সাড়া দিয়েছি।
আমরা আপনার অসীম ভালোবাসা পেয়েছি।
আপনার প্রতিটা কর্মে আপনি গর্বিত। আমরা আপনার প্রশংসা করছি।
আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি। 

কথা দিচ্ছি আপনার অবাধ‍্য আমরা হবো না!
আমরা বাকস্বাধীনতা চাই।
আমরা সত্য বলার অধিকার চাই।
আমরা গণতন্ত্র চাই।
আমরা টোলমুক্ত স্বপ্নসেতু চাই।
আমরা দেশের দুশমন ও অপরাধীদের সঠিক বিচার চাই।

আমরা আপনাকেই বারবার প্রধানমন্ত্রী চাই।
আমরা আপনার শত্রু নই।
কিছু মুখোশ পরা দলের হোতারাই আপনার চির শত্রু।
যারা কথায় কথায় আপনার প্রশংসা করছে কিন্তু ওদের অন্তরে রয়েছে বক্র।

যারা আপনার চারপাশে সর্বদা ঘুরে বেড়ায়।
ওরা ওঁত পেতে আছে সুযোগের অপেক্ষায়।
কিন্তু আমরা কথা দিচ্ছি কখনো যদি আপনার দুঃসময় ফের আসে।
তখন সর্বপ্রথম আমরাই থাকব আপনার পাশে।

আমরা আপনাকে ভালোবাসি। 
আমরা দোয়া করি সারা জীবন আপনি বেঁচে থাকেন আমাদের পাশাপাশি।
আপনার মতো দ্বিতীয় কোন নেতা নেই সাহসী।
সূর্য উদয়ের মত আপনি যুগযুগ ধরে থাকেন আমাদের পাশাপাশি।
                 সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ৩০ জুন ২০২২ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷

কবিতা তেলের কারসাজি তেলেসমাতি লেখক নাঈম হোসেন

 তেলের কারসাজি তেলেসমাতি

নাঈম হোসেন 

ডিলার থেকে খুচরা বিক্রেতা,
হঠাৎ কারো কাছে নেই তেল!
দোকানের পর দোকান খুঁজে দিশেহারা ক্রেতা, 
কোথাও মিলছে না এক লিটার সয়াবিন তেল।

হঠাৎ তেলের এমন কী কারসাজি তেলেসমাতি?
যার জন্য ঘরে ঘরে দুর্ভিক্ষ‍্যের মত দুর্গতি!
তেল ছাড়া চলেনা যে রান্না কোন তরকারি।
তেল শূন্যতায় বুঝেছে সবে, তেল কতটা দরকারি।

সিন্ডিকেট দল তেল নিয়ে করছে কারসাজি।
তেল যেন আলাদিনের চেরাগ, কোথাও পায়না খুঁজি।
বিক্রেতারা দাম বাড়াতে তেল নিয়ে করছে তেলেসমতি!
ক্রেতাদের ঘরে ঘরে তাই এমন চরম দুর্গতি।

তেলের দর নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে হচ্ছে বাকবিতণ্ডতা 
কী করবে কিংকর্তব্য-বিমূঢ় ক্রেতা।
ভোক্তাদিকারে দিলেও ফোন;
হয়না এ‍্যাকশন তেমন।

সরকার নাকি ভোজ্যতেলের মূল্য করছে ১৯৮ টাকা?
খুচরো বিক্রেতারা তাই করছে বিক্রি দুই শত দশ টাকা।
ক্রেতা বিক্রেতা দর নিয়ে বাড়াবাড়ি।
বিক্রেতা তেল বিক্রি না করার ধরছে আড়ি।

হঠাৎ ভোজ্যতেল যেন হীরার চেয়েও দামি।
বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে হতভম্ব আমি।
সয়াবিন ছাড়া চলেনা যখন রান্নার কাজ।
তেলের জন্য লড়াই করব প্রয়োজনে আজ।

তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ চাই।
স্বল্পমূল্যে ভোজ্যতেল চাই।

              সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ১৩ মে ২০২২ইং 

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷

কবিতা তেল নিয়ে সিন্ডিকেট লেখক নাঈম হোসেন

 তেল নিয়ে সিন্ডিকেট 

নাঈম হোসেন 

আমরা লজ্জায় মুখ ঢাকি আঁচলে।
তেল নিয়ে বারবার সিন্ডিকেট চলে।
তেলের বাজারে লেগেছে আগুন।
গরিবের কষ্ট তাই বেড়েছে কয়েকগুণ।

সিন্ডিকেট চক্রের দখলে 
তেলের বাজার চলে।
ব‍্যবসায়ীরা সরবে।
প্রশাসন নিরবে।

গরিবদের কষ্টের নিঃশেষ 
আর মধ্যবিত্তদের ক্লেশ ।
মানবতার দেওয়ালে পড়েনি সাড়া 
জোঁকের মত রক্ত চুষে খাচ্ছে ওরা।

নুন আনতে পানতা নাই 
দু'শত দশ টাকায় তেল খাই
তেলের বাজার হাতের নাগাল চাই 
নইলে গরিবদের জন্য বিষ চাই 

              সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ১২ মে ২০২২ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷

কবিতা লুটপাট লেখক নাঈম হোসেন

 লুটপাট 

নাঈম হোসেন 

রাজনৈতিক নেতারা,
আর সরকারি আমলারা;
দেশটাকে লুটপাট করছে।
জনগণের টাকা লুটে খাচ্ছে।

উত্তর থেকে দক্ষিণ ও নৈর্ধতকোণ;
প্রাচি থেকে প্রতীচী ও ইশান কোণ;
মধ্যে থেকেও ঠোকরে ঠোকরে খাচ্ছে।
মাথা গোঁজার জায়গাটাও সর্বগ্রাস করছে।

তেলের বাজার লুটছে ওরা,
পেয়াজের বাজার লুটছে।
চাল, ডাল লুটছে ওরা ;
গরীব ধুঁকে মরছে।

ইন্টারনেট কোম্পানিগুলো বড্ড চালাকি করছে;
আনলিমিটেড মেয়াদের নামে অর্থ লুট করছে।
বিদ‍্যুতের দিন মন্দ যাচ্ছে লোডশেডিং দিচ্ছে।
রাস্তাঘাট মেরামতের নামেও অর্থ লুট হচ্ছে।

উঁইঢিবিতে বাঁধছে বাসা!
দেশ করবে সর্বনাশা।
মানচিত্রটা ঠোকরে খাচ্ছে তাই।
স্বাধীনতা পেয়েছি বটে, কেউ স্বাধীন নাই।

সত্য কথা বললে;
প্রতিবাদ করলে,
জেল জরিমানা হবে।
বাড়াবাড়ি বেশি করলে,
জীবনটাই যাবে।

সবকিছুই অটো চলে,
ভোটের দরকার নাই।
মুখে সবাই সাধু বলে,
ভিতরটা খাইখাই।

প্রতিরোধের ভাষা নিয়ে,
রাজপথে এসো বেড়িয়ে ;
নইলে রক্ষা নাই।
সময় থাকতে এসো সবাই,
প্রতিবাদ জানাই।।

     সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ১৪ মে ২০২২ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷

কবিতা একজন চালকের পূর্ব করণীয় লেখক নাঈম হোসেন

 


একজন চালকের পূর্ব করণীয়

নাঈম হোসেন

ড্রাইভারদের নিয়ে আলোচনা করছি আজ
গাড়ি চালনার আগে একজন চালকের কী? কী? করণীয় কাজ?
গাড়ি চালনার পূর্বে যা যা চেক করে নিবে 
গাড়ির হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র সঙ্গে নিবে ৷ 

নিম্নে যেসকল সনদের কথা করব বর্ণন; 
গাড়ির সঙ্গে আছে কিনা দেখে লও 
অতঃপর নিরাপদে ঝুঁকিমুক্ত গাড়ি চালাও।
সেসবের কথা করছি বর্ণনা চালকেরা শুনুন।

 মেয়াদসহ সবকিছু ঠিক আছে কিনা?
 রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট।
মেয়াদসহ সবকিছু ঠিক আছে কিনা?
 ফিটনেস সার্টিফিকেট, 


মেয়াদসহ সবকিছু ঠিক আছে কিনা?
ট্যাক্সটোকেন সার্টিফিকেট।
মেয়াদসহ সবকিছু ঠিক আছে কিনা
 ড্রাইভিং লাইসেন্স সার্টিফিকেট।

মেয়াদসহ সবকিছু ঠিক আছে কিনা
 ইনসিওরেন্স (বিমা) সার্টিফিকেট,
মেয়াদসহ সবকিছু ঠিক আছে কিনা
 রুট পারমিট সার্টিফিকেট ।

আরও কতিপয় নিয়মকানুন অনুসরণ কর
অতঃপর গন্তব্যস্থলের দিকে স্টিয়ারিং ধর।
নিম্নে সেগুলো করছি বর্ণন।
পড়াশুনা করে মাথায় রেখে কর অনুসরণ।


সবকিছু নিয়মকানুন জেনে
যদি অনুসরণ কর
সবকিছু নীতিমালা মেনে 
যদি গাড়ি চালনা কর


ড্রাইভিংএ সেরা তুমি তবেই হবে , 
সরক দুর্ঘটনা নয় নিরাপদে বাড়ি যাবে।
চালকদের জন্য রয়েছে হরেক নিয়মকানুন 
গাড়ি চালনার পূর্বের নিয়মটা আগে জানুন।


গাড়িতে জ্বালানি আছে কি না পরীক্ষা কর , 
না থাকলে পরিমাণ মতো ভর।
রেডিয়েটর ও ব্যাটারিতে পানি আছে কি না পরীক্ষা কর
 না থাকলে পরিমাণ মতো পূর্ণ কর।


 ব্যাটারির কানেকশন ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা কর।
কানেকশন লুজ থাকলে ঠিক কর।
লুব/ইঞ্জিন অয়েলের লেবেল ও ঘনত্ব পরীক্ষা কর,
কম থাকলে পরিমাণ মতো আরও ভর।


মাস্টার সিলিন্ডারের ব্রেকফ্লুইড, ব্রেকঅয়েল পরীক্ষা করে , 
কম থাকলে আরও নাও ভরে।
ব্রেক ও ক্লাচের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে
সমস্যা কোথাও থাকলে নাও সেটা সেড়ে।


গাড়ির ইঞ্জিন, লাইটিং সিস্টেম, ব্যাটারি ও স্টিয়ারিং
ও সকল বিয়ারিং 
ইত্যাদি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না? 
নাট-বোল্ট টাইট আছে কি না ?
সার্বিকভাবে মোটরযানটি ত্রুটিমুক্ত আছে কি না

সবকিছু নাও পরীক্ষা করে।
কোথাও সমস্যা দেখলে নাও ঠিক করে।
গাড়ির বাইরের 
এবং ভিতরের 
বাতির অবস্থা চেক কর , 
সমস্যা দেখলে তা ঠিক কর।


চাকা (টায়ার কন্ডিশন
হাওয়া/নাট/এলাইমেন্ট/রোটেশন
স্পেয়ার চাকা পরীক্ষা করে ।
সমস্যা থাকলে সেগুলো নাও ঠিক করে।


অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র এবং ফাস্টএইড বক্স গাড়িতে রাখ।
প্রয়োজনীয় খাবার, বিশুদ্ধ পানি গাড়িতে রাখ।
হাত-মুখ মোছার গামছাটাও রাখ।
টয়লেট টিস্যু ও অন‍্যান‍্য প্রয়োজনীয় যা সবকিছু গাড়িতে রাখ।


সবশেষে গাড়িটাকে ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে 
গন্তব্যের দিকে বের হও স্টিয়ারিং ধরে।
প্রতিদিন একইভাবে এই কাজগুলো করবে।
পরিপাটি পোশাক পরে গাড়ি চালনা করবে।

ড্রাইভিং পেশা ছোট নয়, দেখবে 
অচিরেই তোমাদের আত্মমর্যাদা বাড়বে।

       সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ১৪ মার্চ ২০২২ ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কপিরাইট সংরক্ষিত৷ 

কবিতা জলপ্লাবন লেখক নাঈম হোসেন

 জলপ্লাবন

নাঈম হোসেন 

বানের জল দিচ্ছে হানা।
পাঁচ জেলা ফানা ফানা।
দাদাকে দিয়েছি ইলিশ, আম।
জলপ্লাবন দিয়ে দিচ্ছে দাম।

ডুবজলে বৃদ্ধ, শিশুর আর্তনাদে।
পৃথিবী ভারাকান্ত, পশুপাখিরাও কাঁদে।
বসতবাটী লন্ডভন্ড, সবাই সর্বহারা।
নিষ্ঠুর দাদাদের নেই তবু সাড়া।

জলপ্লাবনে ভেস্তে গেছে সবকিছু।
নিভন্ত নিশ্বাস, শেষতম নেই কিছু।
তবু কিছু চাইনা তাদের বাঁচার আকুতি ছাড়া।
নিষ্ঠুর পৃথিবীতে কেউ যদি দয়াকরে দেয় সাড়া।

অর্ধ-ক্রোর মানুষ হঠাৎ পানিবন্দী।
মোদী তুই দায়ী, সবকিছু তোর ফন্দি।
কথা ছিল জল দিবি তৃষ্ণার্তকালে।
সেই জল দিলি তুই বানের জলে।

আম খেলি, ইলিশের মজা নিলি তবু লাজ নেই।
নিরীহ মানুষদের জলে ডুবে মারলি তুই, তোর ক্ষমা নেই।
ওরে পামর কিসের মোহে অশ্রু ঝরালি, সবকিছু নিলি কেড়ে?
কুকুরের থেকেও হীন তুই প্রমাণ করলি বেইমানি করে।

তুই নিন্দিত! তুই ধিকৃত! থুঃ তোর মুখে।
নির্মম পামর তুই! দয়ার্দ্র নেই তোর বুকে।
গোটা বাঙালির হৃদয়ে বিঁধিয়েছ বিষাক্ত তীক্ষ্ণ তির।
কেড়ে নিয়েছো মুখের আহার, কেড়ে নিয়েছো নীড়।

এবার ক্ষান্ত দে।
গজলডোবা বাঁধের গেট বন্ধ করে দে।
কোন শত্রুতা নেই তোর সাথে।
জলপ্লাবনে ডুবে মরছি মোরা, মরব না ভাতে।

আমরা রক্তচক্ষু চাইনা, শান্তি চাই।
আরও যদি কিছু চাও, তাও দিতে চাই।
বিনিময় কিছু চাইনা, শুধু বাঁচতে চাই।
এই বর্ষায় সকল বাঁধের মুখ বন্ধ চাই।

সাহায্যের হাতটা দাও বাড়িয়ে।
আর খেলোনা আমাদের জীবন নিয়ে।
সকল বাঁধ দাও বন্ধ করে।
আমার ভাইয়েরা জলে ডুবে মরে।

সবকিছু যাবো ভুলে, করে দেব ক্ষমা।
কষ্ট যদি পেয়ে থাক তুমি, জীবন মরণের প্রশ্নে রেখোনা জমা।
আমাদের বাঁচতে দাও! বন্ধ করো তোমার আস্ফালন!
কী চাই তোমার? বন্ধ করো শত্রুতা ও হিংস্রতা, বন্ধ করো জলপ্লাবন।

           সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ২০ জুন ২০২২ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা আত্মশুদ্ধির রমজান লেখক নাঈম হোসেন

  আত্মশুদ্ধির রমজান নাঈম হোসেন  রমজান ওগো আত্মশুদ্ধির রমজান! তোমার মধ্যে রয়েছে অফুরন্ত কল‍্যাণ। তারাবীহ, সেহেরি আরও ইফতার। হাজার বছরের র...

most popular post