কবিতা আত্মশুদ্ধির রমজান লেখক নাঈম হোসেন

 আত্মশুদ্ধির রমজান

নাঈম হোসেন 

রমজান ওগো আত্মশুদ্ধির রমজান!
তোমার মধ্যে রয়েছে অফুরন্ত কল‍্যাণ।
তারাবীহ, সেহেরি আরও ইফতার।
হাজার বছরের রজনী শবে-কদর।
বিজয় হয়েছে মক্কা নগর ও  বদর।

রহমত বরকত মাগফেরাত আরও কত উপটৌকন।
একটি সেজদা সত্তরটি সেজদার সমান।
একটি ফরজ, একটি সুন্নত, নফল সত্তরটির সমান।
বেহেশতের সবক'টি দরজা খুলে করেছ পূণ্যের সব আয়োজন।

এ মাসে অবিরাম রাত্রিদিন।
আত্মশুদ্ধির দিন।
তবু কত হেলায় কাটাই আমরা দিন।
করিনা কেন সিরাত মুস্তাকিমের সন্ধান ?

কুরআনের মাস পেয়ে ধন‍্য আমি।
ইবাদতে কাটাব দিবস-যামী।
মনে আছে যতো কালিমা।
প্রভুর কাছে চাবো ক্ষমা।

মাফ করে 
দাও মোরে।
রেখোনা আর কোন অভিমান।
তোমার প্রতি এনেছি খাঁটি ঈমান।

তুমি আমার ইলাহী! তুমিই রব!
শিরক-বিদায়াত যতো গুনাহ মাফ কর সব।
তুমি গফুর তুমি রহমান।
আমার প্রতি হও দয়াবান।

তুমি মালিক!
তুমি খালিক!
আমায় কর রিযিক দান।
সকল গুনাহ হতে চাই পরিত্রাণ।

তুমি অন্তর যামী 
লুকোছাপা যতো কথা সব জানো তুমি 
তোমার কৃপায় বাঁচি আমি 
দাও মোরে দু'হাত ভরে, কী চাই আমি?

রহমত, মাগফেরাত দাও নাযাত।
মাতা-পিতাকে ক্ষমা কর, চাই তাদের জান্নাত।
জীবিতদের সুস্থ-সবল রেখো, দাও আবেহায়াত! 
পরিশেষে চাই তোমার সন্তুষ্টি! চাই জান্নাত!
                   সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ৪ এপ্রিল ২০২২ই 
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কপিরাইট সংরক্ষিত৷ 

কবিতা ইসরায় নবীজির দর্শন লেখক নাঈম হোসেন

 ইসরায় নবীজির দর্শন 

নাঈম হোসেন 

ইসরায় নবীজির দর্শন 
কী পাপে কী শাস্তি
তা করা হল বর্নণ

আল্লাহর নবী ইসরায় গেল 
কী পাপে কী শাস্তি 
সেখানে দেখতে পেল

একেক পাপের একেক শাস্তি
নবী দিয়েছে বর্নণ
জানলে মানবের শরীর হবে শিহরণ 

বেনামাজির শাস্তি 
নবীজি কি ভয়ংকর দেখছেন,
আযাবের ফেরেশতাদের দেখলেন,
প্রকট পাথর দিয়ে 
অপরাধীদের মাথায়
আঘাত করছেন।
আঘাতে মাথা ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে,
পুনরায় ভালো হয়ে যাচ্ছে, 
আবার আঘাত করা হচ্ছে
এভাবে রাত-দিন বছরের পর বছর কাটছে।

তাই কবি বলেন,
নামাজের প্রতি হতে হবে সচেতন 
সময় থাকতে কর সবে নামাজের যতন।

জাকাত না দেওয়ার শাস্তি
নবীজি কী নির্মম দেখলেন,
তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে পাওনাদাররা থাকবে
তারা পশুবৎ চরবে
নোংরা আবর্জনা ময়লা ও পুঁজ খাবে
কাঁটাযুক্ত আঠালো বিষাক্ত ফল খাবে,
জাহান্নামের উত্তপ্ত পাথর ভক্ষণ করবে।

তাই কবির উপদেশ হবে  
শোন মানব সবে
যাকাত ফরজ হলে তা দিয়ে দিবে 
ভয়ঙ্কর আযাব থেকে তবে  মুক্তি পাবে।

চোগলখোরের শাস্তি
নবীজি কী লোমহর্ষক দেখলেন,
তাদের পার্শ্বদেশ হতে 
গোশত কেটে তাদের খাওয়ানো হচ্ছে; 
আর বলা হচ্ছে, 
যেভাবে তোমার ভাইয়ের গোশত খেতে,
সেভাবে এটা হবে খেতে।

চোগলখোরী হতে তাই
দূরে থাক মুসলিম ভাই
এ ভয়ানক আযাব হতে তবে 
রেহাই পাবে সবে।

গিবতকারীদের শাস্তি 
নবীজি অনুরূপ দেখলেন
তাদের অগ্নিময় লোহার নখর দ্বারা 
তাদের চেহারা ,বক্ষ বিদীর্ণ করছে নিজেরা। 

নবীজি ভারাকান্ত হয়ে জানতে চাইলেন
হে ভাই জিবরাইল এরা কারা?
জিবরাইল উত্তর দিলেন
এরা হচ্ছে সেসব লোক যারা 
পশ্চাতে মানুষের সমালোচনা করতেন। 

কবি উপদেশ ছলে বলেন তাই,
মানুষের পিছনে সমালোচনা হতে ভাই
দূরে থাক মুসলিম সবাই।

সুদখোরদের শাস্তি 
নবীজি দেখলেন 
তাদের বড় পেট‍ের মধ্যে 
অসংখ্য সাপ কিলবিল করছে 
ফেরাউন সম্প্রদায় তাদের সঙ্গে রয়েছে
তাদেরকে অগ্নিতে প্রবিষ্ট করানো হচ্ছে।

তাই আল্লাহ ব‍্যবসা হালাল করছে
আর সুদকে হারাম ঘোষণা দিচ্ছে।
তাই আসুন মুসলিম সুদকে না বলি 
আল্লাহর আইন মেনে চলি।

জেনাকার ও বদকার নারী,
যারা করেছে স্ব-ইচ্ছায় ব‍্যভিচারী
ভ্রূণ ও সন্তান হত্যা করেছে
নবীজি মেরাজে তাদের দেখলেন 
পায়ে আংটা লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে;
তারা আর্তচিৎকার করছে। 

জেনাকার পুরুষের শাস্তি
নবীজি কী ভয়ঙ্কর দেখলেন।
এক সম্প্রদায়ের সামনে দেখলেন 
একটি উত্তম পাত্রে তাজা ভুনা গোশত
অন্য নোংরা একটি পাত্রে পচা গোশত 
তারা উত্তম পাত্রের উন্নত তাজা সুস্বাদু গোশত রেখে 
নোংরা পাত্রের পচা মাংস ভক্ষণ করছে।

নবীজি জানতে  চাইলেন
হে জিবরাইল এরা কারা? 
জিবরাইল উত্তর দিলেন 
এরা হলো ওই সব পুরুষ যারা 
স্বীয় বৈধ স্ত্রী রেখে অন্য নারীর কাছে গমন করেছে 
এবং ওই সব নারী যারা 
স্বীয় বৈধ স্বামী রেখে পরপুরুষগামিনী হয়েছে।

দেখলেন এক লোক বিশাল লাকড়ির বোঝা একত্র করেছে,
যা সে ওঠাতে পারছে না তবু উঠাতে চেষ্টা করছে
তবু আরও লাকড়ি তাতে বৃদ্ধি করছে
নবীজি জিজ্ঞেস করলেন
হে ভাই জিবরাইল এটা কী?
জিবরাঈল উত্তরে বললেন,
এ হলো আপনার উম্মতের সে ব্যক্তি 
যে মানুষের আমানত আদায় করেনি; 
বরং আরও অধিক গ্রহণ করেছে। 

নবীজি আরও দেখলেন 
অশ্লীল বাক্য ব্যবহারকারী
ও ফেতনা সৃষ্টিকারী
তাদের শাস্তি  হচ্ছে 
জিহ্বা ও ঠোঁট অগ্নির লোহার কাঁচি দিয়ে কর্তন করা হচ্ছে, 
পুনরায় তা আগের মতো হয়ে যাচ্ছে 
আবার তা কাটা হচ্ছে;
এভাবেই চলছে।

এরপর নবীজি দেখলেন
ছোট্ট একটি পাথর হতে
বিশাল এক ষাঁড় বের হলো;
পুনরায় ওই ষাঁড় সে পাথরের ভেতর প্রবেশ করতে 
চেষ্টা করছিল; 
কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছিল না। 
নবীজি বললেন, 
হে ভাই জিবরাইল এটা কী?
জিবরাঈল জবাবে বললেন, 
এটা হলো সেসব লোকের উদাহরণ 
যারা দাম্ভিকতাপূর্ণ কথা বলে বেড়ায় 
যার জন্য পরে লজ্জিত হয়,
কিন্তু পরে আর তা ফিরিয়ে নিতে পারে না।
এটা তাদের অপরাধের উপমা
যা আল্লাহ করেননি ক্ষমা

এতিমের সম্পদ আত্মসাৎকারীদের দেখলেন। 
তাদের ওষ্ঠ-অধর যেন 
উটের ঠোঁটের মত।
যার ভয়ংকর দৃশ্য নয় বলার মত
তাদের মুখে আগুনের জ্বলন্ত কয়লা প্রবেশ  করানো হচ্ছে 
এবং তা তাদের পায়ুপথ দিয়ে বের হয়ে আসছে।

  এরপর নবীজি মদ, ও নেশা গ্রহণকারীদের শাস্তি দেখলেন। 
তারা জাহান্নামিদের শরীর থেকে 
নির্গত বিষাক্ত নোংরা পুঁজ পান করছে।
আসুন মুসলিম সবে
মাদককে না বলি এমন পুঁজ পান থেকে 
বেঁচে যাবে তবে।

এরপর নবীজি দেখলেন
মালিক নামে জাহান্নামের রক্ষী ফেরেশতাকে
মুখে হাসি নেই, আছেন মলিন মুখে
বলা হলো নবীজিকে
জাহান্নাম সৃষ্টির পর থেকে
সে কখনো হাসেনি দুশ্চিন্তায় থাকে 
থাকে মলিন মুখে।
যা বলছি সব বাণী সত্য 
বুখারি ও মুসলিম শরীফে তা আছে বর্ণিত।

                   সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ১ মার্চ ২০২২ইং
স্থানঃ লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব হলরুমে বসে।
সময় দুপুর ১২:২৫।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷

কবিতা করোনার শিক্ষা লেখক নাঈম হোসেন

করোনার শিক্ষা 

নাঈম হোসেন 

২০২০ সালের মার্চ থেকে 
দেশজুড়ে করোনা চলছে নিরন্তর।

মুখে মুখে বলছে লোকে
ওরে বাবা কী ভয়ংকর!
এবার বুঝি রক্ষা নাই মোর!

কতজন হচ্ছে আক্রান্ত, কত শত হচ্ছে লাশ।
অর্থকষ্টসহ কতজনের হচ্ছে নানা সর্বনাশ।

কত স্বজনেরা পালিয়েছে হাসপাতালে রেখে লাশ।
মৃত্যুর মিছিল দেখে সবাই হচ্ছে হতাশ।

পুলিশ আর সেনাবাহিনীরা করছে দাফন,
কতজনকে না পরিয়ে কাফনের কাফন।
ইহা দেখে বিশ্ব বলছে বাংলাদেশ, সাবাশ!

করোনা ভেবে কত বৃদ্ধাকে,
পরিবারের লোকেরা দিয়েছে বনবাস;
আল্লাহ ভীরুরা নিয়েছে তুলে রাস্তা থেকে,
দিয়েছে ওষুধ, অন্ন ও বস্ত্র আর আবাস।

লকডাউনে দেখছি,
শুধু মানুষ নয়, কত পশু পাখিও,
খাবারের খোঁজে করছে হাহাকার।
কতজনে ৩৩৩ এ কল করেও,
নিয়েছে সেবা, পেয়েছে খাবার।

লকডাউনে দেখছি,
প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা দিচ্ছে কত শত।
লুটেরা সব নিচ্ছে লুটে,নিজেদের ইচ্ছে মত।

হাসপাতাল কতৃপক্ষকে দেখছি,
দক্ষিণার জোরে করছে করোনার ভুয়া সনদের সয়লাব।
দিচ্ছে কত ভুয়া রিপোর্ট নেগেটিভ,পজিটিভ।
দুষ্কৃতকারীদের রুখতে প্রশাসনও একটিভ।
তবু রুখতে পারছেনা কেউ, দুষ্কার্যের হচ্ছে জয়লাব।

ভুয়া সনদে বিদেশ গিয়ে,কত বিপদে পড়ছে প্রবাসী।
ভেঙ্গে গেছে সকল স্বপ্ন, মলিন হয়েছে সুখের হাসি।
চাপা কান্নায় অশ্রু আঁখিতে বুক দিচ্ছে ভাসি।

লকডাউনে দেখছি,
ম‍্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম কত হাসপাতাল করেছে সিলগালা।
অপরাধীরা ভয়ে থরথর
বলছে পরস্পর,
নিস্তার নাই বুঝি আর 
এবার শুরু হবে মোর পালা।

জনতা সকলে বলছে;
সরোয়ার আলম,সাব্বাশ তুমি,
দোয়া করি আমরণ তোমার জন্য।
কত বাঁধা কত ভয়
সবকিছু করে জয়,
অপরাধীদের রুখতে প্রতিজ্ঞায় অবিচল তুমি,
সতত করছ কত শত পূণ্য।

আফসোস করে লোকজন বলে,
তোমার মত সকল অফিসার ন‍্যায়পরায়ণ হলে, 
দেশটা হতো অপরাধ শূন্য;
ধন‍্য তুমি,ধন‍্য তোমার পুরো পরিবার, ধন‍্য তোমার সততার জন্য।
তোমার মত সকল অফিসার হয় যেন গুণে অন‍‍ন‍্য।

স্বামীর করোনা হয়েছে 
একথা যখন শুনেছে,
কত স্ত্রী চলে গেছে বাপের বাড়ি।
ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিয়েছে 
আসবেনা বলে,আত্মরক্ষায় ধরেছে আড়ি!

করোনা তুমি শিক্ষা দিলে,
এভুবনে আপন কেহ নয়।
আল্লাহই অভিভাবক, আল্লাহই সহায়।
তাই আল্লাহকে পেতে হলে, 
সদা তাঁর উপর ভরসা করতে হয়।

এসো হে  মানব,এসো হে ভাই !
আজ থেকে পরস্পর,ভেদাভেদ ভুলে যাই,
ভুলে যাই সকল হিংসা।
দেশ ও জাতির কল‍্যাণে,এসো মোরা হই একশা।
             সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ১ জানুয়ারি ২০২২
রায়পুর, লক্ষ্মীপুর।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা ঐকতান লেখক নাঈম হোসেন

 ঐকতান 

নাঈম হোসেন 

☞এসো -এসো,হে বিশ্ব-মানব, 
মোর সকল- ভাই ! 
শোন-শোন ,হে বিশ্ব- মানব, 
মোর বন্ধুজন সবাই ! 
শোন হে, মোরা হই ,
পরস্পর ভাই -ভাই ! 

কীসের এত মতানৈক্য ? 
কীসের এত অহংকার ? 
এসো -মোরা হবো জাতীয় ঐক্য ! 
সৃষ্টিকর্তা একজনই- তো , সবার ? 

আদি আদমই - তো , 
মোদের পিতা ! 
তাঁরই হতে সৃষ্ট সঙ্গিনী হাওয়াই -তো ,
মোদের আদি মাতা ! 
তবে কেন মোরা হবো না পরস্পর মিতা ? 
তবু মোদের মাঝে কেন ,এত শত্রুতা ? 
কেন করি মোরা পৃথিবীতে এত বর্বরতা ? 
কেন করি মোরা এত লঙ্ঘন মানবতা ? 

এসো,শোন,হে বিশ্ব মোর সখাজন-সবাই ! 
এসো মোরা পরস্পর হয়ে চলি ভাই-ভাই ! 
স্ব-স্ব -বিবেকের কাছে প্রশ্ন করি সবাই । 
এত আত্মশ্লাঘা কীসের?
সামান্যতে রেগে যাই,
গাত্রদাহ করি অহমিকা বিষের।
এই তুচ্ছ ভুবনে-ভাই ?  
কেন করি এত বড়াই?

এসো, মোরা দর্প ও পূর্বজেদ সব ভুলে যাই ! 
শোন , মোরা মানুষ তো -সবাই ?
যার-যার ধর্ম ,তাঁরই থাক । 
ধর্ম-বর্ণ কোন্দল মোদের মাঝে নাই । 

কাশ্মীর , ফিলিস্তিন , আফগান । 
আরও সাজিয়েছে যতজন , 
ভয়াবহ যুদ্ধের রণাঙ্গন । 
আরও শুনতে পাই,

যতদূর যাই ! 
সমর জয় ডাক !
মানুষ খুন করে বিশ্বকে লাগায় তাক!
এরা সবাই -তো ,মোদের ভাই ! 

রক্তে - মাংসে গড়া মোরা মানুষ তো, সবাই ! 
মোরা মানব,সবাই সমান।
এসো , হে বিশ্ব-মানব মোর সকল-ভাই ! 
এসো,মোরা পূর্ব-শত্রুতা সব ভুলে যাই । 
এসো, মোরা আজ হতে হয়ে যাই , 
পরস্পর সহোদর -ভাই ! 
এসো , হে বিশ্বজন-সবাই ! 
মোরা ঐক্য হয়ে চলি-ভাই ! 

একতা হয়ে সবাই , 
চির-সাম্যের জয়গান গাই!
ঐক্যবদ্ধ করব কাজ, 
হার-জিত নেই কোনো লাজ।
জাতীয় সুখের স্বার্থে সকল কাজ ,
এসো আমরা ঐক্য হয়ে করি -সবাই  ! 
তাতে যেন,কোনো লোলুপতা না থাকে -ভাই! 
এসো,আমরা এভাবেই,
একটা নব্য পৃথিবী সাজাই ! 
এসো ,আমরা জাতীয় শত্রুতা সব ভুলে যাই।

এসো ,যার-যার ধর্ম , 
সে করিবো পালন একসাথে ! 
শোন ; যার -যার কর্ম , 
তারই যখন -ভাই ? 
হিন্দু , খ্রিস্টান,
বৌদ্ধ কি মুসলমান?
ভেদাভেদ কী আসে যায় তাতে ? 
এসো আমরা চলি একসাথে।
এসো হে মোর বিশ্ব-সকল ভাই ! 
মোরা স্বদেশের ,শান্তি রক্ষায় ,
ঐক্য হই আজ হতে।

এসো , চির সাম্যের বিজয়ী কেতন উড়াই ! 
এসো , হে বিশ্ব- মানব সবাই ! 
এসো , মোরা পূর্ব শত্রুতা সব ভুলে যাই! 

এসো ,মোরা ঐক্য হয়ে 
জগৎ জুড়ে গড়বো স্বর্গীয় সুখ ! 
হাসিমুখে থাকবো সদা সবাই , 
কোথাও রইবেনা কোনো দুঃখ ॥

একের দুঃখে অন্যজন মোরা 
হবো আগুয়ান।
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষ মোরা,
সবাই -তো সমান ? 

সকলে মোরা 
সৃষ্টি কর্তারই দান । 
এসো হে জগতবাসী 
মোরা হই ঐকতান।

            সমাপ্ত ॥

রচনাকালঃ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা সুরক্ষা-টিকা লেখক নাঈম হোসেন

 সুরক্ষা-টিকা

নাঈম হোসেন

করোনা নিয়ে আর নয় ভয়,
দেশজুড়ে এসেছে সুরক্ষা-টিকা,

এবার করোনাকে করব জয়। 
তাই টিকা নিতে নিবন্ধনে দেরি নয়,
জলদি সবাই নাম লিখা। 

দেখ প্রধানমন্ত্রী নিয়ে সুরক্ষা-টিকা,
সুস্থ আছেন এখন।
দেখ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিয়ে সুরক্ষা-টিকা,
সুস্থ আছেন এখন ?

দেশজুড়ে সুরক্ষা-টিকা নিচ্ছেন সকল প্রশাসন।
নিচ্ছে সুরক্ষা-টিকা ৪০ উর্ধ্ব আরও কতজন,
সবাই সুস্থ আছেন এখন।

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর নওল উপহার,
সবাই মোরা ফ্রি পাচ্ছি সুরক্ষা-টিকা করোনার।

দেরী না করে আজই সুরক্ষা-টিকা নিতে এসো চলে ;
নিজেকে রক্ষা করো দেশকে বাঁচাও
এসো সবে দলে দলে,

খুব শীঘ্রই করোনা যাবে চলে।
এসো নির্ভয়ে দাও সুরক্ষা-টিকা কোভিডনাইনটিন!
তবেই ফিরে পাবে আবার নতুন দিন,

নতুন করে শুনবেনা করোনায় মরণবীণ।
সুরক্ষা-টিকা নাও মাক্স পরো হাত ধোও বারবার,
তবেই করোনা মুক্ত দেশ ফিরে পাবে আবার।

            সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ১১ নভেম্বর ২০২১ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা কোরবানির ঈদ লেখক নাঈম হোসেন

 কোরবানির ঈদ

নাঈম হোসেন 

চারদিকে কোলাহল 
ফের আসছে কোরবানির ঈদ।
কেনাব্যাচায় ব‍্যস্ত সবাই 
গাইছে নওল গীত।

গরুর বাজার গিয়ে দেখি 
মানুষের কি উপচে পড়া ভীড়? 
কেউ দেখছে দাম কেউ কিনছে গরু
ঈদ কোরবানির।

কেউ দেখায় টাকার গরম
সেরা গরু কিনে।
সোস্যাল মিডিয়া ভাইরাল করে 
বাহবা দিবে  জনে-জনে।
এই আশা তার মনে মনে।

টাকাগুলো হালাল কিনা 
সেই দিকে নাই খেয়াল।
সুদ- ঘুষের টাকায় তাহার চারদিকে দেয়াল।

সেই টাকায় গরু কিনে 
অহমপুরুবিকায় তৃপ্তিতে হাসে ।
লোকদেখানো কোরবানি তার 
গরীব- মিসকিনের পাশে।

কতো লোক যে কোরবান করে 
দেখায় বাহাদুরি! 
তাদের সংখ্যা অঙ্ক কষলে
পাবে ভুরিভুরি।

নয়ছয় জীবন ছেড়ে দিয়ে
আগে নিজেকে দেই কোরবান।
লোক দেখানো কোরবানি নয় 
আল্লাহর বিধান।

সৎপথে চলো 
সতত অটুট রাখো ঈমান।
অসৎকাজের নিষেধ করো  
সৎকাজের আদেশ।
মন থেকে মুছে ফেলো হিংসা বিদ্বেষ।
এটা রাসুলের নির্দেশ ।

হালাল টাকায় দিতে হবে 
নেকির  এ কোরবান।
রক্ত মাংস পৌঁছেনা কিছু আল্লাহর কাছে
পৌঁছে বান্দার ঈমান।
একথা কোরআনে আল্লাহ্ ফরমান।

পশু কোরবানি নয় 
দিতে হবে নিজেকে কোরবান।
তবেই খুশি হবে আল্লাহ্ মহান।

               সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ জুলাই ২০২১ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কপিরাইট সংরক্ষিত৷ 

কবিতা খুশির ঈদ কলমে নাঈম হোসেন

 খুশির ঈদ 

নাঈম হোসেন

নীল গগনে চেয়ে দেখ সবাই
ঐযে উঠেছে খুশির ইদের চাঁদ!
রেষারেষি ভুলে গিয়ে এসো মিলাই কাঁধে কাঁধ। 

আনন্দে মেতেছে সবাই 
এসেছে খুশির ঈদ।
লাব্বাইক ধ্বনিতে গাইছে মুসলিম 
কী এক মধুর সংগীত ?

ঈদ বয়ে আনুক সবার জীবনে 
অনন্ত সুখের ছোঁয়া । 
করোনার মড়ক থেকে গোটা পৃথিবী হোক মুক্তি
সদা করি সেই দোয়া। 

শুধু পশু কোরবানি নয় 
নিজেকেও হতে হবে কোরবান।
এসো করি সে পণ 
তবেই খুশি হবে আল্লাহ মহান। 

ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ো মোরে 
চাইনা আর কিছু সকলের তরে। 

এসো মোরা হিংসা ও শত্রুতা ভুলে যাই।
এসো মোরা আমির ফকির অভেদ হয়ে যাই।

এসেছে কোরবানি 
ঐযে হেসেছে খুশির ঈদের চাঁদ।
এসো চলি মসজিদে
নামাজ শেষে কাঁধে মিলাবো কাঁধ। 

দুহাত তুলে প্রভুর কাছে করব মোনাজাত।
গোটা মানবজাতিকে দাও আবেহায়াত।

দূর করে দাও মনের কালিমা
সৎপথে চলার করেছি চুক্তি।
করোনা মহামারি থেকে 
বিশবাসীকে দাও প্রভু চির মুক্তি। 

কি নব আনন্দে পল্লিবাসী উঠেছে মাতিয়া
পেয়ে খুশির ঈদ।
লাব্বাইক ধ্বনিতে মুগ্ধ বিশ্ববাসী 
কি এক মনোহর সংগীত।

            সমাপ্ত।।
রচনকালঃ ২১ জুলাই ২০২১

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা রমজান , লেখক নাঈম

 রমজান

নাঈম হোসেন 

রমজান তুমি এসেছো অফুরন্ত রহমত নিয়ে 
মোরা মুসলিম ভাগ্যবতী তোমাকে পেয়ে 
যা কিছু প্রয়োজন নিবো জাচিয়ে
তুমি আরও এসেছো মাগফিরাত -নাজাত নিয়ে 

মোরা গুনাগার মোরা পাপী 
নিজেকে দিলাম আল্লাহর কাছে সঁপী।
মার্জনা করে দাও মোদের গুনাহ আর থেকোনা খেপি ।
ওগো রমজান মোরা তোমায় পেয়ে হেপি।

তারাবীহ, সেহেরি ও ইফতার রয়েছে অগনিত নেয়ামত।
রোজাদারের কত ভালো নিয়তি হবে রোজ কেয়ামত।
আল্লাহ নিজ হাতে তাদের দিবে প্রতিদান পান করবে তহুরা শরবত।
তাদের জন্য আরও রয়েছে স্পেশাল জান্নাত।

রমজান তুমি কোরআন অবতীর্ণের মাস 
রমজান তুমি ভাগ্য পরিবর্তনের মাস।
রমজান তুমি সবর করার মাস

ধীরে ধীরে শেষ হচ্ছে রমজানের রোজা 
কতটুকু শেষ হচ্ছে মোদের গুনাহের বোঝা 
রহমত মাগফিরাত শেষ হয়ে গেলো
এবার শুধু নাযাত সামনে এলো
নাযাত ফুরিয়ে ইদের চাঁদ দেখা গেল 
রমজান মুমিনদের কাঁদিয়ে বিদায় নিল।
ফের এসো মোদের মাঝে থাকব অপেক্ষায় 
আরেকটি বছর যদি  আল্লাহ বাঁচায় 

            সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ২৫ মার্চ ২০২১ ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷

কবিতা আমার ভালোবাসা লেখক নাঈম হোসেন

❤ আমার ভালোবাসা 

নাঈম হোসেন 

প্রিয়া লাজুক চোখে তাকিয়ে কী ভাবছ?
আমার ভালোবাসা পরিমাপ করছ?
আমার ভালোবাসা নিঃস্বাৰ্থ,কষিত।
সেরা গুলাবটি তোমায় করছি অর্পিত।

ঐ নীল গগন যেদিন বিলীন হবে;
কথা দিচ্ছি সেদিনও আমার প্রেম রবে।
প্রিয়া তোমাকে পাগলের মতো ভালবাসি।
কী অপরূপ তুমি? সুইট তোমার হাসি!

ঐ আসমান-জমিন,যেদিন একাকার হবে;
কথা দিচ্ছি সেদিনও তুমি আমার রবে।
আমার ডানা নেই তাই উড়তে পারিনা;
ইচ্ছে করে, তোমাকে ঐ চাঁদটা এনে দেই; কিন্তু ছুঁতে পারিনা।

ইচ্ছে করে, দামি রত্ন দিয়ে একটা তাজমহল বানিয়ে দেই।
প্রিয়া এতো অর্থ আমার নেই, তাই পারিনা।
ইচ্ছে করে,পরির শাড়ি এনে তোমাকে পরিয়ে  দেই।
সেই ক্ষমতাও আমার নেই, তাই পারছিনা।

রূপকথার পরিদের থেকেও তুমি বিশ্বসুন্দরী।
আমি তোমার  রূপে নয়, গুণে মোহিত।
স্বর্গেও তোমাকে পেতে চাই, চাইনা হুরি।
তোমার হরিণনয়না চাহনিতে আমি বশী-ভূত।

আমার চাল নেই, চুলো নেই;
কিন্তু সুন্দর একটা মন আছে।
সে মনে তুমি ছাড়া আর কেউ নেই;
তোমার জন্য শুধু ভালোবাসা আছে।

আমার ভালোবাসা কিছুর সঙ্গে তুলনা করনা।
প্রিয়া আমি শুধু তোমার,তুমি আমার আয়না।
ঐ চাঁদ-সূর্য একদিন বিলীন হয়ে যাবে।
আমার ভালোবাসা অমর হয়ে রবে।

আকাশে যতগুলো তারকা দেখ;
আমার প্রেম তার থেকেও বেশি।
জলে স্থলে যতগুলো বালুকণা দেখ;
আমার ভালোবাসা তার থেকেও বেশি ।

সুন্দরীদের মধ্যে তুমিই সেরা।
হুর-পরী নয়, তোমাকে ভালবাসি অসীম।
চাইনা কোনকিছু তোমাকে ছাড়া।
আমার ভালোবাসা,তোমাতেই সসীম।

তুমি ছাড়া পৃথিবীর সকল নারী;
আমার মা-খালা, নয়তো হবে বোন ।
প্রিয়া তোমার থেকে চাইনা,কোন সুন্দরী;
তুমি আমার ভালোবাসা, হৃৎস্পন্দন।

তুমি শ্রেষ্ঠদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ,তুমি মহীয়সী;
তুমি আমার স্বপ্ন,সাধনা তুমি প্রেয়সী;
রূপসিদের মধ্যে তুমি রূপীয়সী;
আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি।

প্রিয়া এসো,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরে প্রার্থনা করি;
স্বর্গেও যেন দুজন সঙ্গী হয়ে থাকতে পারি।
প্রিয়া এসো, প্রভুর দরবারে করি মোনাজাত।
এমন কাজ করি যেন,দুজনে পাই একই জান্নাত।
                সমাপ্ত।
রচনাকাল: ২ জানুয়ারি ২০২২ ইং
 
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কপিরাইট সংরক্ষিত৷ 


হেপি রোমান্স ডে লেখক নাঈম হোসেন

 হেপি রোমান্স ডে 

নাঈম হোসেন 

সামনে আসছে হেপি রোমান্স-ডে!
কি জানি হবে কত বেহায়াপানা?
প্রেমের নেশায় মেতে প্রেমিক যুগল যাবে রোমান্স-ডে!
কার উপদেশ শুনে তারা, কে করবে  তাদের মানা? 

পার্কে যাবে,হোটেলে যাবে,প্রেমিকার পিছু পিছু 
চুমাচুমি, ঢলাঢলি,নির্লজ্জ কাজ করবে কত কিছু।
ফেব্রুয়ারি মাসে নাকি কত রোমান্স-ডে আছে?
সেসব দিনের কথা আমি বলছি সবার কাছে। 

৭ ফেব্রুয়ারি হেপি রোজ-ডে
আজকে শুধু ফুল বিনিময়ের দিন।
প্রেমিক যুগল পরস্পর লাল গোলাপ দেন
বন্ধুরা পরস্পর হলুদ গোলাপ দেন।

৮ ফেব্রুয়ারি হেপি প্রপোজ-ডে
আজকের এই বিশেষ দিন,
প্রেমিক যুগল পরস্পরকে ভালোবাসার প্রস্তাব দিন 
ভেবে চিন্তে ভালোবাসায় সায় দিন।

৯ ফেব্রুয়ারি হেপি চকলেট-ডে
ভালোবাসার এই বিশেষ দিন।
প্রেমিক যুগল পরস্পরকে চকলেট দিন
দোকানদারের ব‍্যবসায় আজ খুশির দিন 
আপু ভাইয়ারা শুধু চকলেট কিনে নিন।

১০ ফেব্রুয়ারি হেপি টেডি-ডে
আজকের এই শুভ দিন।
প্রেমিক যুগল পরস্পর টেডি উপহার দিন 
নিজেদের ভালোবাসা আজ প্রকাশের দিন।

১১ ফেব্রুয়ারি হেপি প্রমিস-ডে
প্রেমিক যুগল আজ ভালোবাসার কথা দিন।
নিজেদের ভালোবাসা করবে প্রকাশ ওপেনে
বলবে সুখে দুঃখে থাকব সারাজীবন দুজনে।

১২ ফেব্রুয়ারি হেপি হাগ-ডে
আজকের এই বিশেষ দিন।
প্রেমিক যুগল পরস্পরকে করবে আলিঙ্গন
ভালোবাসার অচেনা এক অনূভুতিতে  হবে শিহরণ।

১৩ ফেব্রুয়ারি হেপি কিস-ডে
আজকের এই শুভক্ষণে।
করবে চুম্বন দুজন দুজনে 
হারিয়ে যাবে কোন অচিন ভুবনে।

১৪ ফেব্রুয়ারি হেপি ভ‍্যালেন্টাইনস-ডে
প্রেমিক যুগল আজকের এই দিন।
ছবি দেখতে এবং ঘুরতে যান
বেহায়ার চরম মুহুর্তে কেউ কেউ সম্মান হারান।

১৫ ফেব্রুয়ারি হেপি স্ল‍্যাপ -ডে
আজকের এই দিন।
ভালোবাসায় কারো কারো বাজে বিষের বীণ
রেগে গিয়ে কেউ আবার চড় থাপ্পর দেন।

১৬ ফেব্রুয়ারি হেপি কিক-ডে
ভালোবাসায় কখনও হয় মান অভিমান।
তাই বলে কি সত্যিকার ভালোবাসা হবে ম্লান
কিক-ডে তে লাথি নয় প্রিয়তমাকে বেশি ভালোবাসা দেন।

১৭ ফেব্রুয়ারি হেপি পারফিউম-ডে
পৃথিবীর সেরা পারফিউ মেখে গায়
প্রেমিকের কাছে প্রেমী যায় 
দুজনে বসে ভালোবাসার আড্ডায় 

১৮ ফেব্রুয়ারি হেপি ফ্লার্টিং-ডে
সম্পর্কটা যেন এমন একটি মিষ্টি সূচনা করে 
যা হৃদয়কে আরও ক্ষত করে 
পৃথিবীর সর্বসুখ তখন হয় যখন প্রেমিক আলিঙ্গন করে।

১৯ ফেব্রুয়ারি হেপি কনফেসন-ডে
২০ ফেব্রুয়ারি হেপি মিসিং-ডে
২১ ফেব্রুয়ারি হেপি ব্রেক-ডে
আরও কত রয়েছে নাকি হেপি রোমান্স-ডে?

অবৈধ প্রেম করা সকল ধর্মে মানা
তরুণ তরুণীর একথাটি সবার আছে জানা 
বয়সের দোষে তবু অবৈধ প্রেম করে 
লেখা পড়া সব হারিয়ে জীবন নষ্ট করে 

কত মেয়ে প্রেমে জড়িয়ে 
হেপি রোমান্স ডে পার্কে গিয়ে
নিজ দেহকে স্ব- ইচ্ছায় করে অর্পণ
ধর্মকর্ম ভুলে গিয়ে নরকের হয় ইন্ধন

অবৈধ প্রেমে জড়িয়ে 
হেপি রোমান্স-ডে গিয়ে
করোনা কেহ প্রেমের মাখামাখি 
সমাজের নিন্দায় পরে লুকিয়ে চলবে আঁখি 

পার্কে গিয়ে করে চুমাচুমি,করে জঘণ্য পাপ কাজ
এত নীচ হয় যে,তার কি আছে লাজ?
ভালোবাসার প্রতারণায় ভরা এ সমাজ 
নারী হয়ে বুঝনা কেন তোমার কি তাজ?

একুল যাবে ওকুল যাবে 
হারাবে তুমি সব
অবৈধ প্রেম মহা পাপ
করবেনা ক্ষমা রব

স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসায় নেই কোন দিনক্ষণ 
সত্যিকারের ভালোবাসা থাকে সারাক্ষণ 
স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসায় সন্তুষ্ট হয় রব
স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসায় মিলে বহু সওয়াব

স্বামী-স্ত্রী পরস্পর ভালোবাসো স্পেশাল সকল দিনে
রাগ অভিমান খুনসুটি রোজ হয় সংসারজীবনে 
সবকিছু ভুলে যাও রাখতে নেই মনে
প্রাণ উজাড় করে ভালোবাসো দুজন-দুজনে 

                       সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ১৯/০২/২০২২ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা দেশ দ্রোহী লেখক নাঈম হোসেন

 দেশ দ্রোহী 

নাঈম হোসেন 

মসনদে বসে যারা দেশের মানুষকে করছে শোষণ;
গরীব ও দুর্বলের সম্পদ যারা করছে লুণ্ঠন ;
যারা গরীবের ত্রাণ করে আত্মসাৎ ,
যারা আঙুল ফুলে বড়োলোক হয়েছে হঠাৎ; 

দেশ দ্রোহী নয় কী তারা ?

যারা বিচারের নামে করে প্রহসন; 
যারা খোলা আকাশের নীচে নারীদের করে ধর্ষণ, 
যারা বিজ্ঞাপনের নামে ছড়ায় যৌনতা ,
যাদের দেশ ধ্বংসে থাকে মৌনতা;

দেশ দ্রোহী নয় কী তারা ?

যারা দেশে কৃতিম সংকট তৈরি করে ,
নিত্যপন্যে দাম বৃদ্ধি করে ,
যারা বরাদ্দের নামে জনতার টাকা লুটপাট করে;
যারা শিক্ষার নামে অশিক্ষা বিস্তার করে,

দেশ দ্রোহী নয় কী তারা ?

যারা গণতন্ত্রের অধিকার নেয় কেড়ে ,
যারা স্বার্থের লোভে গুমখুন করে ,
যারা সত্যকে লুকিয়ে মিথ্যা রটনা করে,
যারা মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মানুষ হত্যা করে৷ 

দেশ দ্রোহী নয় কী তারা ?

যারা খেলার নামে বিদেশী পতাকা স্বদেশে উড়ায় 
যারা দেশের টাকা পাচার করে বিদেশে পাঠায়৷ 
যারা সরকারি অফিসে বসে জনগনের টাকা নেয় কলমের খোঁচায় , 
যারা দেশের অর্থ লুট করে বিদেশে স্বপ্ন বিলাশ বাড়ি বানায়,  

দেশ দ্রোহী নয় কী তারা ?
সমাপ্ত ৷৷

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 




কবিতা ঐক্য লেখক নাঈম হোসেন

 ঐক্য 

নাঈম হোসেন 

আজ সময় এসেছে 
মুসলিম জাতির হতে ঐক্য৷ 
এসো ভেঙে ফেলি সকল বাঁধা 
সকল অনৈক্য ৷ 

এসো ভেঙে ফেলি সকল বাঁধা ! 
মোরা মুসলিম , কীসের  কৃষ্ণ , কীসের রাধা ? 

এসো মোরা চলব মিলেমিশে , সতত , সদা ৷ 
মোরা মানবোনা কোনো অন্যায় আইন, কোনো বাঁধা ৷ 
মোরা চলব মেনে এক আল্লাহর আইন খোদা৷ 

কীসের এতো হিংসা ? 
কীসের এতো লিপ্সা ? 
কী মোহে করি এতো সহিংসা ? 
এসো হে মুসলিম মোরা হই একশা ! 

এসো হে মুসলিম ! 
মোরা হই ঐকতান ৷ 

এসো হে বীর ! 
এসো হে চিরউন্নত শির ! 
এসো হে ভাই মোর মুসলিম ! 
কীসের এতো অভিক্রম ?  
মোরা সবাই তো ভাই মুসলিম ! 

এসো মোরা গাই সাম্যের জয়গান ! 
কীসের হরে , কীসের ভগবান ? 
মোরা মুসলিম , 
মোরা বলিবো , এক আল্লাহ সুমহান !  

          সমাপ্ত ৷৷
রচনাকালঃ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা ধর্মকথা লেখক নাঈম হোসেন

 ধর্মকথা 

নাঈম হোসেন 

ভূতের মুখে রামের গল্প অহর্নিশি অধুনাতন।
মূর্খরা ধর্মকথা বলে কোরআন, হাদীসের করে বিশ্লেষণ।
নন্দিত জাতিরা তাই নিন্দিত হচ্ছে কদাচন।
যে পারেনা কলেমার সঠিক উচ্চারণ।
তার মুখে সদা শুনি কোরআনের কথন।

যার নাই নীতিজ্ঞান।
যে বেশী নীতিজ্ঞানহীন।
কথায় কথায় সে দেয় নীতি বচন।
এসব অধুনা সমাজের রেওয়াজ এখন।
কূটকথা বলে ওরা আলেমদের তাজ করে অপনোদন।

ধর্মকথা, ধর্মোপদেশ দিতে হলে চাই ধর্মগ্রন্থের জ্ঞান।
আরও থাকা চাই নাহুমীর, ছরফের শাস্ত্রচর্চা ও শাস্ত্রজ্ঞান।
নতুবা ধর্মশাস্ত্রকার বিষয়ে যার আছে এক্সট্রা অডিশন।
যার নেই এসকল গুণ, গণ্ডমূর্খ বলি তারে,  করি বর্জন। 
সতত করি আলেমদের সম্মান।

যে ইলম করছে অর্জন  
সে পূর্ণ অংশ করছে গ্রহণ ।
তালিবুল ইলমের জন্য  ডানা বিছিয়ে দেয় ফেরেশতাগণ।
আলেমদের জন্য আসমান-যমীনের বসবাসকারীগণ,
আল্লাহর নিকট ক্ষমা ও দোয়া চান।
নবীদের ওয়ারিস হচ্ছেন আলেমগণ।

            সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ৮ জুলাই ২০২২ রোজ শুক্রবার।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা পরকীয়ার বলি নাপা লেখক নাঈম হোসেন

 পরকীয়ার বলি নাপা

নাঈম হোসেন।

সব দোষ লিমা আপার।
দোষ দেয় বেক্সিমকো নাপার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জে,
প্রেমিকার মনোরঞ্জে;
মিষ্টির সাথে বিষ মিশিয়ে,
পেটের দুই শিশুকে খাইয়ে,
সন্তান করে হত্যা।
অবশেষে পাষন্ডমা গুজব রটায়,
নাপা সিরাপে নেই নিরাপত্তা।

ইটভাটার শ্রমিক সুজন খান,
অসহায় দুই শিশুর বাবা।
থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান;
নাপা নয় এটা পরকীয়ার থাবা।
পরিকল্পিত হত্যা বলে পুলিশ আমলে নেন।
সন্দেহের বেড়াজালে ইনভেস্টিগেশন করেন।
অবশেষে চল্লিশ উর্ধ পাষণ্ড মা স্বীকারোক্তি দেন। 

জঘন্যপাপ অন্তরাল করতে চতুর আপা;
পরকীয়ার বলি দেয় নাপা।

সাত বছরের ইয়াসিন,
চার বছরের মুরসালিন,
মাসুম বাচ্চাদের ছিলনা কোন দোষ।
পরকীয়ায় তবু তারা মায়ের চোখের রোষ।

পরকীয়ার সয়লাবে সন্তান পথের বাঁধা 
হরহামেশা ঘটছে এমন হৃদয় কাঁপানো ধাঁধা।

আশুগঞ্জ উপজেলার,
দুর্গাপুর ইউনিয়নের,
দুর্গাপুর গ্রামে,
অবৈধ পরকীয়া প্রেমে,
১০ মার্চ ২০২২ নেমে আসে,
শোকের কালো ছায়া!
ছিঃ ছিঃ ধিক্কারে পল্লিবাসী ভাসে, 
পরকীয়া কেড়ে নেয় সন্তানের মায়া।

রহস্য উন্মোচনে প্রশাসনকে জানাই সাধুবাদ।
ওয়াক থু ছ‍্যাপ ফেলে পরকীয়ার জানাই নিন্দাবাদ।

পরকীয়ায় মাতাল হয়ে খেলছে কত খেলা? 
ভুলটা বুঝে হারিয়ে সব জীবনের শেষবেলা।

কত সন্তান পরকীয়ায় হচ্ছে এখন বলি!
বৈধ স্বামী রেখে স্ত্রী কেন অন‍্যায় পথে চলি?
হালাল পথটা ছেড়ে কেন হারামের পথ ধরো?
ধর্মকর্ম ছেড়ে কেন জঘণ্য পাপ করো?

পরকীয়ামুক্ত সমাজ গঠনে, চাই কঠোর আইন।
স্বামী- স্ত্রী বেমিল হলে, দাও তালাকে বাঈন।
পরকীয়ার হত্যার চেয়ে, মানো ধর্ম আইন।

অহরহ ঘটছে এখন, পরকীয়া প্রেম
মিষ্টি হাসি, দুষ্ট কথায়, করছে সবে ভ্রম
পর্দা ছেড়ে নারীরা এখন, ঘুরছে শহর-গ্রাম
নষ্ট পুরুষ লোভে মত্ত, প্রেমের করে আঞ্জাম।
বোকা নারী ভাবে তখন;
স্বামীর থেকে ওর কাছে যখন,
আমার অনেক দাম। 

হাত ইশারায় দেয় যখন
নারী দুষ্ট হাসি!
প্রতারক পুরুষ বলে তখন 
প্রিয়া তোমায় খুব ভালোবাসি। 

এভাবেই প্রেমে পড়ে, ছলনায় পটে বেশ।
স্বামী সন্তান সব হারিয়ে, নিজেই হারায় শেষ।

পরকীয়া ধর্মে মানা, মান‍্য করি সবাই!
পরকীয়ামুক্ত সমাজ গঠনে, নিজেকে বাঁচাই।
পাপীকে নয়, পাপকে নিন্দা জানাই।
এই সমাজ সুখী হতে পরকীয়ামুক্ত চাই।
               সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ২৫ মার্চ ২০২২ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত৷ 

কবিতা নেশামুক্ত সমাজ চাই লেখক নাঈম হোসেন

 নেশামুক্ত সমাজ চাই 

নাঈম হোসেন 

প্রতিদিন নিউজ পড়ে;
অনাকাঙ্ক্ষিত দেখি কতলোক মরে।
শিশু থেকে বৃদ্ধ কত নারী ধর্ষণ করে।
ক্ষতবিক্ষত লাশ ফেলে দেয় ঝোপঝড়ে।
খাল-বিল, রাস্তাঘাট কিংবা নদীর তীরে।
সবকিছু করছে শুধু নেশার ঘোরে।

মাদকের টাকার জন্য
কত হতভাগা সন্তান হয়ে হন্যে 
মা-বাবাকে অত‍্যাচার করে।
টাকা না পেয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর করে।
চুরি, ডাকাতি ও লুটতরাজ করে।
কতজন আবার বাবা-মাকে জবাই করে।
ভাই, বোনকে ধর্ষণ করে।

নেশাগ্রস্ত মানুষ কি থেকে কি করে?
বলতে পারেনা কিছুই চেতনা ফিরে।
যা কিছু করে তারা নেশার ঘোরে।
তার জন্য পরে আফসোস করে।
কী লাভ হবে, পরে আফসোস করে?
যার জীবন বলি হয়েছে বাইরে কিংবা নীড়ে 
তাকে কী আর পাবে কভু ফিরে?

তবে এমন ভুলটা কেন করি?
এসো সবে নেশামুক্ত সমাজ গঠন করি।
জীবনকে সবে ভালোবাসুন,
মাদক থেকে দূরে থাকুন।
মানবদেহে মাদক করছে নানা ক্ষতিকর প্রভাব।
সুস্থ জীবন গঠনে সেগুলো জানতে হবে সব।
মাদকমুক্ত সমাজ গঠন তবেই সম্ভব।

এসো স্লোগান ধরি সবাই 
মাদকমুক্ত সমাজ চাই
মাদকের ক্ষতিকর দিক তাই 
এসো জানি ও মানি সবাই!

এসো জানি জনে জনে!
কি ক্ষতি হয় মদ‍্য পানেঃ
গ‍্যাস্ট্রিক ও আলসার হয়।
লিভার সিরোসিস ও ক‍্যান্সার হয়।

ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণেঃ
পড়বে তুমি এইডস আক্রমণে।
আরও হেপাটাইটিস বি ও সি হয়।
সকল মাদক গ্রহণেঃ
স্বাস্থ্যের দ্রুত ক্ষতি হয়।
মাদকাসক্তির পরিণতি অকাল মৃত্যু ঘটায়।

আরও রাখবে জেনে,
ফেন্সিডিল ও হেরোইন সেবনেঃ 
পুরষত্বহীনতা ও বন্ধ‍্যাত্ব দেখা দেয়।
তাছাড়া ফুসফুস ও হার্টে প্রদাহ হয়।

গাঁজা সেবনেঃ 
ভালো-মন্দ বিচার করার ক্ষমতা হ্রাস পায়।
দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
স্মৃতিশক্তি লোভ পায়।
মতিভ্রম হয়।

ইয়াবা সেবনেঃ 
স্মরণশক্তি কমে যায়।
মনোযোগ ক্ষমতা নষ্ট হয়।
আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
যৌনশক্তি নষ্ট হয়।
বন্ধ‍্যাত্ব দেখা দেয়।

ইয়াবা সেবনে আরও যা হয়ঃ 
মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ হয়।
লিভার ও কিডনি নষ্ট হয়।
উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়।
হার্ট এ‍্যাটাক হয়।
কলহ প্রবণতা বেড়ে যায়।
আগ্রাসী ও আক্রমণাত্মক মনোভাব হয়।

আরও শিহরিত হবে জেনে 
যা ক্ষতি করে ধূমপানেঃ 
মুখে ঘা ও ক‍্যান্সার হয়।
ফুসফুসে ক‍্যান্সার হয়।
হঠাৎ হার্ট এ‍্যাটাক হয়;
এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়।

এছাড়াও নেশাগ্রস্তের কারণেঃ
পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি হয়।
পরকীয়া ও বহুবিবাহ বৃদ্ধি পায়।
স্বামী- স্ত্রী কলহ ও তালাক প্রথার প্রসার হয়।
সামাজিক আত্মমর্যদার অবমূল্যায়ন হয়।

তাই সকল নেশা করতে হবে পরিত্যাগ।
সুস্থ ও সুন্দর জীবন পাবে ফিডব‍্যাগ।
সুস্থ ও সুন্দর জীবন গড়তে তাই---
সকল প্রকার নেশামুক্ত জীবন চাই।

মাদকমুক্ত সমাজ গঠনেঃ
প্রচার প্রচারণা করতে হবে জনে জনে।
জানতে হবে
মানতে হবে
মাদকের ক্ষতিকর নানান দিক।
সমাজটা তবেই হবে 
সুস্থ, সুন্দর ও নৈরাজ্যমুক্ত ঠিক।
               সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ৩০ মার্চ ২০২২ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা জবরদখল কবি নাঈম হোসেন

জবরদখল

নাঈম হোসেন 

সহস্র শতক সরকারি জমি হচ্ছে জবরদখল।
প্রশাসনের নিরব সম্মতিতেই হচ্ছে সব দখল।
দেখেও না দেখার করে ভান, নেই কোন টহল।
দক্ষিণার জোরেই ভূমিদস্যু করছে বেআইনি দখল। 

সরকারি ভূমি থেকে মালিকানাধীন ;
জবরদখল করে বড়লোক হচ্ছে দিনদিন।
ভূমি দস্যুদের ক্ষমতা রয়েছে চারদিক।
ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলছে নির্ভীক। 

ক্ষমতার দাপটে,
সবকিছু নেয় লুটে।
মুখোশের আড়ালে তারা আসল রুপে ফুটে।
উপরটা শুভ্র তাদের ভিতরটা হিংসুটে।

সমাজে তারা সমাজ সেবক 
দশে দেয় করতালি।
ভূমিলোভে বাতুল হয়ে, ছদ্মবেশী শোষক।
একখণ্ড জমির জন্য অসহায়কে দেয় বলি।

বেচারা অসহায়।
চাপাকষ্টে করে হায় হায়।
গ্রাম আদালত থেকে উচ্চ আদালতে যায়।
সঠিক বিচার কোথাও না পায়।

সবকিছু হারিয়ে শেষে হয় ভবঘুরে।
উপরে তবু হাসি থাকে ভিতর শোকে পুড়ে।
সব থাকতেও নিঃস্ব তারা ভূমি দস্যুদের জোরে।
ডান-বামের জোরে তারা সবকিছু নেয় কেড়ে।

সরকারি কত জমি ভূমি দস্যুরা নেয় কেড়ে।
ভূমিহীনরা আবাসন পায় নদীর তীরে। 
অথবা বালুচরে। 
ঘর পেয়েও নিরাপদ নয় কাঁপছে শুধু ডরে ।
কখন যেন হারিয়ে যায় অজানা ঘূর্ণিঝড়ে।

সরকারি যত জমি ভূমিদস্যুরা ভোগ করে।
প্রশাসন সেগুলো যদি উদ্ধার করে।
ভূমিহীনদের ঠাঁই সেথায় দেয় যদি করে।
ভূমিহীনরা নিরাপদ থাকবেনা আর ডরে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  আপনাকে জানাই।
ভূমি দস্যুদের হাত থেকে দেশটা মুক্তি চাই।
                সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ১ এপ্রিল ২০২২ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা আত্মশুদ্ধির রমজান লেখক নাঈম হোসেন

  আত্মশুদ্ধির রমজান নাঈম হোসেন  রমজান ওগো আত্মশুদ্ধির রমজান! তোমার মধ্যে রয়েছে অফুরন্ত কল‍্যাণ। তারাবীহ, সেহেরি আরও ইফতার। হাজার বছরের র...

most popular post