কবিতা আত্মশুদ্ধির রমজান লেখক নাঈম হোসেন

 আত্মশুদ্ধির রমজান

নাঈম হোসেন 

রমজান ওগো আত্মশুদ্ধির রমজান!
তোমার মধ্যে রয়েছে অফুরন্ত কল‍্যাণ।
তারাবীহ, সেহেরি আরও ইফতার।
হাজার বছরের রজনী শবে-কদর।
বিজয় হয়েছে মক্কা নগর ও  বদর।

রহমত বরকত মাগফেরাত আরও কত উপটৌকন।
একটি সেজদা সত্তরটি সেজদার সমান।
একটি ফরজ, একটি সুন্নত, নফল সত্তরটির সমান।
বেহেশতের সবক'টি দরজা খুলে করেছ পূণ্যের সব আয়োজন।

এ মাসে অবিরাম রাত্রিদিন।
আত্মশুদ্ধির দিন।
তবু কত হেলায় কাটাই আমরা দিন।
করিনা কেন সিরাত মুস্তাকিমের সন্ধান ?

কুরআনের মাস পেয়ে ধন‍্য আমি।
ইবাদতে কাটাব দিবস-যামী।
মনে আছে যতো কালিমা।
প্রভুর কাছে চাবো ক্ষমা।

মাফ করে 
দাও মোরে।
রেখোনা আর কোন অভিমান।
তোমার প্রতি এনেছি খাঁটি ঈমান।

তুমি আমার ইলাহী! তুমিই রব!
শিরক-বিদায়াত যতো গুনাহ মাফ কর সব।
তুমি গফুর তুমি রহমান।
আমার প্রতি হও দয়াবান।

তুমি মালিক!
তুমি খালিক!
আমায় কর রিযিক দান।
সকল গুনাহ হতে চাই পরিত্রাণ।

তুমি অন্তর যামী 
লুকোছাপা যতো কথা সব জানো তুমি 
তোমার কৃপায় বাঁচি আমি 
দাও মোরে দু'হাত ভরে, কী চাই আমি?

রহমত, মাগফেরাত দাও নাযাত।
মাতা-পিতাকে ক্ষমা কর, চাই তাদের জান্নাত।
জীবিতদের সুস্থ-সবল রেখো, দাও আবেহায়াত! 
পরিশেষে চাই তোমার সন্তুষ্টি! চাই জান্নাত!
                   সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ৪ এপ্রিল ২০২২ই 
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কপিরাইট সংরক্ষিত৷ 

কবিতা ইসরায় নবীজির দর্শন লেখক নাঈম হোসেন

 ইসরায় নবীজির দর্শন 

নাঈম হোসেন 

ইসরায় নবীজির দর্শন 
কী পাপে কী শাস্তি
তা করা হল বর্নণ

আল্লাহর নবী ইসরায় গেল 
কী পাপে কী শাস্তি 
সেখানে দেখতে পেল

একেক পাপের একেক শাস্তি
নবী দিয়েছে বর্নণ
জানলে মানবের শরীর হবে শিহরণ 

বেনামাজির শাস্তি 
নবীজি কি ভয়ংকর দেখছেন,
আযাবের ফেরেশতাদের দেখলেন,
প্রকট পাথর দিয়ে 
অপরাধীদের মাথায়
আঘাত করছেন।
আঘাতে মাথা ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে,
পুনরায় ভালো হয়ে যাচ্ছে, 
আবার আঘাত করা হচ্ছে
এভাবে রাত-দিন বছরের পর বছর কাটছে।

তাই কবি বলেন,
নামাজের প্রতি হতে হবে সচেতন 
সময় থাকতে কর সবে নামাজের যতন।

জাকাত না দেওয়ার শাস্তি
নবীজি কী নির্মম দেখলেন,
তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে পাওনাদাররা থাকবে
তারা পশুবৎ চরবে
নোংরা আবর্জনা ময়লা ও পুঁজ খাবে
কাঁটাযুক্ত আঠালো বিষাক্ত ফল খাবে,
জাহান্নামের উত্তপ্ত পাথর ভক্ষণ করবে।

তাই কবির উপদেশ হবে  
শোন মানব সবে
যাকাত ফরজ হলে তা দিয়ে দিবে 
ভয়ঙ্কর আযাব থেকে তবে  মুক্তি পাবে।

চোগলখোরের শাস্তি
নবীজি কী লোমহর্ষক দেখলেন,
তাদের পার্শ্বদেশ হতে 
গোশত কেটে তাদের খাওয়ানো হচ্ছে; 
আর বলা হচ্ছে, 
যেভাবে তোমার ভাইয়ের গোশত খেতে,
সেভাবে এটা হবে খেতে।

চোগলখোরী হতে তাই
দূরে থাক মুসলিম ভাই
এ ভয়ানক আযাব হতে তবে 
রেহাই পাবে সবে।

গিবতকারীদের শাস্তি 
নবীজি অনুরূপ দেখলেন
তাদের অগ্নিময় লোহার নখর দ্বারা 
তাদের চেহারা ,বক্ষ বিদীর্ণ করছে নিজেরা। 

নবীজি ভারাকান্ত হয়ে জানতে চাইলেন
হে ভাই জিবরাইল এরা কারা?
জিবরাইল উত্তর দিলেন
এরা হচ্ছে সেসব লোক যারা 
পশ্চাতে মানুষের সমালোচনা করতেন। 

কবি উপদেশ ছলে বলেন তাই,
মানুষের পিছনে সমালোচনা হতে ভাই
দূরে থাক মুসলিম সবাই।

সুদখোরদের শাস্তি 
নবীজি দেখলেন 
তাদের বড় পেট‍ের মধ্যে 
অসংখ্য সাপ কিলবিল করছে 
ফেরাউন সম্প্রদায় তাদের সঙ্গে রয়েছে
তাদেরকে অগ্নিতে প্রবিষ্ট করানো হচ্ছে।

তাই আল্লাহ ব‍্যবসা হালাল করছে
আর সুদকে হারাম ঘোষণা দিচ্ছে।
তাই আসুন মুসলিম সুদকে না বলি 
আল্লাহর আইন মেনে চলি।

জেনাকার ও বদকার নারী,
যারা করেছে স্ব-ইচ্ছায় ব‍্যভিচারী
ভ্রূণ ও সন্তান হত্যা করেছে
নবীজি মেরাজে তাদের দেখলেন 
পায়ে আংটা লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে;
তারা আর্তচিৎকার করছে। 

জেনাকার পুরুষের শাস্তি
নবীজি কী ভয়ঙ্কর দেখলেন।
এক সম্প্রদায়ের সামনে দেখলেন 
একটি উত্তম পাত্রে তাজা ভুনা গোশত
অন্য নোংরা একটি পাত্রে পচা গোশত 
তারা উত্তম পাত্রের উন্নত তাজা সুস্বাদু গোশত রেখে 
নোংরা পাত্রের পচা মাংস ভক্ষণ করছে।

নবীজি জানতে  চাইলেন
হে জিবরাইল এরা কারা? 
জিবরাইল উত্তর দিলেন 
এরা হলো ওই সব পুরুষ যারা 
স্বীয় বৈধ স্ত্রী রেখে অন্য নারীর কাছে গমন করেছে 
এবং ওই সব নারী যারা 
স্বীয় বৈধ স্বামী রেখে পরপুরুষগামিনী হয়েছে।

দেখলেন এক লোক বিশাল লাকড়ির বোঝা একত্র করেছে,
যা সে ওঠাতে পারছে না তবু উঠাতে চেষ্টা করছে
তবু আরও লাকড়ি তাতে বৃদ্ধি করছে
নবীজি জিজ্ঞেস করলেন
হে ভাই জিবরাইল এটা কী?
জিবরাঈল উত্তরে বললেন,
এ হলো আপনার উম্মতের সে ব্যক্তি 
যে মানুষের আমানত আদায় করেনি; 
বরং আরও অধিক গ্রহণ করেছে। 

নবীজি আরও দেখলেন 
অশ্লীল বাক্য ব্যবহারকারী
ও ফেতনা সৃষ্টিকারী
তাদের শাস্তি  হচ্ছে 
জিহ্বা ও ঠোঁট অগ্নির লোহার কাঁচি দিয়ে কর্তন করা হচ্ছে, 
পুনরায় তা আগের মতো হয়ে যাচ্ছে 
আবার তা কাটা হচ্ছে;
এভাবেই চলছে।

এরপর নবীজি দেখলেন
ছোট্ট একটি পাথর হতে
বিশাল এক ষাঁড় বের হলো;
পুনরায় ওই ষাঁড় সে পাথরের ভেতর প্রবেশ করতে 
চেষ্টা করছিল; 
কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছিল না। 
নবীজি বললেন, 
হে ভাই জিবরাইল এটা কী?
জিবরাঈল জবাবে বললেন, 
এটা হলো সেসব লোকের উদাহরণ 
যারা দাম্ভিকতাপূর্ণ কথা বলে বেড়ায় 
যার জন্য পরে লজ্জিত হয়,
কিন্তু পরে আর তা ফিরিয়ে নিতে পারে না।
এটা তাদের অপরাধের উপমা
যা আল্লাহ করেননি ক্ষমা

এতিমের সম্পদ আত্মসাৎকারীদের দেখলেন। 
তাদের ওষ্ঠ-অধর যেন 
উটের ঠোঁটের মত।
যার ভয়ংকর দৃশ্য নয় বলার মত
তাদের মুখে আগুনের জ্বলন্ত কয়লা প্রবেশ  করানো হচ্ছে 
এবং তা তাদের পায়ুপথ দিয়ে বের হয়ে আসছে।

  এরপর নবীজি মদ, ও নেশা গ্রহণকারীদের শাস্তি দেখলেন। 
তারা জাহান্নামিদের শরীর থেকে 
নির্গত বিষাক্ত নোংরা পুঁজ পান করছে।
আসুন মুসলিম সবে
মাদককে না বলি এমন পুঁজ পান থেকে 
বেঁচে যাবে তবে।

এরপর নবীজি দেখলেন
মালিক নামে জাহান্নামের রক্ষী ফেরেশতাকে
মুখে হাসি নেই, আছেন মলিন মুখে
বলা হলো নবীজিকে
জাহান্নাম সৃষ্টির পর থেকে
সে কখনো হাসেনি দুশ্চিন্তায় থাকে 
থাকে মলিন মুখে।
যা বলছি সব বাণী সত্য 
বুখারি ও মুসলিম শরীফে তা আছে বর্ণিত।

                   সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ ১ মার্চ ২০২২ইং
স্থানঃ লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব হলরুমে বসে।
সময় দুপুর ১২:২৫।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷

কবিতা করোনার শিক্ষা লেখক নাঈম হোসেন

করোনার শিক্ষা 

নাঈম হোসেন 

২০২০ সালের মার্চ থেকে 
দেশজুড়ে করোনা চলছে নিরন্তর।

মুখে মুখে বলছে লোকে
ওরে বাবা কী ভয়ংকর!
এবার বুঝি রক্ষা নাই মোর!

কতজন হচ্ছে আক্রান্ত, কত শত হচ্ছে লাশ।
অর্থকষ্টসহ কতজনের হচ্ছে নানা সর্বনাশ।

কত স্বজনেরা পালিয়েছে হাসপাতালে রেখে লাশ।
মৃত্যুর মিছিল দেখে সবাই হচ্ছে হতাশ।

পুলিশ আর সেনাবাহিনীরা করছে দাফন,
কতজনকে না পরিয়ে কাফনের কাফন।
ইহা দেখে বিশ্ব বলছে বাংলাদেশ, সাবাশ!

করোনা ভেবে কত বৃদ্ধাকে,
পরিবারের লোকেরা দিয়েছে বনবাস;
আল্লাহ ভীরুরা নিয়েছে তুলে রাস্তা থেকে,
দিয়েছে ওষুধ, অন্ন ও বস্ত্র আর আবাস।

লকডাউনে দেখছি,
শুধু মানুষ নয়, কত পশু পাখিও,
খাবারের খোঁজে করছে হাহাকার।
কতজনে ৩৩৩ এ কল করেও,
নিয়েছে সেবা, পেয়েছে খাবার।

লকডাউনে দেখছি,
প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা দিচ্ছে কত শত।
লুটেরা সব নিচ্ছে লুটে,নিজেদের ইচ্ছে মত।

হাসপাতাল কতৃপক্ষকে দেখছি,
দক্ষিণার জোরে করছে করোনার ভুয়া সনদের সয়লাব।
দিচ্ছে কত ভুয়া রিপোর্ট নেগেটিভ,পজিটিভ।
দুষ্কৃতকারীদের রুখতে প্রশাসনও একটিভ।
তবু রুখতে পারছেনা কেউ, দুষ্কার্যের হচ্ছে জয়লাব।

ভুয়া সনদে বিদেশ গিয়ে,কত বিপদে পড়ছে প্রবাসী।
ভেঙ্গে গেছে সকল স্বপ্ন, মলিন হয়েছে সুখের হাসি।
চাপা কান্নায় অশ্রু আঁখিতে বুক দিচ্ছে ভাসি।

লকডাউনে দেখছি,
ম‍্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম কত হাসপাতাল করেছে সিলগালা।
অপরাধীরা ভয়ে থরথর
বলছে পরস্পর,
নিস্তার নাই বুঝি আর 
এবার শুরু হবে মোর পালা।

জনতা সকলে বলছে;
সরোয়ার আলম,সাব্বাশ তুমি,
দোয়া করি আমরণ তোমার জন্য।
কত বাঁধা কত ভয়
সবকিছু করে জয়,
অপরাধীদের রুখতে প্রতিজ্ঞায় অবিচল তুমি,
সতত করছ কত শত পূণ্য।

আফসোস করে লোকজন বলে,
তোমার মত সকল অফিসার ন‍্যায়পরায়ণ হলে, 
দেশটা হতো অপরাধ শূন্য;
ধন‍্য তুমি,ধন‍্য তোমার পুরো পরিবার, ধন‍্য তোমার সততার জন্য।
তোমার মত সকল অফিসার হয় যেন গুণে অন‍‍ন‍্য।

স্বামীর করোনা হয়েছে 
একথা যখন শুনেছে,
কত স্ত্রী চলে গেছে বাপের বাড়ি।
ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিয়েছে 
আসবেনা বলে,আত্মরক্ষায় ধরেছে আড়ি!

করোনা তুমি শিক্ষা দিলে,
এভুবনে আপন কেহ নয়।
আল্লাহই অভিভাবক, আল্লাহই সহায়।
তাই আল্লাহকে পেতে হলে, 
সদা তাঁর উপর ভরসা করতে হয়।

এসো হে  মানব,এসো হে ভাই !
আজ থেকে পরস্পর,ভেদাভেদ ভুলে যাই,
ভুলে যাই সকল হিংসা।
দেশ ও জাতির কল‍্যাণে,এসো মোরা হই একশা।
             সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ১ জানুয়ারি ২০২২
রায়পুর, লক্ষ্মীপুর।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা ঐকতান লেখক নাঈম হোসেন

 ঐকতান 

নাঈম হোসেন 

☞এসো -এসো,হে বিশ্ব-মানব, 
মোর সকল- ভাই ! 
শোন-শোন ,হে বিশ্ব- মানব, 
মোর বন্ধুজন সবাই ! 
শোন হে, মোরা হই ,
পরস্পর ভাই -ভাই ! 

কীসের এত মতানৈক্য ? 
কীসের এত অহংকার ? 
এসো -মোরা হবো জাতীয় ঐক্য ! 
সৃষ্টিকর্তা একজনই- তো , সবার ? 

আদি আদমই - তো , 
মোদের পিতা ! 
তাঁরই হতে সৃষ্ট সঙ্গিনী হাওয়াই -তো ,
মোদের আদি মাতা ! 
তবে কেন মোরা হবো না পরস্পর মিতা ? 
তবু মোদের মাঝে কেন ,এত শত্রুতা ? 
কেন করি মোরা পৃথিবীতে এত বর্বরতা ? 
কেন করি মোরা এত লঙ্ঘন মানবতা ? 

এসো,শোন,হে বিশ্ব মোর সখাজন-সবাই ! 
এসো মোরা পরস্পর হয়ে চলি ভাই-ভাই ! 
স্ব-স্ব -বিবেকের কাছে প্রশ্ন করি সবাই । 
এত আত্মশ্লাঘা কীসের?
সামান্যতে রেগে যাই,
গাত্রদাহ করি অহমিকা বিষের।
এই তুচ্ছ ভুবনে-ভাই ?  
কেন করি এত বড়াই?

এসো, মোরা দর্প ও পূর্বজেদ সব ভুলে যাই ! 
শোন , মোরা মানুষ তো -সবাই ?
যার-যার ধর্ম ,তাঁরই থাক । 
ধর্ম-বর্ণ কোন্দল মোদের মাঝে নাই । 

কাশ্মীর , ফিলিস্তিন , আফগান । 
আরও সাজিয়েছে যতজন , 
ভয়াবহ যুদ্ধের রণাঙ্গন । 
আরও শুনতে পাই,

যতদূর যাই ! 
সমর জয় ডাক !
মানুষ খুন করে বিশ্বকে লাগায় তাক!
এরা সবাই -তো ,মোদের ভাই ! 

রক্তে - মাংসে গড়া মোরা মানুষ তো, সবাই ! 
মোরা মানব,সবাই সমান।
এসো , হে বিশ্ব-মানব মোর সকল-ভাই ! 
এসো,মোরা পূর্ব-শত্রুতা সব ভুলে যাই । 
এসো, মোরা আজ হতে হয়ে যাই , 
পরস্পর সহোদর -ভাই ! 
এসো , হে বিশ্বজন-সবাই ! 
মোরা ঐক্য হয়ে চলি-ভাই ! 

একতা হয়ে সবাই , 
চির-সাম্যের জয়গান গাই!
ঐক্যবদ্ধ করব কাজ, 
হার-জিত নেই কোনো লাজ।
জাতীয় সুখের স্বার্থে সকল কাজ ,
এসো আমরা ঐক্য হয়ে করি -সবাই  ! 
তাতে যেন,কোনো লোলুপতা না থাকে -ভাই! 
এসো,আমরা এভাবেই,
একটা নব্য পৃথিবী সাজাই ! 
এসো ,আমরা জাতীয় শত্রুতা সব ভুলে যাই।

এসো ,যার-যার ধর্ম , 
সে করিবো পালন একসাথে ! 
শোন ; যার -যার কর্ম , 
তারই যখন -ভাই ? 
হিন্দু , খ্রিস্টান,
বৌদ্ধ কি মুসলমান?
ভেদাভেদ কী আসে যায় তাতে ? 
এসো আমরা চলি একসাথে।
এসো হে মোর বিশ্ব-সকল ভাই ! 
মোরা স্বদেশের ,শান্তি রক্ষায় ,
ঐক্য হই আজ হতে।

এসো , চির সাম্যের বিজয়ী কেতন উড়াই ! 
এসো , হে বিশ্ব- মানব সবাই ! 
এসো , মোরা পূর্ব শত্রুতা সব ভুলে যাই! 

এসো ,মোরা ঐক্য হয়ে 
জগৎ জুড়ে গড়বো স্বর্গীয় সুখ ! 
হাসিমুখে থাকবো সদা সবাই , 
কোথাও রইবেনা কোনো দুঃখ ॥

একের দুঃখে অন্যজন মোরা 
হবো আগুয়ান।
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষ মোরা,
সবাই -তো সমান ? 

সকলে মোরা 
সৃষ্টি কর্তারই দান । 
এসো হে জগতবাসী 
মোরা হই ঐকতান।

            সমাপ্ত ॥

রচনাকালঃ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা সুরক্ষা-টিকা লেখক নাঈম হোসেন

 সুরক্ষা-টিকা

নাঈম হোসেন

করোনা নিয়ে আর নয় ভয়,
দেশজুড়ে এসেছে সুরক্ষা-টিকা,

এবার করোনাকে করব জয়। 
তাই টিকা নিতে নিবন্ধনে দেরি নয়,
জলদি সবাই নাম লিখা। 

দেখ প্রধানমন্ত্রী নিয়ে সুরক্ষা-টিকা,
সুস্থ আছেন এখন।
দেখ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিয়ে সুরক্ষা-টিকা,
সুস্থ আছেন এখন ?

দেশজুড়ে সুরক্ষা-টিকা নিচ্ছেন সকল প্রশাসন।
নিচ্ছে সুরক্ষা-টিকা ৪০ উর্ধ্ব আরও কতজন,
সবাই সুস্থ আছেন এখন।

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর নওল উপহার,
সবাই মোরা ফ্রি পাচ্ছি সুরক্ষা-টিকা করোনার।

দেরী না করে আজই সুরক্ষা-টিকা নিতে এসো চলে ;
নিজেকে রক্ষা করো দেশকে বাঁচাও
এসো সবে দলে দলে,

খুব শীঘ্রই করোনা যাবে চলে।
এসো নির্ভয়ে দাও সুরক্ষা-টিকা কোভিডনাইনটিন!
তবেই ফিরে পাবে আবার নতুন দিন,

নতুন করে শুনবেনা করোনায় মরণবীণ।
সুরক্ষা-টিকা নাও মাক্স পরো হাত ধোও বারবার,
তবেই করোনা মুক্ত দেশ ফিরে পাবে আবার।

            সমাপ্ত।।

রচনাকালঃ ১১ নভেম্বর ২০২১ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কপিরাইট সংরক্ষিত ৷ 

কবিতা কোরবানির ঈদ লেখক নাঈম হোসেন

 কোরবানির ঈদ

নাঈম হোসেন 

চারদিকে কোলাহল 
ফের আসছে কোরবানির ঈদ।
কেনাব্যাচায় ব‍্যস্ত সবাই 
গাইছে নওল গীত।

গরুর বাজার গিয়ে দেখি 
মানুষের কি উপচে পড়া ভীড়? 
কেউ দেখছে দাম কেউ কিনছে গরু
ঈদ কোরবানির।

কেউ দেখায় টাকার গরম
সেরা গরু কিনে।
সোস্যাল মিডিয়া ভাইরাল করে 
বাহবা দিবে  জনে-জনে।
এই আশা তার মনে মনে।

টাকাগুলো হালাল কিনা 
সেই দিকে নাই খেয়াল।
সুদ- ঘুষের টাকায় তাহার চারদিকে দেয়াল।

সেই টাকায় গরু কিনে 
অহমপুরুবিকায় তৃপ্তিতে হাসে ।
লোকদেখানো কোরবানি তার 
গরীব- মিসকিনের পাশে।

কতো লোক যে কোরবান করে 
দেখায় বাহাদুরি! 
তাদের সংখ্যা অঙ্ক কষলে
পাবে ভুরিভুরি।

নয়ছয় জীবন ছেড়ে দিয়ে
আগে নিজেকে দেই কোরবান।
লোক দেখানো কোরবানি নয় 
আল্লাহর বিধান।

সৎপথে চলো 
সতত অটুট রাখো ঈমান।
অসৎকাজের নিষেধ করো  
সৎকাজের আদেশ।
মন থেকে মুছে ফেলো হিংসা বিদ্বেষ।
এটা রাসুলের নির্দেশ ।

হালাল টাকায় দিতে হবে 
নেকির  এ কোরবান।
রক্ত মাংস পৌঁছেনা কিছু আল্লাহর কাছে
পৌঁছে বান্দার ঈমান।
একথা কোরআনে আল্লাহ্ ফরমান।

পশু কোরবানি নয় 
দিতে হবে নিজেকে কোরবান।
তবেই খুশি হবে আল্লাহ্ মহান।

               সমাপ্ত।।
রচনাকালঃ জুলাই ২০২১ইং
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কপিরাইট সংরক্ষিত৷ 

কবিতা আত্মশুদ্ধির রমজান লেখক নাঈম হোসেন

  আত্মশুদ্ধির রমজান নাঈম হোসেন  রমজান ওগো আত্মশুদ্ধির রমজান! তোমার মধ্যে রয়েছে অফুরন্ত কল‍্যাণ। তারাবীহ, সেহেরি আরও ইফতার। হাজার বছরের র...

most popular post