কবিতা হোক প্রতিবাদ লেখক নাঈম হোসেন

 হোক প্রতিবাদ  

নাঈম হোসেন  

প্রতিটি অন‍্যায়ের হোক নিরোধ।
গ্রাম থেকে শহর ।
ছোট থেকে বড়।
সকল অন‍্যায়ের চাই প্রতিরোধ । 

কলমের খোঁচায় যারা করে পুকুর চুরি।
যারা মা-বোনদের ধর্ষণ করে, করছে সেনচুরি। 
যারা ভুয়া সনদে মুক্তিযোদ্ধার দর্প করে ঘুরি।
এসো তাদের সবাই প্রতিবাদ করি।

যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা দেশের জন্য গেছে লড়ি।
এসো সবে তাদের সম্মান ও শ্রদ্ধা করি।
যে স্বাধীনতার জন্য একাত্তরে হয়েছে রক্তবৃষ্টি।
সে স্বাধীনতা চাই! 
প্রয়োজনে ফের করে লড়াই;
করব নতুন ইতিহাস সৃষ্টি। 

অণু থেকে পরমাণু,
সবকিছু করে মেনু;
প্রতিটি অন‍্যায়ের হোক প্রতিবাদ!
প্রতিটি দুর্নীতির হোক নিন্দাবাদ!

দেশে আজ বাকস্বাধীনতা নাই!
অন্যায়ের প্রতিবাদ নাই!
লেখকদের কলম হোক অন‍্যায়ের বিরুদ্ধে।
সাংবাদিকদের শিরোনাম হোক ন‍্যায়-অন‍্যায়ের যুদ্ধে।

শিক্ষকদের উপদেশ হোক স্বদেশ প্রেম!
ন‍্যায় সমরে করব লড়াই, রক্ষার জন্য হেরেম।
অন‍্যায় দেখব যেথায়,
প্রতিবাদ করব সেথায়;
আর থাকব না কেউ নিশ্চুপ।
ধরণী হতে চিরতরে অন‍্যায় হোক লোপ।
             সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ  ১৯মে ২০২২ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা চাপাকষ্ট লেখক নাঈম হোসেন

 কবিতা পোস্ট নং - তেরো 

চাপাকষ্ট

নাঈম হোসেন 

মনে অনেক চাপাকষ্ট।
ঘৃণায় তাই অতি রুষ্ট।
কাকে বলে হব তুষ্ট?
সবাই তো লোভে নষ্ট।

কে শুনবে কষ্টের কথা?
মনে অনেক জমানো ব‍্যথা!
হারিয়েছি বাকস্বাধীনতা!
স্বাধীন দেশেও কেন পরাধীনতা?

গণতন্ত্র মনে মনে, বাস্তবে তা নাই।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেতা সবাই ;
ভোটের অধিকার নাই।
ভোটকেন্দ্রে নেতা ছাড়া ভোটার কেহ নাই।

লুটেরা সেবক হইছে তাই;
কোথাও জনসেবা নাই।
রক্ত চুষে খাচ্ছে ওরা, কেহ সুখে নাই। 
জালেম সরকার করছে শোষণ, প্রতিবাদী নাই।

চপলতায় কাটে রাত-দিন;
ঘুম নেই চোখে দুঃস্বপ্ন দেখি সারাক্ষণ।
আমজনতা করছে আই-ঢাই।
রাষ্ট্রের দুর্দশা জনতা আই-আই!

আহা মরি-মরি এ কী লজ্জা?
লুটেরা লুটে দেশটাকে করছে মৃত্যুসজ্জা!
ভয়ে থরথর কাঁপছে সবাই!
প্রতিবাদ করার সাহস কারো নাই।

অন‍্যায়ের বিরুদ্ধে বলে কথা;
দেশের আলেম হইছে উস্কানিদাতা।
ত্রাসে ত্রাহি-ত্রাহি করছে নিরীহ জনতা।
কেউ আসছে না ভয়ে এগিয়ে, হতে পারে বানোয়াট মামলা ও গুমখুন হত্যা।

কতজনের হয়েছে সাজা হয়নি জামিন।
মনোবেদনা নিয়ে করছে দোয়া, মুক্তিকামীরা বলছে আমীন।
চাপাকষ্ট আর যায়না চাপা জেগে ওঠার এক্ষুনি সময়।
শোষণ সরকারের পতন চাই, স্লোগানে সবে মাঠে আয়।

চারদিকে শুনি শুধু হায়-হায় নিনাদ।
এক্ষুনি খুঁজতে হবে নিজেকে বাঁচার পথ।
এসো স্বদেশপ্রেমী, হই ঐকতান!
মুক্তির স্লোগানে উড়াব নিশান।
             সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ২১ মে ২০২২ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা লোডশেডিং লেখক নাঈম হোসেন

 কবিতা পোস্ট নং - বারো

লোডশেডিং 

নাঈম হোসেন 

নিদাঘ জ্বলদার্চি গরমে গা দগদগ করছে।
চারদিক দিয়ে চপলতা চেপে ধরছে।
কখনো অলিন্দে, কখনো শয্যায় ভূলুণ্ঠন করছি।
কোথাও জ্বলদগ্নি নেই তবু তপ্তে ছটফট করছি।

আহা মরিমরি বিদ‍্যুৎ নেই ঘন্টার পর ঘন্টা শুধু লোডশেডিং দিচ্ছে।
তারে কারেন্ট খায় এসেই চলে যায়, মাস পেরুলেই তবু বিল ঠিকঠাক নিচ্ছে।
প্রতিবাদ কে করবে ? 
সেই সাহসী বাপের বেটা এখনো রয়েছে মাতৃগর্ভে।

ডিজিটাল দেশের নাগরিক আমরা দর্প করে চলি।
ঘন্টায় দেয় কতবার লোডশেডিং এই ক্লেশ কারে বলি?
নিজ জমিতে পিলার দিয়েছি, মিটার কিনেও প্রতিমাসে দিচ্ছি তার বাড়া।
বিল দিতে হলে দেড়ী লাইন কেটে দিবে বলে  দেয়  তাড়া।

তাদের দেওয়া সব শর্ত মেনে নিলাম।
ঠিক সময়ে ব‍্যাটসহ কারেন্টের বিল দিলাম।
সবকিছু করেও লোডশেডিং দেয় অহর্নিশ বারবার।
ফ্রিজের সবকিছু যায় যখন পচে, গরমে  করি আইঢাই তখন কষ্টে মুখ হয় ভার।
                    সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ৪ জুলাই ২০২২ইং রোজ সোমবার।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত৷ 

কবিতা গরীব খাবে কী? লেখক নাঈম হোসেন

 কবিতা পোস্ট নং- এগারো 

গরীব খাবে কী?

নাঈম হোসেন 

পণ্যে অনল,
অর্থ দুর্বল; 
বোবা কষ্টে মানুষ করছে হাহাকার! 
দামের অনলে কাঁপছে গোটা শহর!
গরীব খাবে কী?
সরকারি সহায়তাও নেতারা পায়, গরীব পাবে কী?

তেলের ঝাঁজে,
বিষের বীণা বাজে!
সোয়াবিন, সূর্যমুখী আর সরিষা বুনেছি।
চাল, আটা ও ময়দা চড়া দামে কিনেছি।
ভুট্টা, ধান আর গমের বীজ রোপেছি।

শুধু ভোজ্যতেল নয়, সবকিছুর দাম লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি।
আমজনতার চরম সংকটের দুর্গতি।
পেয়াজের ঝাঁজে;
বোবা কান্নায় বুক ভিজে।

সিন্ডিকেট ও মজুদ কারীর দখলে সব।
রাজনৈতিক নেতা, তাদের পক্ষে সব।
প্রশাসন দেখেও না দেখার ভানে নিরব।
গরিব বাঁচার উপায় কী?
কৃত্রিম সংকটে বাজার মূল্য বর্ধন, গরিব খাবে কী?
সরকারি প্রণোদনা সব নেতাদের পকেটে, গরীব পাবে কী?

টিসিবির কার্ড পায়, দলের চাটুকার সবাই 
গরীব যাবে কই?
পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি বলে বাজার হইচই।
মরার উপর খাঁড়ার ঘা, মনঃকষ্টে গরীবরা চুপ রই।
পণ্যের বাজারে লাগছে আগুন, গরীব খাবে কী?
মর্মে আঘাত লাগছে দ্বিগুন, বাঁচার উপায় কী?সমাপ্ত।।

রচনাকাল: ২১ মে ২০২২ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত৷ 

কবিতা সত্যকথন লেখক নাঈম হোসেন

 কবিতা পোস্ট নং -দশ 

সত্যকথন 

নাঈম হোসেন 

সত্য বচন বলার পরে,
বহু লোকের গায়ে অনল ধরে।
ঐহিক মোহে যারা ঢের অর্থের লালসা করে।
মিথ্যাকে সত্য বানায়, সত্য গোপন করে।

মনে কুটিল নিয়ে অসাধু, সাধু বেশ ধরে।
মিষ্টি কথার জালে ফেলে সবাইকে বশ করে।
সুযোগ বুঝে স্বার্থ খোঁজে চোখে গগজ পরে।
দুর্দান্ত ধূর্তামি সে পরের তরে, সদা কূটবুদ্ধি করে।

সত্যবাদীর বন্ধু হয়না কেহ জগৎসংসারে।
সত্যকথনে শুধু শত্রুতা বাড়ে।
যারা সত্যের মূলে কুঠারাঘাত করতে মিথ্যার উদ্ভব করে।
আল্লাহ তাদেরকে সীমালংঘনকারী, শ্রেষ্ঠ যালেম ঘোষণা করে।

এসো সবে সত্যকথন বলি।
এসো সবে সত্যের পথে চলি।
সত্য বচনে আসুক যত বাঁধা।
সত্যবাদীর সঙ্গী আল্লাহ আছেন সদা।

          সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ১৫ জুলাই ২০২২ ইং রোজ শুক্রবার।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: কপিরাইট সংরক্ষিত৷ 


কবিতা তিরিশে বুড়ো লেখক নাঈম হোসেন

 কবিতা পোস্ট নং -নয়

তিরিশে বুড়ো

নাঈম হোসেন 

বাংলাদেশি যুবক সবে তিরিশে হয় বুড়ো।
শিক্ষা সনদ সব থাকতেও তিরিশোত্তরে হয় জড়ো।
চাকরির কোঠা শূন্য থাকে হাজারো হাজারো।
তিরিশ বছর পার করায় চাকুরী হয়না কারো।

বেকারত্ব ভৎসিত জীবন নিয়ে যুবক করে আত্মহনন।
চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ত্রিশ হয় নির্ধারণ।
ত্রিশ বছর পার হলেই চাকরির জন্য ঘুরে ঘুরে জুতোর তলা শেষ।
ডিজিটাল দেশের নাগরিক মোরা শাবাশ বাংলাদেশ।

আশিত্তোরে রাজনীতিতে নেই কোন বাঁধা।
ত্রিশ বছর চাকরির জন্য এ কেমন ধাঁধা?
শিক্ষাযোগ্যতা সব থাকতেও যুবক হয় বুরো।
তিরিশোত্তর বয়স হলে সরকারি-বেসরকারি কোথাও চাকুরী হয়না কারো।

অসহায় যুবকরা তখন হয়ে নিরুপায়।
কেউ করে আত্মহত্যা, কেউ করে অন্যায়। 
চাকরির জন্য বয়সের সীমা চাইনা, করি প্রতিবাদ।
বেকারদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাই চাকরির পদ।

বেকার যুবক বৃদ্ধ হয়ে ঘুরে পথেঘাটে।
সঙ্গী হয়না কেউ তার কষ্টে জীবন কাটে।
ধিক্কৃত জীবন নিয়ে হেথায় ঘুরে হোথায় ঘুরে চোখেও আসেনা নিদ।
আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশির অহর্নিশি  টিপ্পনীতে হৃদয়ে কষ্টের বিঁধ।

বেকারত্ব অভিশপ্ত জীবন হতে প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে চাই সকলে মুক্তি।
যুবকদের চাকুরীতে সুযোগ দেন, উঠিয়ে নেন তিরিশ বছর বয়স সীমার চুক্তি।
আমরা মধ্যবিত্ত শিক্ষিত গরীব আমরা নিরুপায় যোগ্যতার মূল্যায়ন চাই ।
চাকরির কোটা আছে বয়সের সীমায় চাকুরী নাই।
আমরা দু'মুঠো ভাতের জন্য চাকুরী চাই!
চাকুরী না দিলে বিষ চাই! 

        সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ৮ জুলাই ২০২২ ইং রোজ শুক্রবার।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: কপিরাইট সংরক্ষিত৷ 



কবিতা জীবন বন্দনা লেখক নাঈম হোসেন

কবিতা পোস্ট নং -আট

 জীবন বন্দনা 

নাঈম হোসেন 

আমার মত, এত কষ্টের জীবন ,
প্রভু হয়না কারো যেন আর ! 
আজন্মই আমি কেঁদেছি ,  
কষ্টের জীবন করতেছি পার৷

নিষ্পাপ ছিলাম,কোন অপরাধ করিনি।
তবু পৃথিবীতে এসে আমি দেখিনি ,
মাতা -পিতার মুখ ৷
দাদীর কোলে পেলাম আমি মমতা, মায়ের সুখ ৷ 

ছাগীর দুধ আর ভাতের মাড়, 
এই ছিলো আমার শৈশবের আহার ৷ 
মাতা- পিতা , ভাই- বোন ও স্বজন , 
নেই কেহ আমার প্রিয়জন ৷ 

আমার মতো এতো অভাগা , 
প্রভু হয়না কেহ যেন আর!
আজন্মই আমি কেঁদেছি , 
কষ্টের জীবন শুধু করিতেছি পার ৷ 

ক্লাস ফাইভে উঠতেই,
আমি হলাম লজিন মাস্টার ৷ 
শিক্ষা জীবনের বাকী ক্লাসগুলো এভাবেই,
আমি করেছি পার ৷ 

চাকরীর বাজারেও নেমে দেখি ,
ক্ষমতার জোর আর ঘুষের পাহাড়  ৷ 
মেধাবিরা সব হয় মেধাহীন ৷ 
দক্ষিণার জোরে চাকরি পায় যারা যোগ্যতাহীন ৷

অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম,
প্রবাসে জীবন কাটাবার৷
সেখানেও এসে হলাম,
  দালালের হাতে প্রতারণার শিকার ৷ 

আমার মতো এতো অসহ্য জীবন,  
প্রভু হয়না কারো যেন আর ৷ 
আজন্মই আমি কেঁদেছি,
কষ্টের জীবন করতেছি পার৷

        অসমাপ্ত৷৷
রচনাকালঃ ২০ মার্চ ২০০০ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 


কবিতা ফাঁসি চাই লেখক নাঈম হোসেন

কবিতা পোস্ট নং - সাত

 ফাঁসি চাই

নাঈম হোসেন 

যার আগমনে বিশ্ব হলো নন্দিত। 
যার আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদ হলো দিখণ্ডিত।
যার আগমনে জাহেলিয়াত হলো বিদুরিত।
যার কথা শুনে বেধর্মীরা হলো মুমিনে পরিণত।

সে আল্লাহর প্রিয় নয়নের মণি।
সে দয়ার সাগর, পরশমণি।
চাঁদের চেয়েও উজ্জ্বল তাঁর মুখখানা।
সতত ন‍্যায়ের সে দিয়েছে আদেশ, অন‍্যায় করছে মানা। 

যার ছোঁয়ায় দশজন সাহাবী পেয়েছে জান্নাতের সুসংবাদ। 
সে আখেরি নবী! সে সবার প্রিয়! আমাদের মুহাম্মদ।
শত অপরাধ সে করছে মারজানা।
চরম শত্রুকে সে করছে মাফ, করছে হেদায়েতের প্রার্থনা।
তাঁর উত্তম আদর্শের কাছে হেরে গেছে
শির নিতে আসা উগ্রবাদী ওমর।
সে হেরে গিয়েও জিতেছে, 
অকল্পনীয় প্রতিটি সমর।

সে হাসিমুখে করছে বিশ্বকে জয়।
সে বিশ্ব নন্দিত কোরআনের পরিচয়।
জীবনটা তাঁর কেটেছে আল্লাহকে ভালোবেসে।
শত্রু মিত্র হয়েছে তাঁর আদর্শের কাছে এসে।

আমরা তাঁর উম্মত করব তাঁর অনুসরণ।
সহজ সরল পথে চলার করব পণ।
মানুষের সেবায় কাটাবো জীবন।
রাসূল আমার পরশমণি, রাসূল আমার নয়ন মণি, করব তাঁর অনুকরণ।

যদি করে কেউ আমার রাসূলের অপমান।
এক কোপে তার ফেলে দিবো গর্দান।
ভারত তোমাদের করি হুশিয়ার হও সাবধান।
কে দিয়েছে এতো আস্ফালন?

ক্ষমা চাও করজোড়ে!
নয়তো নিস্তার পাবে না রাসূলের অপমান করে।
বিশ্বমুসলিম মোরা হয়ে ঐক্যজোট 
ভারত তোমাদের করছি বয়কট।

আমরা যুদ্ধ চাইনা, শান্তি চাই।
হিন্দু কী মুসলিম কোন বিরোধ নাই।
আমার রাসূলের সম্মান ফিরে চাই।
বিজেপির মুখপাত্র নুপুর শর্মার ফাঁসি চাই।
মিডিয়া সেলের প্রধান নবীন কুমার জিন্দালের ফাঁসি চাই। 

নয়তো আমরা মুসলিম ফুঁসে উঠেছি।
অনেক ক্ষমা করেছি, অনেক সয়েছি।
আর নয় এবার প্রতিজ্ঞা করছি।

এ অপমানের বদলা আমরা চাই ।
আমরা দোষীদের ফাঁসি চাই।
আমরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই !  
আমরা ফাঁসি চাই! ফাঁসি চাই। 
              সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ৭ জুন ২০২২ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা বিশ্ববন্ধু লেখক নাঈম হোসেন

কবিতা পোস্ট নং -ছয়

 বিশ্ববন্ধু 

নাঈম হোসেন 

বিশ্বনবী, বিশ্ববন্ধু ছিলেন যে সবার।
রূপে গুণে অনুপম নেই তুলনা যার।
নিজে না খেয়ে, দিয়েছে অন্যকে আহার।
কারও প্রতি করেনি কখনো অবিচার।

শিশু বয়সেই আলআমীন উপাধি পেল সততার।
ধর্মকর্মে গড়িমসি কভু ছিলনা তাঁর।
ছোট-বড়ো সবাইকে সে বেসেছে ভালো।
তাঁর স্পর্শমণিতে আঁধারও হয়েছে আলো।

আল্লাহর প্রিয় সে মানুষকে ভালোবেসে।
শত্রুও মিত্র হয়েছে তাঁর ভালোবাসায় শেষে।
পর উপকারে জীবনটা তার করেছে বিলীন।
কী করে মানুষ করবে শোধ এই ঋণ?

পুরো কোরআনটাই ছিল চরিত্র তাঁর।
তাইতো সে বিশ্ববন্ধু শ্রেষ্ঠ সবার।
যদি নিজেকে কেউ ভালো মানুষ গড়তে চাও।
রাসূলের আদর্শে নিজেকে গড়ে নাও।

সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ৪ জুন ২০২২ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা শহীদ মেজর জিয়া লেখক নাঈম হোসেন

কবিতা পোস্ট নং -পাঁচ

 শহীদ মেজর জিয়া

নাঈম হোসেন

তুমি শহীদ মেজর জিয়া ,
তোমার জন্য কাঁদে মম হিয়া।
দেশের জন্য তুমি করেছো লড়াই।
তোমাকে নিয়ে মোরা তাই করি বড়াই।

তুমি একাত্তরের দাবাগ্নি ! 
তুমি একাত্তরের রোষাগ্নি! 
তুমি একাত্তরের হিমালয়! 
তুমি জনবন্ধু , তুমি উদারহৃদয়৷ 

তুমি স্বদেশ প্রেমিক ! 
তুমি  মহান সৈনিক৷ 
তুমি একাত্তরের প্লাবক!  
তুমি ন‍্যায় শাসক!

তুমি একাত্তরের প্লাবন৷ 
তুমি একাত্তরের সাইক্লোন৷ 
তুমি তেজি ! তুমি একাত্তরের রণতূর্য ! 
তুমি একাত্তরের প্রভাত সূর্য ! 

তুমি একাত্তরের তূর্যধ্বনি৷ 
বাংলায় সবার মুখে-মুখে তাই , 
শুনি তোমার-ই  জয়ধ্বনি ৷ 
তোমার স্তুতি করছে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই।

তুমি মানুষের হৃদয় করেছো জয় স্ব-কর্ম দিয়া।
টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া , 
দেশ গড়েছো তুমি জিয়া৷ 
চির অমর তুমি শহীদ জিয়া ! 

তুমি একাত্তরের প্রভাতফেরি ৷ 
তুমি একাত্তরের আলোর দিশারি৷ 
তুমি একাত্তরের পাঞ্জেরী ৷ 

কে বলেছে স্বাধীনতায় শহীদ জিয়া,
তোমার নেই অবদান৷ 
বীর উত্তম তুমি ! 
মুক্তি যুদ্ধের ১ নম্বর সেক্টরে তুমি, 
কমান্ডারের দায়িত্ব করেছো পালন।
একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা 
খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রন্থটি তার প্রমাণ।
দেশের জন্য জিয়া তুমি  করেছো আত্মদান৷ 
সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ২ মার্চ ২০২০ইং

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা অবদান লেখক নাঈম হোসেন

কবিতা পোস্ট নং - চার  

অবদান 

 নাঈম হোসেন
 ও বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির পিতা! 
ও বীর সাহসী ও উদরমনা! 
তুমি অগণিত মানুষের মিতা। 
 
তুমি সত্যান্বেষী! 
তুমি বিপ্লবী বীর! 
তুমি সত্যের সৈনিক! 
তুমি রণসৈনিক! 
তুমি বঙ্গবীর। 
 
৭-ই মার্চের রেসকোর্স ময়দানের সেই স্বাধীনতার ভাষণ 
যেন সহস্র বছরের শিষ্টের শাসন। 
যা আজও কোটি তরুণ - তরুণীর হৃদয় 
স্বদেশ সংগ্রামে প্রর্বতনা জাগায়। 
 
১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ এই তেইশটি বছর ধরে 
অন‍্যায়ের প্রতিবাদে তুমি গেছ সংগ্রাম করে। 
কখনও তুমি করেছো, 
মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। 
কখনও করেছো, 
ছাত্রদের জন্য বিজ্ঞান ভিত্তিক সার্বজনীন শিক্ষার সংগ্রাম। 
 
কখনও করেছো, 
বাঙ্গালী জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণ 
তথা স্বায়ত্তশাসন 
আদায়ের জন্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। 
 
কখনও করেছো, 
সমারিক শাসন বিরোধী সংগ্রাম। 
কখনও করেছো, 
অর্থনৈতিক দাবি দাওয়া আদায়ের সংগ্রাম। 
 
বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ 
বাঙ্গালী বর্ণবাদ 
ধর্মীয় কূপমণ্ডুকতার বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িকতা 
লুণ্ঠিত মানবতা 
ফিরে পাওয়ার জন্য সংগ্রাম। 
 
গণতন্ত্র ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার উপযোগী সুস্থ - সবল সংস্কৃতিক সংগ্রাম। 
পদ্মা - মেঘনা বিধৌত এত'দ অঞ্চলের মানুষ একটি ভাষণ শুনছিল, 
বাঙ্গালী জাতি সেই ভাষণে সাড়া দিয়েছিল 
সেই স্বাধীনতার বিপ্লবী ভাষণ ছিল  
 
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম 
এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। 
 
৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ ১৮ দিনের এই ভাষণ ছিল, 
যেন এক একটি অগ্নি শলাকা। 
যা ছিনিয়ে এনেছিল 
চির বিজয় বাঙালির এই লাল সবুজের স্বাধীনতার পতাকা। 
 
সত্যিই তুমি অদম্য তুমি সাহসী তুমি বঙ্গবীর। 
১৫ আগষ্ট তোমার অপ্রত্যাশিত নির্মমমৃত্যুতে 
কাঁদালো বিশ্বের মানুষকে।  
 
ওরা আলবদর। 
ওরা হানাদার। 
ওরা খুনি ওরা রাজাকার। 
তাই ওরা চিনলনা তোমাকে। 
 
আরও কত শত রয়েছে তোমার স্মরণীয় অবদান। 
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী তুমি 
এই বাংলার নওল রূপকার তুমি 
তুমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 
 
এই বাংলার মাটি ও মানুষের জন্য তুমি জীবনটা করেছো বিলীন। 
কী করে শোধ করবে বাংলার মানুষ তোমার এই ঋণ?  
সকল পাপ হতে প্রভু তোমায় দেন পরিত্রান,   
আল্লাহ তোমায় নসিব করুন বেহেশত দান।  
আমীন 
ছুম্মা আমীন।। 
সমাপ্ত।। 
 
রচনাকালঃ ১৫ আগষ্ট ২০১৬ ইং 
বিশেষ দ্রষ্টব্য :কপিরাইট সংরক্ষিত৷ 

আরও পড়তে ক্লিক করুন এখানে  

কবিতা : সাংবাদিক লেখক নাঈম হোসেন

কবিতা পোস্ট নং-তিন 

  সাংবাদিক 

নাঈম হোসেন 
 সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কতকিছু দেখি।
 অপরাধ থেকে শুরু করে কতকিছু লেখি।
 দর্ষণে সয়লাব জাতি নিউজের নাই শেষ।
 অন্ধকারে ঢাকা দেখি সোনার বাংলাদেশ। 

 মাদকের থাবায় এখন জাতি করল গ্রাস। 
উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েদের হচ্ছে সর্বনাশ। 
পড়াশুনায় মন নেই শুধু পাবজি গেম গেলে।
 ইয়াবা সেবন করে তারা টাকা হাতে পেলে।

 সাংবাদিকতা করতে গিয়ে হলাম সাংবাদিক।
 সত্যের সন্ধানে ছুটি রোজ এদিক-সেদিক। 
কত অন্যায় দেখি কিন্তু নিউজ করতে বাঁধা। 
নিউজ করলে মামলা হয় সাংবাদিক তুলে চাঁদা।

 অপরাধীরা সেজে আছে,মুখোশ পরা সাধু। 
মধুর কথায় মন গলায়,জানে কথার যাদু। 
দুষ্ট কথার ছলে তাদের মিষ্টি কত হাসি?
 সুযোগ একটু দিয়ে দেখ তুমি যাবে ফাঁসি।

 পথেঘাটে কেমনে চলি ভালো মানুষ নাই? 
কখন যে কি ঘটে যায় বলা মুশকিল ভাই। 
ডানে বামে সবদিক থেকো হুশিয়ার।
 কখন ফাঁদে পরে গিয়ে পাবে অবিচার।

 অপরাধীর পক্ষে দেখবে সাক্ষী দিবে সবাই। 
হাত পা ধরলেও দেখবে তোমার পক্ষে নাই। 
অপরাধ না করেও তুমি, হবে অপরাধী।
 টাকার কাছে বিক্রি সবাই, তুমি হবে কয়েদী।

 অপরাধ খুঁজতে গিয়ে দেখি নিউজের পাহাড়। 
সকল নিউজ করলে যাবে জীবনটা আমার। 
ন‍্যায়ের পথে কাঁটা বেশি,দেখে, বুঝে চল। 
সত্য কথা তিক্ত তবু , সত্যি কথাই বল।

 সাংবাদিকতা যতটা সহজ ভাব, আসলে সহজ নয়। 
সাংবাদিক হতে হলে, অনেক কৌশলী হতে হয়। 
নতুন যারা আসতে চাও, নিমন্ত্রণ করি তাদের।
 কলম দিয়ে যুদ্ধ করবে, ভয় করবেনা রক্ত-চক্ষুদের। 

                      সমাপ্ত।। 

        রচনাকালঃ ১২ ডিসেম্বর ২০২১ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা : তোমাকে মনে পড়ে লেখক নাঈম হোসেন

 কবিতা পোস্ট নং- দুই 

 তোমকে মনে পড়ে 

 নাঈম হোসেন 

 আগষ্ট আসলে বঙ্গবন্ধু তোমাকে মনে পড়ে। 
তোমায় স্মরণ করি ভক্তিভরে। 
কত যন্ত্রণা ওরা দিয়েছে তোমারে, 
 কত কষ্ট করেছ তুমি দেশ স্বাধীন করে।

 ধিক্-ধিক্ ঐ হায়েনাদের। 
তোমার খুন পিয়াতে হৃদয় কাঁপেনি যাদের।
 দেশ সেবার তুমি করেছিলে পণ।
 ওরা সেই স্বপ্ন তোমার হতে দেয়নি পূরণ।

 শেখ হাসিনা সুযোগ‍্য কন্যা তোমার। 
স্বপ্ন পূরণে দিনরাত করছে কাজ বেশুমার।
 আজ স্বাধীন বাংলার যেদিকে তাকাই, 
তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলা দেখতে পাই। 

 ঠিক যেন তোমার কল্পিত এক স্বপ্নের বাংলাদেশ।
 কি অপরূপ যার গুণের নেই কোন শেষ। 
আজ শুধু আগষ্ট-ই নয়, তারিফ করার শেষ ,
বাংলার প্রতিটি পরতে পরতে তোমাকে মনে পড়ে বেশ৷ 

তুমি আছ মিশে। 
শাপলা ফুল আর দোয়েলের শিসে। 
স্বাধীন বাংলা বলতে মৃত্যুঞ্জয়ী এক মুজিবের নাম। 
আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই যাকে করছে প্রণাম।

 তুমি ছিলে, আছো, থাকবে চিরদিন।
 তোমার কাছে এই বাংলার মানুষ চিরঋণ। 
যা করেছ তুমি,তোমার অবদান কভু হবেনা বিলীন।
 এই বাংলার মানুষ তোমায় স্মরণ করবে চিরদিন।
সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ০১ আগষ্ট ২০২১ইং
    বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা আত্মশুদ্ধির রমজান লেখক নাঈম হোসেন

  আত্মশুদ্ধির রমজান নাঈম হোসেন  রমজান ওগো আত্মশুদ্ধির রমজান! তোমার মধ্যে রয়েছে অফুরন্ত কল‍্যাণ। তারাবীহ, সেহেরি আরও ইফতার। হাজার বছরের র...

most popular post